গাইবান্ধায় কমিউনিটি ক্লিনিকের বেহাল দশা
গাইবান্ধা জেলার সদর উপজেলার খোলাহাটি ইউনিয়নের হাশেম বাজার কমিউনিটি ক্লিনিকের বেহাল দশা। ক্লিনিকে চিকিৎসক, ওষুধ সংকটসহ ব্যক্তিগত পরিচ্ছন্নতার প্রয়োজনীয় সুযোগের অভাব রয়েছে। এ অবস্থা শুধু এই ক্লিনিকেই নয় বরং সদর উপজেলার ৫১টি ক্লিনিকেই কমবেশী রয়েছে।
সোমবার সকাল সাড়ে ১১টায় ওই ক্লিনিকে গিয়ে শুধু কমিউনিটি হেলথ কেয়ার প্রভাইডার (সিএইচসিপি) মঈনুল ইসলামকেই পাওয়া গেল। কোন রোগী বা ওই ক্লিনিকের দায়িত্বপ্রাপ্ত পরিবার কল্যাণ সহকারি মৌলুদা বেগম এবং স্বাস্থ্য সহকারী লুৎফা বেগম অনুপস্থিত রয়েছেন। এই দুইজন দায়িত্বপ্রাপ্ত চিকিৎসা কর্মকর্তা নিয়মিত আসেন না। শুধু মাসে দুই থেকে তিনদিন এসে হাজিরা খাতায় স্বাক্ষর করে দায় সারেন।
এছাড়াও ক্লিনিকে কোন নৈশ প্রহরী, ঝাড়ুদার না থাকায় অরক্ষিত এবং অপরিচ্ছন্ন অবস্থায় কমিউনিটি ক্লিনিকটি চলছে। এমনকি বিদ্যুৎ সরবরাহ ব্যবস্থাও ক্লিনিকে নেই।
এই ক্লিনিকসহ সব ক্লিনিকেই আগে প্রতিমাসে ৩১ প্রকারের দুই কার্টুন ওষুধ দেওয়া হতো। অথচ এখন ৪ মাস পর পর দুই কার্টুন ওষুধ দেওয়া হচ্ছে। ডাক্তার এবং ওষুধ না থাকায় রোগীরাও ক্লিনিকে চিকিৎসা নিতে আসা বন্ধ করে দিয়েছে। হাসেম বাজার কমিউনিটি ক্লিনিকের পুরুষ এবং মহিলাদের ২টি টয়লেটই অকেজো। একটি টিওবয়েল থাকলেও অধিকাংশ সময়ই তা অকেজো হয়ে থাকে। নারী রোগীদের মিনিষ্ট্রিয়াল হাইজিন ও হাতধোয়া বিষয়ে পরামর্শ দেওয়া হলেও এখানে নারীদের টয়লেটে ওয়াশ বেসিনসহ পরিচ্ছন্নতার প্রয়োজনীয় সুযোগ না থাকায় নারী রোগীদের দুর্ভোগ পোহাতে হয়।
ক্লিনিকের দায়িত্বপ্রাপ্ত সিএইচসিপি মঈনুল ইসলাম জানান, এমএ পাশ করে তারা এই কমিউনিটি ক্লিনিকে চাকুরিতে ঢুকেছেন। মাসিক বেতনও নিয়মিত পাচ্ছেন না। এ কারণে এই চাকুরীতে কর্মরত যুবকরা চরম হতাশায় দিনাতিপাত করছে এবং কর্মের আগ্রহ হারিয়ে ফেলছে।
সাহস২৪ ডটকম-এর প্রকাশিত প্রচারিত কোনো সংবাদ তথ্য, ছবি, রেখাচিত্র, ভিডিও, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
মন্তব্যে প্রকাশিত মত মন্তব্যকারীর একান্তই নিজস্ব। সাহস২৪ ডটকম-এর সম্পাদকীয় নীতির সঙ্গে এসব মন্তব্যের কোনো মিল নাও থাকতে পারে। মন্তব্যকারীর বক্তব্যের বিষয়বস্তু নিয়ে সাহস২৪ ডটকম-এর কর্তৃপক্ষ আইনগত বা অন্য কোনো দায় নেবে না।