আমাদের ভবিষ্যৎ হবে ডিজিটাল। প্রতিদিন বিপুল সংখ্যক বাংলাদেশী তাদের স্মার্টফোনের মাধ্যমে ইন্টারনেটে সংযুক্ত হচ্ছেন, যার ফলে সম্ভাবনার নতুন সব দরজা উন্মোচিত হচ্ছে। বর্তমানে মানুষ তাদের মোবাইলের মাধ্যমে অনলাইনে প্রচুর সময় কাটান, ফেসবুকে তাদের জীবন শেয়ার করেন, তথ্যের জন্য খোঁজ করেন, অথবা তাদের পরিবার এবং প্রিয়জনের সাথে চ্যাটিং করেন। আগামীর ডিজিটাল দুনিয়ার তারা স্মার্টফোনের মাধ্যমে অনলাইনে কেনাকাটা করবেন, খবর পড়বেন, মিউজিক স্ট্রীম করবেন, নতুন নতুন বিষয় সম্পর্কে জানবেন, মুভি দেখবেন, ইলেকট্রনিক উপায়ে টাকা পাঠাবেন এবং তাদের মোবাইল একাউন্ট নিয়ন্ত্রণ করবেন।
বাংলালিংক তার গ্রাহকদের ডিজিটাল জগতে যুক্ত করতে চায় এবং এর অফুরন্ত সম্ভাবনা উন্মুক্ত করতে চায়। এজন্য বাংলালিংক নিজেকে ডিজিটাল যুগের জন্য প্রস্তুত করছে।
বাংলালিংক এর এমডি এবং সিইও এরিক অস্ বলেন, “আমরা বিশ্বাস করি ডিজিটাল সেবাদানই ভবিষ্যতের পথ, স্মার্টফোনের ব্যবহার প্রচুরভাবে বৃদ্ধি পাবে এবং আক্ষরিকভাবেই গ্রাহকদের ডিজিটাল জীবন তাদের হাতের মুঠোয় চলে আসবে- ই-কমার্স থেকে বিনোদন, অর্থনৈতিক সেবা থেকে সেলফ-সার্ভিস। এটি আমাদের গ্রাহকদের জন্য বাস্তব করতে বাংলালিংকে আমরা থ্রিজিতে বিপুল পরিমাণে বিনিয়োগ করছি, একইসাথে আমাদের পণ্য এবং সেবাতেও বিনিয়োগ অব্যাহত আছে”।
ডিজিটালের পথে-এর আরেকটি অর্থ হল প্রযুক্তিগত উন্নতি থেকে লাভবান হতে সমাজকে সক্ষম করা। এটিকে বাস্তবায়ন করতে বাংলালিংক সরকারের ডিজিটাল বাংলাদেশ ২০২১-কে সাহায্য করার জন্য বেশ কয়েকটি প্রকল্প হাতে নিয়েছে।
আইসিটি মন্ত্রণালয়ের সাথে সহযোগীতায় বাংলালিংক সম্প্রতি কানেক্টিং স্টার্ট আপ-বাংলাদেশ ফ্রেমে একটি ডিজিটাল ইনকিউবেশন সেন্টার স্থাপন করেছে, যার মাধ্যমে দেশব্যাপী উদ্ভাবনী ব্যবসা গড়ে তোলা যায়। ২০০০০ এরও বেশি শিক্ষার্থী বাংলালিংকের গ্র্যান্ডমাস্টার আইডিয়া কনটেস্টে অংশগ্রহণ করে যেখানে তারা তাদের মোবাইল অ্যাপ্লিকেশনের ধারণা জমা দেন যা লক্ষ লক্ষ মানুষের জীবন পালটে দিতে পারে। আরেকটি ডিজিটাল বাংলাদেশ কেন্দ্রিক কর্মসূচীতে বাংলালিংকের দেশব্যাপী ইন্টারনেট সচেতনতা কর্মসূচীর মাধ্যমে সারাদেশে ৩০০০০০ শিক্ষার্থী ইন্টারনেট অভিজ্ঞতা লাভ করে।
বাংলাদেশের ডিজিটাল ভবিষ্যতের জন্য প্রস্তুত হতে বাংলালিংকের প্রয়োজন নতুন বাস্তবতার সাথে খাপ খাইয়ে নেওয়া।
এরিক অস্ বলেন, “এখন পর্যন্ত আমরা ৩.২ কোটির বেশি গ্রাহকদের দেশের সবচেয়ে ফাস্ট থ্রিজি নেটওয়ার্ক এর সাহায্যে সেবা দিয়ে আসছি, এবং আমরা এই অর্জনে গর্বিত। এখন সময় এসেছে আরো এগিয়ে যাবার। আমরা যদি আমাদের গ্রাহকদের ডিজিটাল দুনিয়ার সাথে সংযুক্ত করতে চাই- তাহলে আমাদেরকে আমাদের গ্রাহকের মতন অথবা তার থেকে বেশি ডিজিটাল হতে হবে”।
তিনি আরো বলেন, “এটি সম্পন্ন করতে হলে আমাদের প্রথাগত টেলিযোগাযোগ সেবা কোম্পানী থেকে একটি ডিজিটাল সেবাদাতা প্রতিষ্ঠানে পরিবর্তিত হতে হবে”।
ডিজিটালের পথযাত্রা - কিভাবে?
