চাঁপাইনবাবগঞ্জের নাচোলে শিশু অপহরণ করে মুক্তিপণ দাবীর অভিযোগে মামলা করেছে শিশুটির পিতা।

গত শুক্রবার ৫ ফেব্রুয়ানি উপজেলার ফতেপুর ইউ.পি’র আলিশাহপুর গ্রামের গ্রামের সিরাজুল ইসলামের ছেলে ওসমান আলী (১৪) অপহৃত হয়।

নাচোল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ও.সি) ফাসিরউদ্দিন জানান, ঘটনায় একই সাথে অপহৃত হয় একই গ্রামের নজরুল ইসলামের ছেলে স্থানীয় মাদ্রাসা ছাত্র শাহাদাত হোসেন (১১)। কিন্তু শাহাদাৎ অপহৃত অবস্থায় একটি বন্ধ ঘরে রাত্রীযাপন কালে কৌশলে ইশ্বরদী থেকে পালিয়ে ৬ ফেব্রুয়ারি শনিবার নিজ বাড়িতে ফিরে আসে। শাহাদাতের কাছে অপহরণের কথা জানতে পেরে ওসমানের পিতা ৬ ফেব্রুয়ারি নাচোল থানায় একটি জি.ডি ও সোমবার বিকেলে নারী ও শিশু নির্য়াতন আইনের ৮ ধারায় মুক্তিপণ আদায়ের দাবীতে অপহরণ মামলা (নং-০৭ তাং ৮ ফেব্রুয়ারী) দায়ের করেন। কিন্তু মঙ্গলবার পর্যন্ত ৫ দিনেও শিশুটিকে উদ্ধার করা যায়নি বা সে ফেরৎ আসেনি। তাকে উদ্ধারে কাজ করছে পুলিশ ও র‌্যাবের একাধিক টিম।

ও.সি জানান, মূল অপহরণকারী সন্দেহ করা হচ্ছে শিশুটির পরিবারের পূর্বপরিচিত মোবাইল টাওয়ার কর্মী কুষ্টিয়ার ভেড়ামারা বাগি বলে পরিচয়দানকারী জনৈক রাজুকে।

এজাহার অনুযায়ী পুলিশ জানায়, পরিচয়ের সুবাদে শুক্রবার শাহাদাৎকে বেড়ানোর কথা বলে মোবাইল ফোনে শিশুদের বাড়ির ৩ কি.মি দুরে চাঁপাইনবাবগঞ্জ-গোমস্তাপুর সড়কের খলসিতে ডেকে নেয় রাজু। শাহাদাৎ তার সহপাঠী ওসমানকে সাথে করে খলসি গেলে রাজু একটি মাইক্রোবাসে দু’জনকে নিয়ে প্রথমে পার্কে ও পরে তাদেরকে প্রাণনাশের ভয় দেখিয়ে ইশ্বরদী নিয়ে যায়। এরপর রাজু শাহাদতের বাড়িতে কয়েক দফায় ফোন করে প্রথমে ১ লাখ, পরে ৮০ হাজার ও সর্বশেষ মাত্র ২০ হাজার টাকা মুক্তিপণ দাবী করে। কিন্দু এর মধ্যেই পালিয়ে আসে শাহাদত। আটকে যায় ওসমান।

নাচোল থানার ও.সি আরও জানান, অভিযোগ পাওয়ার পর থেকেই অপহৃত শিশুকে উদ্ধারের চেষ্টা চলছে। রাজু পাবনার আশে পাশে কোথাও রয়েছে বলে একটি সূত্র পাওয়া গেছে। তাকে আটক সহ শিশুটিকে দ্রুতই উদ্ধার করা যাবে বলে আশা করা হচ্ছে। তবে ঘটনায় এখনও কেউ আটক হয়নি।