ছাতকে ছেলের হাতে সৎমা খুন : আটক ৩
ছাতকে ছেলের হাতে প্রবাসীর স্ত্রী খুনের ২ দিন পর লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। এঘটনার সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে সৎছেলে হাফিজুল ইসলাম (২৭)সহ ৩ জনকে আটক করা হয়েছে।
রবিবার রাত লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্যে সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতালে প্রেরণ করেছে। জানা যায়, উপজেলার সিংচাপইড় ইউনিয়নের আইনাকান্দি গ্রামের দুবাই প্রবাসী তাজুল ইসলামের ২ ছেলে রেখে প্রথম স্ত্রী মারা যান। পরে একই ইউনিয়নের বানীকান্দি গ্রামের সৈয়দ উকিল আলীর কন্যা সেলিনা বেগম (৩০)কে ২য় বিয়ে করেন। সেলিনা বেগমের ১ মেয়ে রয়েছে। তাজুল ইসলাম প্রথম স্ত্রীর এক সন্তানসহ দীর্ঘদিন থেকে তিনি দুবাইয়ে অবস্থান করছেন। এদিকে প্রথম হাফিজুল ইসলাম গত শুক্রবার রাতে তার সৎমা সেলিনাকে ডেকে ঘর থেকে বের করে। এরপর থেকে সেলিনা নিখোঁজ হয়। এব্যাপারে দেবর তারিক আলী জাউয়া পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রে সেলিনা নিখোঁজের বিষয়টি অবহিত করে। স্বামীর বাড়ির লোকজন মেয়েকে হত্যা করে লাশ গুম করে রেখেছে এ অভিযোগে তার পিতা সৈয়দ উকিল আলী পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রে অপর একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। এসব অভিযোগের প্রেক্ষিতে পুলিশ সৎছেলে হাফিজুলকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করে। একপর্যায়ে সৎ মাকে সে হত্যা করে আইনাকান্দি গ্রামের দক্ষিণের দীঘিরপার এলাকায় লাশ মাটি চাঁপা দিয়ে রেখেছে বলে পুলিশের কাছে স্বীকারোক্তি দেয়।
পরে রবিবার রাতে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে লাশ উদ্ধার করে মর্গে পাঠিয়েছে। আটককৃত আরো দু’জন হচ্ছে, আইনাকান্দি গ্রামের মৃত ছোরাব আলীর পুত্র সফিক মিয়া (৩৮) ও জাউয়া গ্রামের মৃত কুটি মিয়ার পুত্র রফিকুল ইসলাম (৩০)।
এব্যাপারে ছাতক থানার অফিসার্স ইনচার্জ আশেক সুজা মামুন বলেন, এঘটনায় সৎছেলেসহ ২ জনকে আটক করা হয়েছে। মামলার প্রস্তুতি চলছে। পারিবারিক কলহের জের ধরে এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটতে পারে বলে তিনি ধারণা করছেন।
সাহস২৪ ডটকম-এর প্রকাশিত প্রচারিত কোনো সংবাদ তথ্য, ছবি, রেখাচিত্র, ভিডিও, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
মন্তব্যে প্রকাশিত মত মন্তব্যকারীর একান্তই নিজস্ব। সাহস২৪ ডটকম-এর সম্পাদকীয় নীতির সঙ্গে এসব মন্তব্যের কোনো মিল নাও থাকতে পারে। মন্তব্যকারীর বক্তব্যের বিষয়বস্তু নিয়ে সাহস২৪ ডটকম-এর কর্তৃপক্ষ আইনগত বা অন্য কোনো দায় নেবে না।