বিজিবি-মিয়ানমার ইমিগ্রেশন পতাকাবৈঠক অনুষ্ঠিত
বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) ও মিয়ানমার ইমিগ্রেশন বিভাগের মধ্যে পতাকাবৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। মিয়ানমারের মংডুতে অনুষ্ঠিত বৈঠকে মিয়ানমারের আটক সাজা শেষ হওয়া ৩ বাংলাদেশীকে বিজিবির কাছে হস্তান্তর করা হয়।
রবিবার (৭ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে মিয়ানমার মংডু টাউনশীপের ১নং পয়েন্ট অব এন্ট্রি এক্সিট পয়েন্টে বিজিবি ও ইমিগ্রেশন বিভাগের মধ্যে পতাকাবৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে ১০ সদস্যের প্রতিনিধিদলের নেতৃত্বদেন ২ ব্যাটলিয়ান উপ-অধিনায়ক মেজর আবু রাশেল সিদ্দিকীর নেতৃত্বে সহকারী কমিশনার ভূমি ও নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট জাহিদ ইকবাল ও পুলিশের টেকনাফ এডিআইও মাজহারুল হক।
অপরদিকে ১২ সদস্যের মিয়ানমার প্রতিনিধিদলের নেতৃত্বদেন মিয়ানমার মংডু ইমিগ্রেশন বিভাগের পরিচালক ইউ মিউ মিন্ট ইউং।
তবে বৈঠক শেষে মিয়ানমারে আটক বিভিন্ন মেয়াদের সাজা ভোগকারী বাংলাদেশী ৩ নাগরিককে প্রতিনিধিদলের কাছে ফেরত দেয়া হলে তাদের নাম ঠিকানা যাচাই-বাছাই ও স্বাস্থ্য পরিক্ষা করা হয়। পরে প্রতিনিধিদল চলে আসেন।
ফেরত বাংলাদেশীরা হলো, বরগুনা জেলার তালতলা করিবাড়িয়া সুলাপাড়া এলাকার সানু গাজীর ছেলে মোঃ আব্দুল রব গাজী, উখিয়া উপজেলার হাতিমোড়া দরগাহ বিল এলাকার মো. কালুর ছেলে আবু কালাম ও টেকনাফ হ্নীলা লেদা এলাকার মো. সুলতান আহাম্মদের ছেলে মো. সালে আহাম্মদ।
বাংলাদেশীদের ফেরত আনার পর টেকনাফ বিওপি ক্যাম্পে ২ ব্যাটলিয়ান উপ-অধিনায়ক মেজর আবু রাশেল সিদ্দিকী এক সংবাদ সম্মেলনে জানান, মিয়ানমারে পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে ৩ বাংলাদেশী নাগরিককে ফেরত আনা হয়েছে। এরা মিয়ানমার জেলে বিভিন্ন মেয়াদে সাজা ভোগ করেন। গত বছরের ৪ ডিসেম্বর বাংলাদেশী ৬ নাগরিককে মিয়ানমার থেকে ফেরত আনার জন্য মন্ত্রনালয় থেকে মিয়ানমার সরকারকে একটি পত্র প্রেরণ করা হয়। এ বিষয়ে গত ৮ জানুয়ারি মিয়ানমার সরকার ৩ বাংলাদেশীকে ফেরত দেয়া হবে বলে পত্রের মাধ্যমে জানানো হয়।
মন্ত্রণালয়ের অনুমতি সাপেক্ষে যাচাই-বাছাই শেষে ৭ ফেব্রুয়ারি পতাকাবৈঠকের মাধ্যমে তাদের ফেরত আনতে মিয়ানমারকে পত্র প্রেরণ করা হয়। এরই আলোকে মিয়ানমারে অত্যন্ত সৌহার্দ্যপূর্ণ ও আন্তরিক পরিবেশে পতাকা বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
ভবিষ্যতে দুদেশের মধ্যে আরো সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্ক বজায় রাখতে পরস্পরের মধ্যে সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে বলে জানিয়েছেন।
তিনি আরো জানান, মিয়ানমারে আরো দেশী নাগরিক রয়েছে। তাদের তালিকা পাঠানো হয়েছে মান্ত্রনালয়ের অনুমতি সাপেক্ষে যাচাই-বাছাই করে ফেরত আনার ব্যবস্থা করা হবে। ফেরত আসা ৩ বাংলাদেশী নাগরিকদের পরিবারের মাঝে হস্তান্তরের জন্য থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হবে বলে জানিয়েছেন।
টেকনাফ মডেল থানার ওসি মো. আতাউর রহমান খোন্দকার বলেন, মিয়ানমার থেকে ফেরত আসা ৩ বাংলাদেশীকে যাচাই-বাছায় করে স্ব স্ব পরিবারের নিকট হস্তান্তর করা হবে।
এদিকে ফেরত আসারা জানান, ৪ বছর আগে সাগর পথে মালয়েশিয়া পাড়ি দিতে গিয়ে ট্রলার নষ্ট হয়ে মিয়ানমারে আটক হয়। মিয়ানমারে ৪ বছর সাজা শেষে তারা দেশের মাঠিতে আসতে পেরে আল্লাহর শুকরিয়া আদায় করেন। তারা আরও জানান, মিয়ানমার জেলে আরো অনেক বাংলাদেশী আটক রয়েছে, তাদের দেশে ফেরত আনার ব্যবস্থা করার জন্য প্রশাসনের কাছে অনুরোধ জানিয়েছেন।
সাহস২৪ ডটকম-এর প্রকাশিত প্রচারিত কোনো সংবাদ তথ্য, ছবি, রেখাচিত্র, ভিডিও, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
মন্তব্যে প্রকাশিত মত মন্তব্যকারীর একান্তই নিজস্ব। সাহস২৪ ডটকম-এর সম্পাদকীয় নীতির সঙ্গে এসব মন্তব্যের কোনো মিল নাও থাকতে পারে। মন্তব্যকারীর বক্তব্যের বিষয়বস্তু নিয়ে সাহস২৪ ডটকম-এর কর্তৃপক্ষ আইনগত বা অন্য কোনো দায় নেবে না।