- হোম
- >
- আইন-মানবাধিকার
- >
- কালিহাতীর গুলির ঘটনা: তদন্তে ১৩ পুলিশের নাম
কালিহাতীর গুলির ঘটনা: তদন্তে ১৩ পুলিশের নাম
নিজস্ব প্রতিবেদক, প্রকাশ : ২২ ফেব্রুয়ারি, ২০১৬
প্রিন্টঅঅ-অ+
টাঙ্গাইলের কালিহাতী উপজেলায় পুলিশ-জনতা সংঘর্ষে চারজন নিহতের ঘটনায় ‘জড়িত’ ১৩ পুলিশের বিরুদ্ধে কী ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে তা জানতে চেয়েছেন হাইকোর্ট।
আগামী ৭ মার্চের মধ্যে এ বিষয়ে অগ্রগতি প্রতিবেদন আদালতে দাখিল করতে পুলিশের মহাপরিদর্শক ও ঢাকা রেঞ্জের ডিআইজিকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
সোমবার এ বিষয়ে পুলিশের করা দুটি তদন্ত প্রতিবেদন আদালতে উপস্থানের পর বিচারপতি মইনুল ইসলাম চৌধুরী ও বিচারপতি মো. ইকবাল কবিরের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
আদালতে রিট আবেদনের পক্ষে ছিলেন বাংলাদেশ জাতীয় মহিলা আইনজীবী সমিতির প্রেসিডেন্ট ফাওজিয়া করিম ফিরোজ।
রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মোতাহার হোসেন সাজু।
২০১৫ সালের ১৮ সেপ্টেম্বর ছেলের সামনে মাকে ধর্ষণের অভিযোগকে কেন্দ্র করে কালিহাতী উপজেলা সদরে বিক্ষুব্ধ জনতা ও আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সংঘর্ষে চারজন নিহত হন।
এ ঘটনায় বাংলাদেশ মহিলা আইনজীবী সমিতির পক্ষে গত বছরের ২১ সেপ্টেম্বর রিট করেন অ্যাডভোকেট সালমা আলী।
এ রিটের শুনানি নিয়ে একই বছরের ৩০ সেপ্টেম্বর ওই ঘটনার সব তদন্ত প্রতিবেদন ৬০ দিনের মধ্যে আদালতে জমা দিতে নির্দেশ দেন হাইকোর্ট।
ডেপুটি অ্যার্টনি জেনারেল মোতাহার হোসেন সাজু বলেন, এ ঘটনায় পুলিশ দুটি তদন্ত কমিটি গঠন করে। ২০১৫ সালের ৫ ডিসেম্বর তদন্ত প্রতিবেদন পুলিশ হেডকোয়াটার্সে জমা দেওয়া হয়। আর এ প্রতিবেদনগুলো হাইকোর্টে আসে ১৫ ডিসেম্বর। কোর্ট বন্ধ থাকায় এ প্রতিবেদনগুলো আজ উপস্থাপন করা হয়।
তিনি বলেন, তদন্ত প্রতিবেদনে ১৩ জন পুলিশের বিরুদ্ধে সাময়িক বরখাস্তের আদেশসহ শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিতে সুপারিশ করা হয়। এ সুপারিশ অনুসারে কী ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে তা ৭ মার্চের মধ্যে আইজিপি আদালতে প্রতিবেদন আকারে জানাবেন। এ বিষয়ে পরবর্তী আদেশের জন্য ৯ মার্চ দিন ঠিক করা হয়েছে।
সুপারিশে যাদের নাম উঠে এসেছে তারা হলেন- ঘটনার সময় টাঙ্গাইলে ভারপ্রাপ্ত পুলিশ সুপারের দায়িত্বে থাকা সঞ্জয় সরকার, টাঙ্গাইলের (উত্তর) অতিরিক্তি পুলিশ সুপার মোহাম্মদ শরিফুর রহমান, ঘাটাইল থানার সাবেক অফিসার ইনচার্জ পুলিশ পরিদর্শক (নিরস্ত্র) মো. মোখলেছুর রহমান (বর্তমানে খুলনা রেঞ্জে সংযুক্ত), ঘাটাইল থানার এএসআই মো.হারুন-অর রশিদ, ঘাটাইল থানার এসআই মো.ওমর ফারুক ও এসআই মুনসুপ আলী, কালিহাতী থানার প্রাক্তন অফিসার ইনচার্জ পুলিশ পরিদর্শক (নিরস্ত্র) মো. শহীদুল ইসলাম (বর্তমানে রংপুর রেঞ্জে সংযুক্ত), ওয়াচার কনস্টেবল মো. মাহতাব উদ্দিন (কালিহাতী থানা ডিএসবি জোন), কালিহাতী থানার এসআই মো. আবুল বাশার, মো. ছলিম উদ্দিন, কনস্টেবল মো. আমিনুল ইসলাম, জিয়াউল হক, তমাল চন্দ্র দেব।
এদের প্রায় সবার বিরুদ্ধে দ্বায়িত্ব ও কর্তব্য পালনে ব্যর্থতার পরিচয়, অসদাচরণ, কর্তব্যকর্মে অবহেলা এবং অদক্ষতার অভিযোগ এনে বিভিন্ন শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের সুপারিশ করা হয়।
তদন্ত কমিটির এই সুপারিশ কতটা কার্যকর করা হয়েছে সেটাই জানতে চেয়েছেন হাইকোর্ট।
সাহস২৪ ডটকম-এর প্রকাশিত প্রচারিত কোনো সংবাদ তথ্য, ছবি, রেখাচিত্র, ভিডিও, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
মন্তব্য
মন্তব্যে প্রকাশিত মত মন্তব্যকারীর একান্তই নিজস্ব। সাহস২৪ ডটকম-এর সম্পাদকীয় নীতির সঙ্গে এসব মন্তব্যের কোনো মিল নাও থাকতে পারে। মন্তব্যকারীর বক্তব্যের বিষয়বস্তু নিয়ে সাহস২৪ ডটকম-এর কর্তৃপক্ষ আইনগত বা অন্য কোনো দায় নেবে না।