দিনাজপুর-নবাবগঞ্জকে ইউএনও পেটানোর মামলায় বৃহস্পতিবার আওয়ামী লীগ, ছাত্রলীগ ও যুবলীগের ২৪ জনকে জেলহাজতে প্রেরণ করা হয়েছে। এছাড়া জামিন পেয়েছেন ৩ জন, গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারী করা হয়েছে ৫ আসামির বিরুদ্ধে।

১১ ফেব্রুয়ারি (বৃহস্পতিবার) দিনাজপুরের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট গোপাল চন্দ্র রায়ের আদালতে এ রায় দেওয়া হয়।

আদালত সূত্রে জানা যায়, ইউএনও পেটানো মামলায় অভিযুক্ত আওয়ামী লীগ, ছাত্রলীগ ও যুবলীগের ২৭ জন নেতাকর্মী এ দিন দিনাজপুরের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট গোপাল চন্দ্র রায়ের আদালতে আত্মসমর্পন করেন। জামিনের আবেদন করেলে বিজ্ঞ বিচারক ৩ জনের জামিন মঞ্জুর করে ২৪ জনকে দিনাজপুর জেল হাজতে প্রেরণের আদেশ দেন।

জামিন মঞ্জুর করা ৩ আওয়ামী লীগ কর্মীরা হলেন:- লুৎফর রহমান মুকুল, মোস্তাফিজুর রহমান ও হারাজ আলীর। জেল হাজতে পাঠানো ২৪ জন নেতাকর্মী হলেন তাইবুর রহমান, মারফিজুল, জনি, রাসেল, মনোয়ার, দিলিপ কুমার, জিয়াউর রহমান মানিক, আব্দুল মান্নান, আলম, আশরাফুল, রুহুল আমিন, আখেরুল ইসলাম, শাহিনুর রহমান সবুজ, শাহিনুর, নুর শামীম, সাইফুল, হুমায়ুন কবির, আব্দুল হাদি, মোয়াজ্জেম হোসেন, মাবেদুর, আলমাস, মামুন, বাবু ও জামিনুর রহমান।

আদালতে হাজির না হওয়ায় ৫ আসামি আবু ওয়ালি, উজ্জল, মাসুদ, রানা ও আলমের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারী করা হয়।

উল্লেখ্য, গত ২০১৪ সালের ১লা অক্টোবর দিনাজপুর-নবাবগঞ্জ উপজেলার ৩৯টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ৩৯ জন নৈশ্যপ্রহরী কাম পিয়ন নিয়োগকে কেন্দ্র করে আওয়ামী লীগ, ছাত্রলীগ ও যুবলীগের নেতাকর্মীরা ইউএনও অফিসে হামলা করে ব্যাপক ভাংচুর ও ইউএনও সৈয়দ ফরহাদ হোসেনকে বেধড়ক পিটিয়ে আহত করে। এই ঘটনায় ইউএনও অফিসের সুপার আব্দুর রহমান বাদী হয়ে ৩৫ জনের নাম উল্লেখ করে নবাবগঞ্জ থানায় মামলা দায়ের করেন।

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ডিবির এসআই বজলুর রশিদ তদন্ত করে ৫ জনকে মামলা থেকে অব্যহতির আবেদন করেন এবং তদন্তকালীন আরো ২ জনসহ ৩২ জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র পেশ করেন। হাইকোর্ট থেকে জামিন নিয়ে বৃহস্পতিবার ৩২ জনের মধ্যে ২৭ জন আসামি সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে জামিনের আবেদন করলে বিচারক আবেদন নাকচ করে ২৪ জনকে জেল হাজতে প্রেরণের আদেশ দেন।