সুন্দরবনের কচিখালীর বলেশ্বরের আইনের আটবাম এলাকায় দস্যুদের গুলিতে ইসমাইল হোসেন (৩২) নামে এক জেলে নিহত হয়েছেন। একই ঘটনায় ৪ জেলে গুরুতর আহত হয়েছে বলে জানা গেছে।

এছাড়াও দস্যুরা ট্রলারের মাঝিকে অপহরণ করে সুন্দরবনের গহীনে নিয়ে যায়।শনিবার (২০ ফেব্রুয়ারি) দুপুর ১২টার দিকে আহতদের উদ্ধার করে পাথরঘাটা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।

নিহত জেলে ইসমাইল হোসেন পাথরঘাটা উপজেলার কাকচিড়া ইউনিয়নের রুপদোন গ্রামের আজগর আলীর ছেলে।

আহতরা হলেন- নাসির, নজরুল ইসলাম, ইসমাইল হোসেন ও রিয়াজ উদ্দিন। এদের সবার বাড়ি পাথরঘাটা উপজেলার কাকচিড়া ইউনিয়নের রুপদোন গ্রামে।

দস্যুদের হামলা থেকে ফিরে আসা জেলে নাসির উদ্দিন জানান, শুক্রবার রাত অনুমান ৯টার দিকে সুন্দরবনের কচিখালীর বল্বেশর আইনের আটবাম এলাকায় মাছ ধরার জন্য জাল টানছিল। এমন সময় পেছন থেকে ১৫ থেকে ২০ জনের সশস্ত্র দস্যু বাহিনী তাদের ধাওয়া করে জেলে বহরে হামলা চালায়। তারা চিৎকার দিলে দস্যুরা প্রথম ফাঁকা গুলি করে।

এর কিছুক্ষণ পর তাদের ট্রলারের কাছাকাছি এসে তাদের লক্ষ্য করে গুলি ছুড়লে ইসমাইল নামের এক জেলের বুকে গুলি লাগে। এতে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়। পরে ট্রলারে উঠে ওই দস্যু বাহিনী নিহত ইসমাইলকে মারধর করে। এ সময় সহযোগিরা চিৎকার দিলে ৪জন জেলেকে পিটিয়ে গুরুতর আহত করে। তাদের সবার মাথায় ও শরীরের বিভিন্ন জায়গায় আঘাতের চিহ্ন রয়েছে।

তিনি আরও জানান, ইসমাইল নিহত হওয়ার পর কান্নাকাটি করলে ওই ট্রলারের মাঝি রিয়াজ হোসেনকে অপহরণ করে নিয়ে যায় এবং ট্রলারের মাছ জাল, রসদ সামগ্রী ও তাদের সঙ্গে থাকা মোবাইল ফোন নিয়ে যায়।

শনিবার দুপুর ১২টার দিকে সহযোগী জেলেরা ইসমাইলের মরদেহ নিয়ে পাথরঘাটা লঞ্চ টার্মিনালে আসে।

কোস্টগার্ডের পাথরঘাটা স্টেশন কমান্ডার লে. এসএ রউফ বলেন, জেলের মৃতদেহটি দেখেছি। আহতদের দ্রুত পাথরঘাটা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

পাথরঘাটা থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এসএম জিয়াউল হক বলেন, মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হবে।

ওই জেলেদের ব্যবহৃত ট্রলারটি ২০০৭ সালের ১৫ নভেম্বর সিডর পরবর্তী সরকারি অনুদান ফাইবার ট্রলার দিয়ে তারা দীর্ঘদিন ধরে মাছ ধরে জীবিকা নির্বাহ করে।