‘বাংলাদেশে জিকা ভাইরাসের আশঙ্কা নেই’
স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম বলেছেন, বাংলাদেশে জিকা ভাইরাসের আশঙ্কা নেই, তবু উপযোগী ব্যবস্থা নিয়ে সতর্ক রয়েছে সরকার। আজ মঙ্গলবার (০৯ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে সচিবালয়ে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় সভাকক্ষে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
জিকা আক্রান্ত দেশগুলো থেকে আগতদের রোগ শনাক্তে আন্তর্জাতিক প্রবেশদ্বারগুলোতে মেডিকেল টিম কাজ করছে। কারও শরীরে ভাইরাস শনাক্ত হলে তার সম্পূর্ণ চিকিৎসা সরকার দেবে।
সম্মেলনে স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক ডা. দীন মোহাম্মদ নুরুল হক বলেন, বিমানবন্দর বা বাইরে থেকে আসা যে কোনো পোর্টেই যদি আমরা দেখি, জিকা আক্রান্ত দেশ থেকে কেউ এসেছে, তাকে তাৎক্ষণিক পরীক্ষা করা হচ্ছে। যদি সন্দেহ হয়, তাহলে সার্বক্ষণিক অনুসরণ করে তার উপযুক্ত চিকিৎসা দেওয়া হবে সম্পূর্ণ সরকারি খরচে। এ সময়টিতে রোগ সংক্রমণ যেন কোনভাবেই না হয় সে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। সব মিলিয়ে সম্পূর্ণ নিরাময় হবেন তিনি। তাই আতঙ্কিত হওয়ার কোনো কারণ নেই।
অধিদফতরের ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড লাইন ডিরেক্টর, কম্যুনিকেবল ডিজিজ কন্ট্রোল বিভাগের পরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল খায়ের মোহাম্মদ শামসুজ্জামান কিছু তথ্য-উপাত্তে বিষয়টি ব্যাখ্যা করেন।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা সূত্র থেকে জানা যায়, এ পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্রসহ ২৩টি দেশে জিকা ভাইরাসের সংক্রমণ দেখা গেছে। আর এ ভাইরাসে মোট ৩০-৪০ লাখ মানুষের আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিসিন অনুষদের ডিন অধ্যাপক এ বি এম আব্দুল্লাহ জানান, উগান্ডার জিকা বন থেকে ১৯৪৭ সালে বানরের দেহে এই সংক্রমণ শুরু হয়। পরে বিজ্ঞানীরা ১৯৫২ সালে এর নাম দেন জিকা ভাইরাস।
এই বিশেষজ্ঞ বলেন, ডেঙ্গু আর জিকার লক্ষণও প্রায় একই। সাধারণত জ্বর, লালচে র্যাশ, শরীরে গিঁটে গিঁটে ব্যথা, চোখ লাল ধরনের লক্ষণ দেখা দেয়। তবে জিকা ভাইরাসে আক্রান্ত গর্ভবতী মায়েদের উপসর্গ সাধারণত আগে দেখা যায় না। আর এ ভাইরাসে আক্রান্ত শিশুদের মাঝে ‘মাইক্রোসেফালিস’ রোগ দেখা দেয়।
অধ্যাপক ডা. আব্দুল্লাহ জানান, ডেঙ্গুর মতোই জিকা থেকে মুক্ত থাকতেও মশা থেকে নিরাপদে থাকতে হবে। বিশেষ করে এডিস মশার বিস্তার রোধ ও নিধনে বেশি নজর দিতে হবে।
অধ্যাপক ড. মাহামুদুর রহমান বলেন, সতর্কতাস্বরূপ বিমানবন্দরে জিকাকবলিত দেশগুলো থেকে আগত যাত্রীদের স্ক্রিনিং করতে হবে। এ ক্ষেত্রে জ্বরে আক্রান্তদের দিকে বেশি নজর রাখা দরকার।
সাহস২৪ ডটকম-এর প্রকাশিত প্রচারিত কোনো সংবাদ তথ্য, ছবি, রেখাচিত্র, ভিডিও, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
মন্তব্যে প্রকাশিত মত মন্তব্যকারীর একান্তই নিজস্ব। সাহস২৪ ডটকম-এর সম্পাদকীয় নীতির সঙ্গে এসব মন্তব্যের কোনো মিল নাও থাকতে পারে। মন্তব্যকারীর বক্তব্যের বিষয়বস্তু নিয়ে সাহস২৪ ডটকম-এর কর্তৃপক্ষ আইনগত বা অন্য কোনো দায় নেবে না।