চকরিয়ায় আ.লীগের টিকেট পেতে মরিয়া ১৫ প্রার্থী
চকরিয়া পৌরসভা নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা হয়েছে। নির্বাচন কমিশনের ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী এখানে নির্বাচন হবে আগামী ২০ মার্চ।
এবারের নির্বাচনে আ.লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশী হিসেবে মেয়র পদে প্রার্থী রয়েছেন ১৫ জন। দীর্ঘদিন ধরে তাঁরা এলাকায় নানাভাবে গনসংযোগ, কুশল বিনিময়ও করছেন।
বর্তমানে বেশির ভাগ প্রার্থী মেয়র পদে দলীয় টিকেট পেতে তৃণমূল থেকে দলের হাইকমান্ডের কাছে ধর্ণা দিচ্ছেন। বলতে গেলে এসব প্রার্থীরা মনোনয়নের জন্য এখন নির্ঘুম রাত কাটাচ্ছেন। অনেকে আ.লীগের সিনিয়র নেতাদের সমর্থন পেতে কয়েকদিন ধরে রাজধানী ঢাকা অবস্থান করছেন।
দেশে প্রথম দফা পৌর নির্বাচন অনুষ্ঠানের আগ পর্যন্ত চকরিয়া পৌরসভার মেয়র পদে আ.লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশী প্রার্থী ছিলেন মাত্র ছয়জন। তাঁরা হলেন, উপজেলা আ.লীগের সহ-সভাপতি ও সাবেক কাউন্সিলর ফজলুল করিম সাঈদী, পৌরসভা আ.লীগের সভাপতি সাবেক প্যানেল মেয়র জাহেদুল ইসলাম লিটু, জেলা আ.লীগের আগের কমিটির ত্রাণ ও সমাজ কল্যাণ সম্পাদক মোঃ নুরুল আবছার, উপজেলা আ.লীগের যুগ্ম সম্পাদক আলমগীর চৌধুরী, পৌর আ.লীগের সহ-সভাপতি ওয়ালিদ মিল্টন ও উপজেলা আ.লীগের সহ-সভাপতি ছৈয়দ আলম কমিশনার।
কিন্তু দ্বিতীয় দফা নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার আগ মুহূর্তে এখানে বাড়তে থাকে আ.লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশীর সংখ্যা। এরপর মেয়র পদে মনোনয়ন প্রত্যাশী তালিকায় যুক্ত হন পৌরসভা আ.লীগের সাবেক আহ্বায়ক ও চকরিয়া কলেজের অধ্যক্ষ একেএম গিয়াস উদ্দিন, উপজেলা আ.লীগের সিনিয়র যুগ্ম সম্পাদক জামাল উদ্দিন জয়নাল, উপজেলা আ.লীগের সাবেক সহ-সভাপতি এডভোকেট লূৎফুল কবির, পৌরসভা আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক আতিক উদ্দিন চৌধুরী, উপজেলা আ.লীগের ত্রাণ ও সমাজ কল্যাণ সম্পাদক শিল্পপতি শফিউল আলম বাহার।
তাদের বাইরে নীরবে দলীয় মনোনয়ন পেতে চেষ্টা করছেন উপজেলা সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি সাবেক ছাত্রনেতা আমিনুর রশিদ দুলাল, উপজেলা কেন্দ্রীয় সমবায় সমিতির চেয়ারম্যান সেলিম উল্লাহ, কাপ্তাই উপজেলা পরিষদের প্রাক্তন চেয়ারম্যান আ.লীগ নেতা সৈয়দ সাহাব উদ্দিন মাহমুদ ও আ.লীগ নেতা সাংবাদিক এসএম সিরাজুল হক।
আ.লীগের তৃনমুলের নেতাকর্মী ও সাধারণ ভোটারদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, চকরিয়া পৌরসভা নির্বাচনে মেয়র পদে আ.লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশী হিসেবে প্রার্থী সংখ্যা বাড়লেও সব প্রার্থী কিন্তু সমানভাবে জনপ্রিয়তা অর্জন করতে পারেনি ভোটের মাঠে। সাংগঠনিক দক্ষতা ও ব্যক্তিগত ইমেজের কারণে হাতে গোনা মাত্র কয়েকজন প্রার্থী ভোটের মাঠে জনপ্রিয়তায় রয়েছেন।
এসব প্রার্থীদের মধ্যে বেশ সুবিধাজনক অবস্থানে রয়েছেন পৌরসভা আ.লীগের সভাপতি জাহেদুল ইসলাম লিটু, পৌর আ.লীগের সহ-সভাপতি ওয়ালিদ মিল্টন ও আ.লীগ নেতা ফজলুল করিম সাঈদী।
উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তার দপ্তর সূত্রে জানা গেছে, নির্বাচনে চকরিয়া পৌরসভার ৯টি ওয়ার্ডে ভোট দেবেন মোট ৩৯ হাজার ৯৯২ জন ভোটার। তার মধ্যে ১ নম্বর ওয়ার্ডে ২ হাজার ১৯৩ জন পুরুষ ও ১ হাজার ৯১৫ জন নারী ভোটার, ২ নম্বর ওয়ার্ডে ২হাজার ৩৪১ জন পুরুষ ও ২ হাজার ৪৩ জন নারী ভোটার, ৩ নম্বর ওয়ার্ডে ২ হাজার ৩৯০ জন পুরুষ ও ২ হাজার ১১৮ জন নারী ভোটার, ৪ নম্বর ওয়ার্ডে ২ হাজার ৫৪ জন পুরুষ ও ১ হাজার ৮৫০ জন নারী ভোটার, ৫ নম্বর ওর্য়াডে ২ হাজার ৪৯৪ জন পুরুষ ও ২ হাজার ২১১ জন মহিলা ভোটার, ৬ নম্বর ওয়ার্ডে ২ হাজার ২৬৮ জন পুরুষ ও ২ হাজার ২২০ জন নারী ভোটার, ৭ নম্বর ওয়ার্ডে ২ হাজার ৫৫২ জন পুরুষ ও ২ হাজার ৩৫৮ জন নারী ভোটার, ৮ নম্বর ওয়ার্ডে ২ হাজার ৫৯৪ জন পুরুষ ও ২ হাজার ৩০৪ জন নারী ভোটার ও ৯ নম্বর ওয়ার্ডে ২ হাজার ১৮৪ জন পুরুষ ও ১ হাজার ৮৯৯ জন নারী ভোটার রয়েছেন।
সাহস২৪ ডটকম-এর প্রকাশিত প্রচারিত কোনো সংবাদ তথ্য, ছবি, রেখাচিত্র, ভিডিও, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
মন্তব্যে প্রকাশিত মত মন্তব্যকারীর একান্তই নিজস্ব। সাহস২৪ ডটকম-এর সম্পাদকীয় নীতির সঙ্গে এসব মন্তব্যের কোনো মিল নাও থাকতে পারে। মন্তব্যকারীর বক্তব্যের বিষয়বস্তু নিয়ে সাহস২৪ ডটকম-এর কর্তৃপক্ষ আইনগত বা অন্য কোনো দায় নেবে না।