চুয়াডাঙ্গায় যৌনউত্তেজক ট্যাবলেটসহ আটক ২ : পুলিশ-বিজিবি বাকবিতণ্ডা
চুয়াডাঙ্গা দামুড়হুদা উপজেলার কার্পাসডাঙ্গা ইউনিয়নের জগনাথপুর সীমান্তে ফকিরপাড়া ইটভাটার কাছে অর্ধকোটির টাকার ভারতীয় যৌনউত্তেজক ট্যাবলেট ও ইনজেকশনসহ আনোয়ার হোসেন (৩২) ও রাকিকুল ইসলামকে (২৬) নামে ২ চোরাচালানীকে আটক নিয়ে পুলিশ ও বিজিবির মধ্যে বাকবিতণ্ডার ঘটনা ঘটেছে।
এক পর্যায়ে বিজিবি সদস্যরা জোরপূর্বক মালামাল ও আসামি ছিনিয়ে নিয়ে গেছে বলে অভিযোগ তুলেছে পুলিশ।
অপরদিকে বিজিবি মুন্সিপুর সীমান্ত ফাঁড়ির কমান্ডার হাবিলদার নাসির জানান, পুলিশ কোন মালামাল আটক করেছে সেখানে বিজিবি হস্থক্ষেপ করেছে এমন কোন নজির নেই। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে এই চোরাচালানীদের আটক করতে সীমান্ত এলাকা থেকে পিছু ধাওয়া করে। আমরা আটককের পর পুলিশের একটি টহল দল এসে বলে এই মালের ব্যাপারে আমাদের কাছেও তথ্য ছিল সে মোতাবেক এসব মালামালসহ কারটি আটক করতেই আমাদের এখানে আসা। বুধবার সকাল সাড়ে ৬ টার দিকে এঘটনা ঘটে।
পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, বুধবার সকালে সীমান্ত থেকে ছেড়ে আসা একটি প্রাইভেটকার (ঢাকা মেট্র-খ-১২-৭৫৯৬) দামুড়হুদার ফকিরপাড়ার ইটভাটার কাছে পৌঁছায় সকাল ৬টার দিকে। এসময় নাটুদা পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ বিল্লাল হোনে সঙ্গীয় ফোর্সসহ গোপন সংবাদের ভিত্তিতে রাস্তায় করিমন আড় করি ব্যাড়িকেড দিয়ে প্রাইভেট কারটি গতিরোধ করে মেহেরপুর সদর উপজেলার আশরাফপুর গ্রামের মৃত মাওলাদ হাজীর ছেলে আনোয়ার হোসেন ও মজিবনগর উপজেলার পুরন্দপুর গ্রামের কাসেদ আলীর ছেলে রাকিবুলকে আটক করে।
এর পর মুন্সীপুর বিজিবি ক্যাম্পের হাবিলদার আরাফাত হোসেন সঙ্গীয় ফোর্সসহ ঘটনাস্থলে পৌঁছিয়ে আসামিসহ প্রাইভেটকারটি নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। এসময় পুলিশের সঙ্গে বিজিবি সদস্যদের আধাঘণ্টা বাকবিতণ্ডার পরে এক পর্যায়ে কোন সিজার লিষ্ট না করেই আসামিসহ প্রাইভেটকারটি নিয়ে যায় বিজিবি সদস্যরা।
পরে মাইক্রোবাস তল্লাশি করে অর্ধকোটি টাকার ভারতীয় ইনজেকশন ও ট্যাবলেট উদ্ধার করেছে বলে এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে বিজিবি।
দামুড়হুদা মডেল থানার সেকেন্ড অফিসার এসআই কবির জানান, নাটুদা পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ বিল্লাল হোসেন সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে অভিযান চালিয়ে ভারতীয় মালামাল ও একটি প্রাইভেটকারসহ ২ জন চোরাচালানীকে আটক করেন। এর পর মুন্সীপুর ক্যাম্পের বিজিবি সদস্যরা তা ছিনিয়ে নেওয়া চেষ্টা করলে তাদের সঙ্গে পুলিশের আধাঘণ্টা বাকবিতণ্ডার ঘটনা ঘটে। এর এক পর্যায়ে বিজিবি সদস্যরা জনগণের সামনে মালামালের জব্দ তালিকা না করে জোরপূর্বক আসামিসহ মালামাল ছিনিয়ে নিয়ে যায়। ঘটনাটি উর্দ্ধতন কর্মকর্তাদের জানানো হয়েছে বলেও তিনি জানান।
মুন্সীপুর বিজিবি ক্যাম্পের হাবিলদার আরাফাত হোসেন ছিনিয়ে নেওয়ার ঘটনাটি অস্বীকার করে জানান, সীমান্ত থেকে ধাওয়া করে বিজিবি আসামিসহ মালামাল আটক করেছে।
সাহস২৪ ডটকম-এর প্রকাশিত প্রচারিত কোনো সংবাদ তথ্য, ছবি, রেখাচিত্র, ভিডিও, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
মন্তব্যে প্রকাশিত মত মন্তব্যকারীর একান্তই নিজস্ব। সাহস২৪ ডটকম-এর সম্পাদকীয় নীতির সঙ্গে এসব মন্তব্যের কোনো মিল নাও থাকতে পারে। মন্তব্যকারীর বক্তব্যের বিষয়বস্তু নিয়ে সাহস২৪ ডটকম-এর কর্তৃপক্ষ আইনগত বা অন্য কোনো দায় নেবে না।