থাই দূতাবাসে ২০ হাজার পাসপোর্ট বস্তাবন্দি
ভিসার জন্য থাই দূতাবাসে পাসপোর্ট জমা দিয়ে বিপাকে পড়েছেন প্রায় ২০ হাজার আবেদনকারী। এদের মধ্যে রোগী, ব্যবসায়ী, পর্যটক, শিক্ষার্থীও রয়েছেন। গত দুই মাস ধরে থাইল্যান্ড দূতাবাস ভিসা না দেওয়ায় চিকিৎসা কিংবা ব্যাবসার কাজে থাইল্যান্ডে যেতে পারছেন না আবেদনকারীরা। এমনকি পাসপোর্টও ফেরত পাচ্ছেন না তারা।
এ ব্যাপারে কোনো ব্যাখ্যা দিচ্ছেন না থাই দূতাবাস। এমনকি থাইল্যান্ডের ভিসা প্রসেসের জন্য নির্দিষ্ট এজেন্ট ভিএফএস গ্লোবালও আবেদনকারীদের পাসপোর্ট ও ভিসা না দেওয়ার বিষয়ে কিছু জানাতে পারছে না।
ট্রাভেল এজেন্সিগুলো সাথে কথা বলে জানা যায়, থাই দূতাবাস গত ডিসেম্বর থেকেই ভিসা নিয়ে জটিলতা করছে।
এজেন্সিগুলো আরও জানায়, দূতাবাসে নতুন ভিসা কর্মকর্তার যোগদানের পর থেকেই এই জটিলতা সৃষ্টি হয়েছে। আগে থাইল্যান্ডে ভিসা আবেদনকারীরা চার-পাঁচ কর্মদিবসের মধ্যেই সব প্রক্রিয়া শেষ করে ভিসা হাতে পেয়ে যেতেন।
এবার ডিসেম্বরের মাঝামাঝি থেকে যারা ভিসার আবেদন করে পাসপোর্ট জমা দিয়েছেন তাদের মধ্যে মাত্র ১০ ভাগ আবেদনকারীর পাসপোর্ট ফেরত দেওয়া হয়েছে। বাকি ৯০ ভাগ পাসপোর্টই আটকে আছে দূতাবাসে।
এ অবস্থায় সবচেয়ে বেশি বিপাকে পড়েছেন যারা চিকিৎসার জন্য থাইল্যান্ড যেতে চেয়েছিলেন। পাসপোর্ট ফেরত না পাওয়ায় রোগীরা অন্য কোনো দেশে যাওয়ার জন্যও আবেদন করতে পারছেন না।
জানা যায়, থাইল্যান্ডের ভিসার জন্য প্রতিদিন গড়ে পাঁচ শতাধিক আবেদন জমা পড়ে ভিএফএস গ্লোবাল সেন্টারে। এই হিসাবে গত দুই মাসে ২০ হাজারেরও বেশি পাসপোর্ট জমা পড়ে। তবে কী কারণে পাসপোর্ট আটকা আছে সে বিষয়েও ভিএফএসের কর্মকর্তাদের কাছ থেকে কোনো জবাব মিলছে না।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা যায়, থাই ইমিগ্রেশন বিভাগ ভিসা পদ্ধতিতে পরিবর্তন এনেছে। যে কোনো ভিসার আবেদন ব্যাংকক থেকে অনুমোদন দেওয়া হয়। আবেদনের প্রতিটি কাগজপত্র পরীক্ষা করে দেখা হচ্ছে। কনস্যুলার শাখায় নতুন দুজন কর্মকর্তা ভিসা প্রক্রিয়া সম্পাদনের কাজ করছেন। কিন্তু নতুন পদ্ধতিতে ভিসা প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে তারা রীতিমতো হাঁপিয়ে উঠেছেন।
সূত্র আরও জানায়, প্রায় তিন মাস ধরে থাই দূতাবাসে কোনো রাষ্ট্রদূত নেই। মার্চের আগে ঢাকায় নতুন রাষ্ট্রদূত আসার সম্ভাবনাও নেই। বর্তমানে একজন কাউন্সিলর চার্জ দ্য এফেয়ার্সের দায়িত্বে আছেন।
সাহস২৪ ডটকম-এর প্রকাশিত প্রচারিত কোনো সংবাদ তথ্য, ছবি, রেখাচিত্র, ভিডিও, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
মন্তব্যে প্রকাশিত মত মন্তব্যকারীর একান্তই নিজস্ব। সাহস২৪ ডটকম-এর সম্পাদকীয় নীতির সঙ্গে এসব মন্তব্যের কোনো মিল নাও থাকতে পারে। মন্তব্যকারীর বক্তব্যের বিষয়বস্তু নিয়ে সাহস২৪ ডটকম-এর কর্তৃপক্ষ আইনগত বা অন্য কোনো দায় নেবে না।