নড়াইলের লোহাগড়ায় ধনিয়া চাষের প্রতি ব্যাপক হারে ঝুঁকছেন এ অঞ্চলের কৃষকেরা। লাভজনক এবং সময় উপযোগী হওয়ায় এবার ধনিয়া চাষে নজর সবার। তবে এ অঞ্চলে বেলে-দোঁআশ ও দোঁআশ মাটি ধনিয়া, বাদাম, পেয়াঁজ, সরিষা ইত্যাদি ফসল চাষের জন্য বেশ উপযোগী।

গত বছরও উপজেলায় ধনিয়া ক্ষেত ছিলনা চোখে পড়ার মত। এ মৌসুমে গ্রামের পথ বেয়ে চলার সময় রাস্তার দুপাশে ব্যাপক ধনিয়া ক্ষেত চোখে পড়ছে। ধনিয়া পাতা ও ফসল লোহাগড়ার কৃষকদের কাছে একটি লাভজনক ফসলে পরিণত হওয়ায় অন্যান্য বছরের তুলনায় এবার লক্ষ্যমাত্রার দ্বিগুন ফলন অর্জিত হবে বলে আশাবাদী স্থানীয় কৃষি কর্মকর্তা। ধনিয়া চাষে ভাগ্য ঘুরেছে এ অঞ্চলের অনেক গরীব চাষির। উপজেলার কালনা, রাজুপুর, বাকা, শিংগা, দিঘলিয়া, মল্লিকপুর, চাচই, দেবী, শরশুনা, সত্রহাজারীসহ বিভিন্ন অঞ্চল ঘুরে দেখা গেছে সুদূর ধনিয়া ক্ষেত।

এছাড়াও লাভের ভিন্ন দিক যুক্ত করেছে সবুজ পতা ও সদা বর্ণের ফুলে ফুলে মৌ মাছির ঝাঁক। এক শ্রেনির  মধুচাষী ধনিয়া ক্ষেতের পাশে মৌমাছির বাক্স বসিয়ে মধু সংগ্রহ করছেন।

শীতের সকাল বেলায় ভেজা মাঠে ধনিয়া ফুলের সুবাস বাতাসে ভাসছে। ধনিয়ার ক্ষেতগুলো দেখে মনে হয় কেউ যেন সবুজের মাঝে সাদা চাদর প্রকৃতির মাঠে বিছিয়ে রেখেছে। এদিকে কৃষকেরা মনে করেন, গত বছরের তুলনায় এবার ফলন ভালো হয়েছে। ধনিয়া চাষাবাদ খুব সহচ এবং স্বল্প সময়ে অধিক লাভজনক ফসল। এছাড়া এ ফসলের ক্ষেতে সেচ ও সার খুব কম লাগে।

চর কালনা গ্রামের কৃষক শহিদুল ইসলাম জানান, “আমি এবছর ২৫ শতক জমিতে ধনিয়া আবাদ করেছি। গত বছরের তুলনায় এ বছর ভালো ফলন হবে বলে আশা করছি”।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সাহস২৪.কম কে জানান, ধনিয়া চাষাবাদে খরচ ও রোগবালাই খুব কম হওয়ায় অন্যান্য মৌসূমের তুলনায় এ বছর লোহাগড়ায় কৃষকেরা অধিক হারে ধনিয়া চাষে করেছেন। সে কারণে এবছর ৩ শত ২৫ হেক্টর জমিতে ধনিয়া চাষের লক্ষ মাত্রা নির্ধারণ করা হলেও আবাদ হয়েছে ৪ শত ২৫ হেক্টর জমি”।