গৃহবধূ দগ্ধ: স্বামী ও শ্বশুর-শাশুড়ির নামে মামলা
যশোর জেলার ঝিকরগাছায় পারিবারিক কলহের জের ধরে স্বামী-স্ত্রী অগ্নিদগ্ধের ঘটনায় তিনজনের নামে মামলা হয়েছে। মামলায় গৃহবধূর শ্বশুর রফিকুল ইসলাম, শাশুড়ি কোহিনুর বেগম ও স্বামী সুমন হোসেনকে আসামি করা হয়েছে। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অগ্নিদগ্ধ সুমনকে আটক দেখানো হয়েছে।
ঝিকরগাছা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোল্ল্যা খবির আহমেদ জানান, দুই বছর আগে উপজেলার মল্লিকপুর গ্রামের রফিকুল ইসলামের ছেলে সুমন হোসেনের সঙ্গে একই গ্রামের জাহাবক্সের মেয়ে মাসুরা বেগমের বিয়ে হয়। এরপর থেকে সুমন স্ত্রীকে নিয়ে শ্বশুর বাড়িতে বসবাস করছিলেন। সুমনের পরিবার বিয়ে মেনে নেয়নি। দুই বছর পর পরিবারের লোকজনকে ম্যানেজ করে ৩-৪ দিন আগে বাড়িতে ওঠে। তাদের রান্না ঘরে থাকতে দেয়া হয়। পরিবারের লোকজনের সঙ্গে ঝগড়া বিবাদ লেগেই ছিল। এক পর্যায়ে শুক্রবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে মাসুরা বেগম গায়ে কেরোসিন ঢেলে আগুন ধরিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করে। মাসুরার শরীরের আগুন নেভাতে গিয়ে সুমনও দগ্ধ হয়। পরে স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করে।
ওসি মোল্লা খবির আহমেদ আরও বলেন, ‘অগ্নিদগ্ধের ঘটনায় মেয়েটির বাবা জাহাবক্স বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেছেন। মামলায় জামাই সুমন হোসেন ও তার বাবা রফিকুল ইসলাম এবং মা কোহিনুর বেগমকে আসামি করা হয়েছে। এ ঘটনায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন সুমন হোসেনকে আটক করা হয়েছে।’
যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক ইউসুফ আলী বলেন, ‘মেয়েটির শরীরের ৮০ শতাংশ ও ছেলেটির শরীরের ৫০ শতাংশ পুড়ে গেছে। আশঙ্কাজনক অবস্থায় অগ্নিদগ্ধ মাসুরা বেগমকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে।’
সাহস২৪ ডটকম-এর প্রকাশিত প্রচারিত কোনো সংবাদ তথ্য, ছবি, রেখাচিত্র, ভিডিও, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
মন্তব্যে প্রকাশিত মত মন্তব্যকারীর একান্তই নিজস্ব। সাহস২৪ ডটকম-এর সম্পাদকীয় নীতির সঙ্গে এসব মন্তব্যের কোনো মিল নাও থাকতে পারে। মন্তব্যকারীর বক্তব্যের বিষয়বস্তু নিয়ে সাহস২৪ ডটকম-এর কর্তৃপক্ষ আইনগত বা অন্য কোনো দায় নেবে না।