ডিজিটাল চালিকাশক্তি- ডিজিটাল সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান হতে হলে বাংলালিংকের ডিজিটাল স্কিলসেট অপরিহার্য। একারণে আমরা আমাদের গ্রাহকদের আরো উন্নত সেবা দান এবং আমাদের সহকর্মীদের আরো প্রযুক্তিপ্রেমী হিসেবে গড়ে তোলার লক্ষ্যে কোম্পানীর লক্ষ্য সঠিক ডিজিটাল দক্ষতা তৈরি করা।
ডিজিটাল হওয়া- বাংলালিংক তার ডিজিটাল ভিশন বাস্তবায়িত করার লক্ষ্যে একটি ডিজিটাল প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলবে। কোম্পানী তার প্রাতিষ্ঠানিক কাঠামো বিস্তৃত করবে যেন প্রতিষ্ঠানের সমস্ত অঙ্গন থেকে নতুন উদ্ভাবনী আইডিয়া উঠে আসে। এর মাধ্যমে বাংলালিংক আরো দ্রুত নতুন নতুন আইডিয়া বাজারে নিয়ে আসবে।
বাংলালিংক বিশ্বাস করে সার্বিক সততা নতুন ডিজিটাল সংস্কৃতির একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ বলে, এজন্য সামনে এগিয়ে যাবার পথে বাংলালিংক দুর্নীতি এবং অনৈতিক আচরণের প্রতি জিরো-টলারেন্স দেখাবে ।
ডিজিটাল ভাবনা- বাংলালিংকের ভবিষ্যত সাফল্যের জন্য একটি ডিজিটাল সংস্কৃতি এবং মানসিকতা অপরিহার্য। কোম্পানী একটি নেতৃত্বসুলভ উদ্দীপনার মাধ্যমে তার কর্মীদের লালন করবে যা উদ্ভাবনের চালিকাশক্তি হবে। বাংলালিংক কর্মীদের উৎসাহিত করা হবে যেন তারা নতুন নতুন ক্ষেত্রে গিয়ে কাজ করতে ভীত না হন।
এরিক অস্ বলেন, “আমি বাংলালিংকের সাথে এই নতুন ডিজিটাল যাত্রা শুরু করতে পেরে সম্মানিত এবং আনন্দিত বোধ করছি। আমি সত্যিকারভাবে বিশ্বাস করি আমরা বাংলালিংককে আমাদের গ্রাহকদের জন্য একটি ডিজিটাল সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান হিসেবে গড়ে তুলতে সক্ষম হব এবং সরকারকে ২০২১ সালের মধ্যে ডিজিটাল বাংলাদেশের স্বপ্ন সত্যি করতে সাহায্য করতে পারব”।
সাহস২৪ ডটকম-এর প্রকাশিত প্রচারিত কোনো সংবাদ তথ্য, ছবি, রেখাচিত্র, ভিডিও, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
মন্তব্য
মন্তব্যে প্রকাশিত মত মন্তব্যকারীর একান্তই নিজস্ব। সাহস২৪ ডটকম-এর সম্পাদকীয় নীতির সঙ্গে এসব মন্তব্যের কোনো মিল নাও থাকতে পারে। মন্তব্যকারীর বক্তব্যের বিষয়বস্তু নিয়ে সাহস২৪ ডটকম-এর কর্তৃপক্ষ আইনগত বা অন্য কোনো দায় নেবে না।