ঠাকুরগাঁওয়ে ইটভাটায় পুড়ছে কাঠ, হুমকির মুখে পরিবেশ
সরকারি বিধি অমান্য করে উন্নত প্রযুক্তিতে রুপান্তিত না হওয়ার কারণে পরিবেশ বিধিমালা লংঘন করে ঠাকুরগাঁও ইটভাটা গুলোতে অবাধে পোড়ানো হচ্ছে কাঠ।
এসব ভাটায় দেখা যায় ইটের থেকে কাট খড়ির সংখ্যা বেশি। বসতবাড়ির আশেপাশে ও কৃষি জমিতে গড়ে ওঠা ইটভাটা গুলোতে আইন না মেনে কাঠ পুড়িয়ে ফলজ বৃক্ষ ধংস ও পরিবেশ দুষণ করছে। ফলে এলাকার জনস্বাস্থ্য বিশেষ করে শিশু ও কিশোররা হুমকির মুখে পড়েছে।
জানা গেছে, ঠাকুরগাঁও জেলার ইটভাটার সংখ্যা প্রায় ৫০টির ওপরে। এরমধ্যে অধিকাংশই বৈধ কাগজপত্র ও পরিবেশ অধিদপ্তরের অনুমোদন ছাড়া।
এসব জায়গায় পুরনো চিমনি পদ্ধতিতে ইট পোড়ানোর কাজ চলে। অধিকাংশ ভাটার মালিক স্থানীয় প্রভাবশালী ব্যক্তি হওয়ার কারণে গ্রামের বসত-বাড়ীর আশেপাশে ও কৃষি জমিতে অপরিকল্পিত ভাবে ভাটা গড়ে উঠলেও সাধারণ মানুষ প্রতিবাদ করতে সাহস পায় না।
ইটভাটায় কয়লা পোড়ানোর আইনগত নির্দেশ থাকলেও সুযোগ পেলেই ভাটায় কাঠ পুড়িয়ে ইট তৈরী করা হচ্ছে। এতে ফলবান বৃক্ষ উজাড় হচ্ছে। দ্রুত হ্রাস পাচ্ছে মাটির উর্বরতা ও আবাদি জমির পরিমান। ভাটার চুল্লির চিমনি নির্ধারিত মাপের চেয়ে নিচু হওয়ায় ভাটার নির্গত বিষাক্ত ধোয়ার কারণে পার্শ্ববতী ফসলের ক্ষেত ও জনজীবন মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। ভাটায় কর্মরত শ্রমিকরাও ধুলো ধোঁয়ার কারণে শ্বাসকষ্টসহ নানা রোগে আক্রান্ত হচ্ছে।
আবাদী জমি ইট পোড়ানোর কাজে ব্যবহার হওয়ায় জমির উর্বরতা শক্তি নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। যা পুণরায় স্বাভাবিক চাষবাদের উপযোগি করতে প্রায় ১০/১২ বছর সময় লেগে যায়।
ভাটার কালো ধোঁয়া নিকটবর্তী জমির ফসল ও ধানের অপরিপক্ক শীষ নষ্ট করে দেয়। ভুমির উপরিভাগের জীব বৈচিত্র বিনষ্ট হয়। ইট ভাটার জন্য দেশে প্রচলিত আইন থাকলেও, ঠাকুরগাঁও-এ তার কোন প্রয়োগ নেই বললেই চলে।
সদর উপজেলার বিভিন্ন গ্রাম ঘুরে দেখা যায় প্রকাশ্যে কাঁঠ পোড়ানো হচ্ছে। এ বিষয় নিয়ে কথা বললে তিনি জানান, আমি তো একাই কাঁঠ পুড়ছি না। দেখেন অনেক ভাটাতেই কাঁঠ পোড়ানো হচ্ছে।
ইট ভাটাটি শিক্ষার্থী ও গ্রামবাসীর মারাক্তক ক্ষতি করছে বলে এলাকাবাসীদের অভিযোগ। স্থানীয় প্রশাসন এসব ভাটার মালিকদের বিরুদ্ধে কার্যকর কোন পদক্ষেপ না নেওয়ায় প্রতি বছর বে-আইনি ইট ভাটার সংখ্যা বাড়ছে।
সাহস২৪ ডটকম-এর প্রকাশিত প্রচারিত কোনো সংবাদ তথ্য, ছবি, রেখাচিত্র, ভিডিও, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
মন্তব্যে প্রকাশিত মত মন্তব্যকারীর একান্তই নিজস্ব। সাহস২৪ ডটকম-এর সম্পাদকীয় নীতির সঙ্গে এসব মন্তব্যের কোনো মিল নাও থাকতে পারে। মন্তব্যকারীর বক্তব্যের বিষয়বস্তু নিয়ে সাহস২৪ ডটকম-এর কর্তৃপক্ষ আইনগত বা অন্য কোনো দায় নেবে না।