পুরানা পল্টনের প্রগতি মিলনায়তনে বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়নের কেন্দ্রীয় কমিটি এবং জাতীয় পরিষদের সভা অনুষ্ঠিত হয়।

গত ৫-৬ ফেব্রুয়ারি সভায় সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন কেন্দ্রীয় সংসদের সভাপতি লাকী আক্তার এবং সভা সঞ্চালনা করেন বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক জি এম জিলানী শুভ।

২ দিনের সভায় সাধারণ সম্পাদকের রিপোর্ট, সাংগঠনিক সম্পাদকের রিপোর্ট ও পরিকল্পনা, শোক প্রস্তাব, অর্থ রিপোর্ট নিয়ে আলোচনা হয়।

উক্ত সভায় জাতীয় রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে বিস্তারিতভাবে পর্যালোচনা করা হয়। দেশব্যাপী উন্নয়ন এবং গণতন্ত্রের মুখোমুখী দাঁড় করিয়ে দেবার প্রচেষ্টা এবং উন্নয়নের নাম দিয়ে লুটপাটতন্ত্র এবং স্বৈরতন্ত্রকে জায়েজ করার চেষ্টা বর্তমান বাংলাদেশে লক্ষণীয়। শিক্ষা সংকট নিরসনে সামগ্রিকভাবে শিক্ষা আন্দোলন গড়ে তোলার লক্ষ্যে ছাত্র, শিক্ষক, বুদ্ধিজীবী এবং সংস্কৃতিকর্মীদের সমন্বয়ে শিক্ষা আন্দোলন গড়ে তোলার পরিকল্পনা গৃহিত হয়।

দেশব্যাপী জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের সংকট নিরসনে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় কনভেনশন, জাতীয় কর্মশালা দেশব্যাপী সকল বিদ্যালয়সমূহে কুইজ প্রতিযোগিতা, বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজসমূহের নবীন বরণ অনুষ্ঠিত করার পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়। নতুন গৃহিত কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে (১) ১০ থেকে ২৯ ফেব্রুয়ারি দেশব্যাপী সদস্য সংগ্রহ অভিযান (২) ৩১ মার্চ, ১-২ এপ্রিল জাতীয় সাংগঠনিক কর্মশালা (৩) ২৬ এপ্রিল ৬৪তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে জেলায় জেলায় হাজারো ছাত্রের সমাবেশ।

সভায় ৩৭তম ঢাকা মহানগর কাউন্সিলে শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে ১০ জন সদস্যকে বিভিন্ন মেয়াদে শাস্তি প্রদান করা হয়। সভায় সুমন সেন গুপ্তকে আহ্বায়ক করে ফয়জুর মেহেদী, শামীম আহমেদ, ঋদ্ধ অনিন্দ, হুমায়ুন কবীর, জহর লাল রায়, রেদোয়ান রাহাত, ইব্রাহিম মিমো, আল-আমিনকে নিয়ে ৯ সদস্য বিশিষ্ট আহ্বায়ক কমিটি গঠন করা হয়।