ঝিনাইদহের ১১৪৫ টি গ্রামে গরু চুরিতে মানুষ অতিষ্ঠ
জাহিদুর রহমান তারিক
প্রিন্টঅঅ-অ+
ঝিনাইদহে গরু চোরের বেপরোয়া অত্যাচারে মানুষ অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে। অঞ্চল ভিত্তিক পুলিশ ক্যাম্প থাকার পরও গরু চুরি বন্ধ হচ্ছে না। এমনকি গরু চুরি করে পুলিশ ক্যাম্পের পাশ দিয়ে নির্বিঘ্নে পালিয়ে যাচ্ছে চোরেরা। ফলে গ্রামের হতদরদ্রি মানুষগুলো মুল্যবান গরু হারিয়ে বিপাকে পড়েছে। মাঝেমধ্যে গরু চোর হাতে নাতে ধরা পড়লেও আইনের ফাঁক ফোকর দিয়ে বেড়িয়ে যাচ্ছে।
অনুসন্ধানে জানা যায়, ঝিনাইদহ জেলায় ৬৭টি ইউনিয়নে ১১৪৫টি গ্রাম আছে। প্রতিদিন কোন না কোন গ্রামে গরু চুরির ঘটনা ঘটছে। সহায় সম্বল বিক্রি করে গ্রামের স্বল্প পুজির মানুষ গরু পালন করে আর্থিক সচ্ছলতা ফেরানো স্বপ্ন দেখলেও গরু চোরের উপদ্রুবে তাদের চোখের ঘুম হারাম হয়ে গেছে।
খোজ নিয়ে জানা যায়, নিকট অতীতে ঝিনাইদহ সদর উপজেলার হাজরা গ্রামের শুকুর আলী, আশাদুল ইসলাম, দাউদ হোসেন, মক্কেল মন্ডল, শাহিনুর রহমান, ডাবলু, একই উপজেলার গোবিন্দপুর গ্রামের কাজী মন্ডল, বিদ্যুৎ মিয়া, মিজার, আইয়ূব ধনী, বংকিরা গ্রামের শফি উদ্দীন বিশ্বাস, মজো মন্ডল, আশোক দাস, জহুরুল ইসলাম, রতন দাস, আফান উদ্দীন, গোলাম রহমান চেনা ডাক্তার, আরমান মিয়া ও মহিদ্দীনের গরু চুরি হয়েছে।
সদর উপজেলার গোবিন্দপুর গ্রামের আব্দুল লতিফ জানান, একজন মানুষের বেঁচে থাকার স্বপ্ন গরু চোরেরা মাটি করে দিচ্ছে। তিনি গরু চুরির প্রতিকার দাবী করে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেন।
এ বিষয়ে ঝিনাইদহ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হাসান হাফিজুর রহমান বলেন, গান্না ও সাধুহাটী ইউনিয়নের কয়েকটি গ্রামে চোরের উপদ্রপ বৃদ্ধি পেয়েছে বলে শুনেছি।
তিনি বলেন, সদর উপজেলায় মোট গ্রামে আছে ৩২৪টি। সে ক্ষেত্রে পুলিশ ক্যাম্পে আছে মাত্র ৯টি। এ ক্ষেত্রে গরু পালকদের সচেতনতা বৃদ্ধির পাশাপাশি রাতে গ্রাম পাহারার ব্যবস্থা করতে হবে। তিনি অচিরেই পুলিশ ক্যাম্পে দায়িত্বে থাকা তদন্ত কর্মকর্তাদের নির্দেশনা দিবেন বলেও জানান।
সাহস২৪ ডটকম-এর প্রকাশিত প্রচারিত কোনো সংবাদ তথ্য, ছবি, রেখাচিত্র, ভিডিও, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
মন্তব্য
মন্তব্যে প্রকাশিত মত মন্তব্যকারীর একান্তই নিজস্ব। সাহস২৪ ডটকম-এর সম্পাদকীয় নীতির সঙ্গে এসব মন্তব্যের কোনো মিল নাও থাকতে পারে। মন্তব্যকারীর বক্তব্যের বিষয়বস্তু নিয়ে সাহস২৪ ডটকম-এর কর্তৃপক্ষ আইনগত বা অন্য কোনো দায় নেবে না।