গাইবান্ধায় ১০ হাজার মানুষের কর্মসংস্থান
বিশ্বখাদ্য কর্মসূচির (ডবিউএফপি) অর্থায়নে ইকো-সোশ্যাল ডেভেলপমেন্ট অর্গানাইজেশনের (ইএসডিও) বাস্তবায়নাধীন ই-আর প্রকল্পের আওতায় গাইবান্ধায় নতুন কর্মসংস্থান পেয়েছেন জেলার হতদরিদ্র ১০ হাজার নারী-পুরুষ।
অতিমাত্রায় দুর্যোগপ্রবণ গ্রাম-জনপদের উন্নয়ন ও কর্মহীন পরিবারের নারী-পুরুষের জীবিকা উন্নয়নে ইতিবাচক পরিবর্তন ঘটাতে বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচির আওতায় ইএসডিও চলতি বছর ৫ জানুয়ারিতে কাজ শুরু করে।
অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থ সম্পর্কিত বিভাগের অতিরিক্ত সচিব মাহামুদা বেগম, ডবি¬উএফপির রংপুর অঞ্চলের হেড অব সাব অফিস হাফিজা খাঁন, ই-আর প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক সাইফুল ইসলাম প্রকল্পের কাজের উদ্বোধন করেন।
গাইবান্ধা সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আশরাফুল মমিন খাঁন জানান, জলবায়ু পরিবর্তন সহন ক্ষমতা বৃদ্ধি শীর্ষক ই-আর প্রকল্পের মাধ্যমে ১০ হাজার নারী-পুরুষের কর্মসংস্থানে সুদিন ফিরেছে জেলার সদর, গোবিন্দগঞ্জ, পলাশবাড়ী, সাঘাটা ও ফুলছড়ি উপজেলার ১৫ ইউনিয়নে।
ই-আর প্রকল্পের আওতায় ৭০ শতাংশ নারী ও ৩০ শতাংশ পুরুষ রয়েছেন। ৫ জানুয়ারি থেকে শুরু হওয়া ই-আর প্রকল্পের ৫৫টি স্কিমের আওতায় কাজের বিনিময়ে প্রতিদিন ১৭৭ টাকা করে পাচ্ছেন তারা। ৮৫ দিনের এ প্রকল্পে ১৫ কোটি ৪৫ লাখ টাকা ব্যয় হবে। ইতোমধ্যে ৭০ ভাগ স্কিমে কাজ সম্পূর্ণ হয়েছে।
প্রকল্প এলাকাগুলো বন্যাপ্রবণ হওয়ায় গ্রামীণ রাস্তাঘাট ও আশ্রয়কেন্দ্রগুলো প্রায়ই ক্ষতিগ্রস্ত হয়। ই-আর প্রকল্পের স্কিমের আওতায় আশ্রয়কেন্দ্র নির্মাণের পাশাপাশি দরিদ্র পরিবারগুলোকে দুর্যোগ ঝুঁকি হ্রাসে নানা প্রশিক্ষণও দেওয়া হচ্ছে।
প্রকল্পের অগ্রগতি নিয়ে ইউএনও আশরাফুল মমিন বলেন, দুর্যোগ ঝুঁকি হ্রাসে জেলার পাঁচ উপজেলার ১১ ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রামে ই-আর প্রকল্প সহায়ক ভূমিকা রাখছে। সেই সাথে কর্মহীন পরিবারের কর্মসংস্থান সৃষ্টি হওয়ার ফলে পর নির্ভরশীলতা দূর হয়েছে।
সাহস২৪ ডটকম-এর প্রকাশিত প্রচারিত কোনো সংবাদ তথ্য, ছবি, রেখাচিত্র, ভিডিও, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
মন্তব্যে প্রকাশিত মত মন্তব্যকারীর একান্তই নিজস্ব। সাহস২৪ ডটকম-এর সম্পাদকীয় নীতির সঙ্গে এসব মন্তব্যের কোনো মিল নাও থাকতে পারে। মন্তব্যকারীর বক্তব্যের বিষয়বস্তু নিয়ে সাহস২৪ ডটকম-এর কর্তৃপক্ষ আইনগত বা অন্য কোনো দায় নেবে না।