অভিনেতা ফরিদ আলীর চিকিৎসার দায়িত্ব নিলেন প্রধানমন্ত্রী
অবশেষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দায়িত্ব নিলেন কৌতুক অভিনেতা ফরিদ আলীর চিকিৎসার।
সোমবার (৮ ফেব্রুয়ারি) রাতে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে তাকে ভর্তি করা হয়েছে জাতীয় হৃদরোগ ইন্সটিটিউটে। মুক্তিযোদ্ধা ফরিদ আলীর পরিবারের সদস্যরা প্রধানমন্ত্রীর প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন।
দীর্ঘদিন ধরেই হৃদযন্ত্রের বিভিন্ন জটিল রোগে ভুগছেন এক সময়ের ছোট ও বড়পর্দার জনপ্রিয় কৌতুক অভিনেতা ফরিদ আলী।
৩ ফেব্রুয়ারি চ্যানেল আইয়ের মাধ্যমে তার পরিবারের সদস্যরা প্রধানমন্ত্রীর কাছে সুচিকিৎসার সহায়তা চান। অসামর্থ্যর কথা প্রকাশ হয় অন্যান্য গণমাধ্যমেও।
এরপর সোমবার (৮ ফেব্রুয়ারি) রাতে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে ফরিদ আলীকে ভর্তি করা হয় জাতীয় হৃদরোগ ইন্সটিটিউট ও হাসপাতালে।
ফরিদ আলীর ছেলে ইমরান আলী জয় বলেন, আমার বাবার অসুস্থতার খবর প্রকাশের পর প্রধানমন্ত্রীর কাছ থেকে সাড়া আসলো।
মাননীয় প্রধানমন্ত্রী যেহেতু দায়িত্ব নিয়েছেন তাই এখান থেকে যদি ভালো হওয়ার থাকে তবে ভালো হয়ে যাবেন।
অনেক কিছু মনে করতে না পারলেও বঙ্গবন্ধু এবং তার পরিবারের সঙ্গে মধুর সব স্মৃতি এখনও অমলিন ফরিদ আলীর স্মৃতিতে। কৌতুক অভিনেতা ফরিদ আলী বলেন, ফেমাস হয়েছি আমজাদ হোসেনের নাটক ‘টাকা দেন দুবাই যাবো, বাংলাদেশে থাকবো না।’
তিনি আরো বলেন, বঙ্গবন্ধু আমারে ‘চার্লি ফরু’ কয়, আমি চান্স পাইলেই বঙ্গবন্ধুর পকেট মাইরা দিতাম। ‘দেখছ হারামজাদা কেমন আমার পকেট মারে ওমনি…
ওনি আমারে যে কি ভালবাসতো!
প্রধানমন্ত্রীর প্রতি কৃতজ্ঞতা জানায় মুক্তিযোদ্ধা ফরিদ আলীর পরিবার। ফরিদ আলীর স্ত্রী মনোয়ারা বেগম বলেন, প্রধানমন্ত্রী ডাকের পর এখানে আসলাম এজন্য প্রধানমন্ত্রীকে অশেষ ধন্যবাদ। আল্লাহ যেন ওনাকে বাঁচিয়ে রাখেন।
তার সুস্থতার জন্য পরিবারের সদস্যরা দেশবাসীর কাছে দোয়া চেয়েছেন।
সাহস২৪ ডটকম-এর প্রকাশিত প্রচারিত কোনো সংবাদ তথ্য, ছবি, রেখাচিত্র, ভিডিও, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
মন্তব্যে প্রকাশিত মত মন্তব্যকারীর একান্তই নিজস্ব। সাহস২৪ ডটকম-এর সম্পাদকীয় নীতির সঙ্গে এসব মন্তব্যের কোনো মিল নাও থাকতে পারে। মন্তব্যকারীর বক্তব্যের বিষয়বস্তু নিয়ে সাহস২৪ ডটকম-এর কর্তৃপক্ষ আইনগত বা অন্য কোনো দায় নেবে না।