রাজশাহীর সেফহোমে পুলিশের সহায়তায় আশ্রিতাকে ধর্ষণের অভিযোগ
নিজস্ব প্রতিবেদক, প্রকাশ : ০৯ ফেব্রুয়ারি, ২০১৬
প্রিন্টঅঅ-অ+
রাজশাহীর বায়া সেফহোমে আশ্রিত এক ভিকটিমকে পুলিশের সহায়তায় ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে।
এ বিষয়ে গতকাল সোমবার (৮ ফেব্রুয়ারি) এ বিষয়ে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আদালতে দুই পুলিশ সদস্যসহ তিনজনের নাম উল্লেখ করে মামলা হয়েছে।
এর আগে ঘটনার বিষয়ে জানতে পেরে ভিকটিমের পিতা গত ৪ ফেব্রুয়ারি বিকাল চারটার দিকে রাজপাড়া থানায় মামলা দায়ের করতে যান। কিন্তু থানার অফিসার ইনচার্জ মামলা গ্রহণে অপারগতা প্রকাশ করেন।
মামলার বিবরণে বলা হয়, পুঠিয়ার জিউপাড়া এলাকার ওই ভিকটিম ২০১৫ সালের ১০ সেপ্টেম্বর থেকে বায়া সেফহোমে আছে। গত ২০ জানুয়ারি হাজিরা দেওয়ার জন্য তাকে আদালতে নেওয়া হয়। হাজিরা শেষে ভিকটিমকে আদালত পরিদর্শক রুহুল আমিন এবং কনস্টেবল খোরশেদাসহ কয়েকজন অজ্ঞাতনামা কনস্টেবলের সহযোগিতায় নগরীর বোলনপুর এলাকার একটি বাসায় নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে আসামি পুঠিয়ার জিউপাড়া এলাকার জয়নাল ভিকটিমকে দুইবার ধর্ষণ করে। একইভাবে আরও একদিন তাকে ধর্ষণ করা হয়।
অবশেষে সোমবার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আদালত-১ এর বিচারক মনসুর আলমের আদালতে মামলাটি দায়ের করা হয়। বাদীর পক্ষে মামলাটি দায়ের করেন অ্যাডভোকেট জালাল উদ্দিন। আদালত মামলাটি তদন্তের জন্য পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) কে আদেশ দিয়েছে।
এ বিষয়ে ভিকটিমের লিখিত বিবরণ পাওয়ার পরে বিষয়টি পরিচালক (প্রতিষ্ঠান) সমাজসেবা অধিদফতর, রাজশাহী জেলা প্রশাসক, আদালত পরিদর্শকে জানানো হয়।
তবে অপর একটি সূত্র জানায়, আদালত পুলিশকে হাত করে আসামি জয়নাল ওই নারীকে ধর্ষণ করে। এ ঘটনায় কনস্টেবল মাসুদ রানা এবং কনস্টেবল খোরশেদা সহায়তা করে। এ জন্য তারা কনস্টেবল খোরশেদার বোলনপুর এলাকার বাড়িটি ব্যবহার করে।
সাহস২৪ ডটকম-এর প্রকাশিত প্রচারিত কোনো সংবাদ তথ্য, ছবি, রেখাচিত্র, ভিডিও, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
মন্তব্য
মন্তব্যে প্রকাশিত মত মন্তব্যকারীর একান্তই নিজস্ব। সাহস২৪ ডটকম-এর সম্পাদকীয় নীতির সঙ্গে এসব মন্তব্যের কোনো মিল নাও থাকতে পারে। মন্তব্যকারীর বক্তব্যের বিষয়বস্তু নিয়ে সাহস২৪ ডটকম-এর কর্তৃপক্ষ আইনগত বা অন্য কোনো দায় নেবে না।