দর্শনা রেলস্টেশন ও স্থলবন্দরে ‘জিকা ভাইরাস’ শনাক্তের ব্যবস্থা নেই
চুয়াডাঙ্গার দর্শনা আন্তর্জাতিক রেলস্টেশন ও স্থলবন্দর চেকপোস্টে জিকা ভাইরাস শনাক্তকরণে সতর্কতা জারি করেছে স্বাস্থ্য বিভাগ। এ জন্যে শনিবার থেকে স্বাস্থ্য পরীক্ষা শুরুর কথা থাকলেও সোমবার পর্যন্ত এর কোনো তৎপরতা চোখে পড়েনি এখানে।
সরেজমিনে সোমবার সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত দেখা যায়, যে সমস্ত পাসপোর্টধারী যাত্রী বিশেষ করে উত্তর আমেরিকাসহ জিকা ভাইরাস আক্রান্ত দেশের নাগরিকরা ভারত থেকে বাংলাদেশে ভ্রমণ করছেন তাদের স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য কোনো তৎপরতা দেখা যায়নি। যাত্রীদের নির্দেশনা দিতে সংশ্লিষ্ট এলাকায় কোনো ব্যানার চোখে পড়েনি। শুধু দর্শনা আন্তর্জাতিক রেলস্টেশনে টিকা খাওয়ানোর নির্দেশনা-সংবলিত একটি ব্যানার দেখা গেছে। তবে এখন পর্যন্ত জিকা ভাইরাস আক্রান্ত কাউকে পাওয়া যায়নি বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।
সম্প্রতি উত্তর আমেরিকাসহ বিশ্বের ২০টি দেশে জিকা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব দেখা দেওয়ায় এ নিয়ে সারাবিশ্ব উদ্বিগ্ন। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা এ ২০টি দেশে রেডঅ্যালার্ট জারি করেছে। এরই অংশ হিসেবে সচেতন হয়েছে বাংলাদেশের স্বাস্থ্য বিভাগও। দেশের সীমান্তের চেকপোস্টগুলোতে বিশেষ করে যে সমস্ত চেকপোস্ট দিয়ে জিকা ভাইরাস আক্রান্ত দেশের নাগরিকরা ভ্রমণ করেন, সে সমস্ত চেকপোস্টে মেডিকেল টিম গঠন করে স্বাস্থ্য পরীক্ষার ব্যাপারে তৎপরতা বাড়ানো হচ্ছে।
দর্শনা আন্তর্জাতিক রেলস্টেশন ও চেক পোষ্ট দিয়ে ভারত বাংলাদেশের একমাত্র যাত্রীবাহী মৈত্রী ট্রেনে ও সড়ক পথে প্রতিদিন গড়ে ৪ শতাধিক যাত্রী ভ্রমণ করেন। এদের মধ্যে ভারত, বাংলাদেশ ছাড়াও বিশ্বের বিভিন্ন দেশের নাগরিকরা থাকেন। সোমবার বেলা সাড়ে ১১টায় এ ট্রেনে ভারত থেকে বাংলাদেশে আসেন ৩২৫ জন যাত্রী। তাদের স্থাস্থ্য পরীক্ষার কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। সেই সঙ্গে বাংলাদেশের স্বাস্থ্য বিভাগের এই বাড়তি সতর্কতার কোনো দৃষ্টান্ত চোখে পড়েনি।
চুয়াডাঙ্গার দর্শনা আন্তর্জাতিক রেলস্টেশনে স্বাস্থ্যসেবার দায়িত্বরত স্বাস্থ্য পরিদর্শক মো. শাহ জামাল বলেন, ব্যানার টাঙানোর বিষয়ে আমাদের কোনো নির্দেশনা আসেনি। তবে আমরা “জিকা ভাইরাস” প্রতিরোধের জন্য সচেতন আছি। কোনো যাত্রী যদি শারীরিক সমস্যা মনে করে তাহলে আমাদের কাছে এলেই আমরা প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেব।
দর্শনা স্থলবন্দর চেকপোস্টে স্বাস্থ্য পরীক্ষা করছেন ভ্যাকসিনেটর মহিদুল ইসলাম। তিনি জানান, এ চেকপোস্ট দিয়ে প্রতিদিন সকাল ৭টা থেকে সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত ভারত থেকে বাংলাদেশে ভ্রমণে আসা যাত্রীদের “জিকা ভাইরাস” শনাক্তকরণের কোনো ব্যবস্থা নেই। তবে এখানে কোনো যাত্রী চাইলে আমাদের মাধ্যমে চিকিৎসা নিতে পারে। যাত্রীর তুলনায় লোকবল কম থাকায় সকল যাত্রীর প্রতি খেয়াল রাখা সম্ভব হচ্ছে না।
চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদা উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. প্রফুল্ল কুমার মজুমদার বলেন, জিকা ভাইরাস প্রতিরোধে ঢাকা থেকে আমাদের কোনো নির্দেশনা আসেনি। সে কারণে এ জাতীয় রোগী শনাক্ত হলে আমাদের করণীয় কী তা আমাদের জানা নেই। তা ছাড়া মেডিকেল টিমের কাজ কী হবে তা আমরা বুঝতে না পারায় মেডিকেল টিম গঠন করা হয়নি। সে ক্ষেত্রে যাত্রীদের ঝুঁকি থাকলেও আমাদের করণীয় নেই।
সাহস২৪ ডটকম-এর প্রকাশিত প্রচারিত কোনো সংবাদ তথ্য, ছবি, রেখাচিত্র, ভিডিও, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
মন্তব্যে প্রকাশিত মত মন্তব্যকারীর একান্তই নিজস্ব। সাহস২৪ ডটকম-এর সম্পাদকীয় নীতির সঙ্গে এসব মন্তব্যের কোনো মিল নাও থাকতে পারে। মন্তব্যকারীর বক্তব্যের বিষয়বস্তু নিয়ে সাহস২৪ ডটকম-এর কর্তৃপক্ষ আইনগত বা অন্য কোনো দায় নেবে না।