মেয়েকে ধর্ষণ করুন, অনলাইন বিজ্ঞাপন মায়ের!
সোশ্যাল মিডিয়ায় ফেক প্রোফাইল বানিয়ে মেয়েদের উত্যক্ত করার কথা প্রায়ই শোনা যায়। কিন্তু কখনও শুনেছেন নিজের শিশুকন্যাকে ধর্ষণ করার কথা বলছেন মা? শুধু বলেই থেমে যাননি, রীতিমত পয়সা খরচ করে অনলাইনে ঘটা করে বিজ্ঞাপনও দিয়েছেলেন ওই মা।
ভাবছেন মিথ্যে বলছি বা বানিয়ে বলছি। কোনও মা আবার এমন কাজ করতে পারে!
হ্যাঁ এমনটা সত্যিই হয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে আমেরিকায়। চোখ কপালে উঠে যাওয়ার জন্য যথেষ্ট এমন বিজ্ঞাপন সত্যিই দেওয়া হয়েছে একটি মার্কিন বিজ্ঞাপন সংস্থার অনলাইন সংস্করণ। “আসুন আমার বাড়িতে। আমার মেয়েকে ধর্ষণ করুন।” —সোজাসুজি পুরুষদের প্রলুব্ধ করে এমনই বিজ্ঞাপন দিয়েছেন ওই নারী।
যার জন্যে এমন বিজ্ঞাপন দেওয়া হয়েছে তার বয়স মাত্র ৬ বছর। এমন বিজ্ঞাপনের জন্য আপাতত জেলের ঘানি টানছেন ওই নারী। দোষী ওই নারীকে সম্প্রতি ২৬ বছরের কারাদণ্ডের নির্দেশ দিয়েছে মার্কিন আদালত। দোষী সাব্যস্ত হয়েছেন নারীর স্বামীও।
ওয়াশিংটনের বাসিন্দা বছর পঁয়ত্রিশের ওই নারী মেয়েকে ধর্ষণ করার জন্য অনলাইনে বিজ্ঞাপন দেন। ক্রেতাদের যেন কোনও অসুবিধে না হয় তার জন্য তাদের মেরিসভিল অঞ্চলে নিজেদের বাড়িতেই আসতে বলেন। নির্ধারিত দিনে কয়েক জন খদ্দের হাজিরও হন মেরিসভিলের ওই বাড়িতে। মেয়ের কান্না, অনুরোধ কোনও কিছুই টলাতে পারেনি মায়ের মন। বিভিন্ন বয়সের অচেনা পুরুষের সঙ্গে বছর ছয়েকের ওই মেয়েটিকে রীতিমত বাধ্য করা হত সঙ্গম করতে। শারীরিক অত্যাচারে যখন বিধ্বস্ত তখনও রেহাই মিলত না শিশুটির। কেন না তার মা তখন ব্যস্ত থাকতেন মেয়ের ধর্ষণের দৃশ্য ক্যামেরাবন্দি করতে। অনেক দিন ধরেই চলছিল এমন নারকীয় ঘটনা।
বছর দু’য়েক আগে এক দিন গোপন সূত্রে খবর পেয়ে ওই বাড়িতে অভিযান চালায় পুলিশ। এ সময় প্রচুর পর্নগ্রাফির সিডি উদ্ধার করে পুলিশ।
সঙ্গমের দৃশ্যগুলি ক্যামেরাবন্দি করেছেন নাবালিকা শিশুটির মা! জঘন্য এই দুষ্কর্মের জন্য ওই নারীর ২৬ বছরের জেল হয়েছে। বাদ যাননি নারীর স্বামীও। তার ২৭ বছরের কারাদণ্ডের নির্দেশ দিয়েছে মার্কিন আদালত। নাবালিকা ধর্ষণ, শ্লীলতাহানি প্ররোচনা দেওয়া এবং নাবালিকার উপর যৌন নিগ্রহের ঘটনাকে ব্যবসায়িক স্বার্থে ব্যবহার করার অপরাধে ওই নারীকে দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছে।
বাবা-মা দু’জনেই জেলে তাই আপাতত একটি হোমে ঠাঁই মিলেছে ওই শিশু এবং তার দাদার।
সাহস২৪ ডটকম-এর প্রকাশিত প্রচারিত কোনো সংবাদ তথ্য, ছবি, রেখাচিত্র, ভিডিও, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
মন্তব্যে প্রকাশিত মত মন্তব্যকারীর একান্তই নিজস্ব। সাহস২৪ ডটকম-এর সম্পাদকীয় নীতির সঙ্গে এসব মন্তব্যের কোনো মিল নাও থাকতে পারে। মন্তব্যকারীর বক্তব্যের বিষয়বস্তু নিয়ে সাহস২৪ ডটকম-এর কর্তৃপক্ষ আইনগত বা অন্য কোনো দায় নেবে না।