- হোম
- >
- আইন-মানবাধিকার
- >
- স্কুলছাত্রের পকেটে মাদক দিয়ে মিথ্যা মামলার অভিযোগ
স্কুলছাত্রের পকেটে মাদক দিয়ে মিথ্যা মামলার অভিযোগ
রাজধানীর পল্লবী থানার দুই এস আইয়ের বিরুদ্ধে ১৪ বছরের এক স্কুলছাত্রকে থানায় নিয়ে পকেটে হেরোইন ও ইয়াবা দিয়ে বয়স বাড়িয়ে মাদক ব্যবসায়ী বানিয়ে মিথ্যা মামলা দেয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। গতকাল সোমবার বাংলাদেশ ক্রাইম রিপোর্টার্স এসোসিয়েশনে (ক্র্যাব) এক সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ করেন গ্রেপ্তার হওয়া স্কুল ছাত্র আল-আমিনের বড় ভাই শহীদুল ইসলাম হীরা ও তার খালা কামরুন্নাহার সাথী।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে শহীদুল ইসলাম হীরা বলেন, তার চাচা শওকত হোসেন ২০১০ সালে পল্লবীর মাদক ব্যবসায়ী কালুর বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করেন। এরপর কালুর নেতৃত্বে এলাকার সন্ত্রাসীরা প্রকাশ্যে শওকতকে কুপিয়ে হত্যা করে। এ ঘটনার পর কালু ও তার বাহিনীর বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়ের করা হয়। কিন্তু কালু আদালত থেকে জামিনে বের হয়ে পুনরায় এলাকায় আধিপত্য বিস্তার ও মাদক ব্যবসা শুরু করে। কালু মামলা তুলে নিতে শওকতের পরিবারের সদস্যদের বিভিন্নভাবে হুমকি ও পুলিশের সহযোগিতায় একাধিক মিথ্যা মামলা দেন। আর এ কাজে ওই মাদক ব্যবসায়ীদের পক্ষ নেন পল্লবী থানার এসআই জোবায়ের ও এসআই বিল্লাল।
সংবাদ সম্মেলনে আরও বলা হয়, ২০১৫ সালের ২৯ নভেম্বর রাতে স্কুল ছাত্র তার ছোট ভাই আল-আমিন হাসপাতালে চিকিত্সাধীন মায়ের ওষুধ আনতে বাসা থেকে বের হন। স্থানীয় মাদক ব্যবসায়ী কালুর ভাই জুয়েল তাকে ডেকে নেয়। এসময় জুয়েল ফোন করে পুলিশের একটি দলকে ডেকে আনে। ঘটনাস্থলে আসেন এসআই জোবায়ের ও এসআই বিল্লাল। তারা আল আমিনের পকেটে হেরোইন ও ইয়াবা ঢুকিয়ে দিয়ে থানায় নিয়ে যায়। আল আমিনের বয়স বাড়িয়ে ১৪ বছরের স্থলে ২১ বছর করে মাদক মামলা দায়ের করে। পরে তাকে আদালতে পাঠানো হলে বিচারক তাকে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠান।
সংবাদ সম্মেলনে ভূক্তভোগী পরিবারের সদস্যরা বিষয়টির সঠিক তদন্ত করে আল-আমিনের মুক্তি ও সংশ্লিষ্ট পুলিশ কর্মকর্তাদের বিচার দাবি করেন।
সাহস২৪ ডটকম-এর প্রকাশিত প্রচারিত কোনো সংবাদ তথ্য, ছবি, রেখাচিত্র, ভিডিও, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
মন্তব্যে প্রকাশিত মত মন্তব্যকারীর একান্তই নিজস্ব। সাহস২৪ ডটকম-এর সম্পাদকীয় নীতির সঙ্গে এসব মন্তব্যের কোনো মিল নাও থাকতে পারে। মন্তব্যকারীর বক্তব্যের বিষয়বস্তু নিয়ে সাহস২৪ ডটকম-এর কর্তৃপক্ষ আইনগত বা অন্য কোনো দায় নেবে না।