দেশের শীর্ষস্থানীয় অনলাইন শপিং ওয়েবসাইট দারাজ ডট কম ডট বিডি তাদের প্রিমিয়াম পণ্যের তালিকায় “জোকন্ড” অন্তর্ভুক্ত করতে যাচ্ছে। জোকন্ড শুধুমাত্র নারীদের জন্য ব্যাক্তিগত প্রয়োজন অনুযায়ী তৈরিকৃত ডিজাইনার পোশাক বিক্রি করে থাকে। জোকন্ডের উদ্ভাবনীয়, পরিপাটি ও সিম্পল ডিজাইন প্রতিষ্ঠানটির মূল চিন্তাধারা “লাভ মি, অয়্যার মি” এর প্রতিফলন।

এখন থেকে প্রতি সপ্তাহে দারাজে পাওয়া যাবে জোকন্ডের ডিজাইনার পোশাক কালেকশন। দারাজে জোকন্ডের উদ্বোধনের সাথে সাথে দারাজ উদ্বোধন করতে যাচ্ছে তাদের এক্সলুসিভ ব্র্যান্ডেদের জন্য “শপ-ইন-শপ” নামে ই-স্টোর, যা কিনা সেরা ব্র্যান্ডগুলোকে দারাজের ওয়েবসাইটে আরও দৃশ্যমান করে তুলবে। ক্রেতারা শপ-ইন-শপ ভিজিট করে ক্লিক করতে পারেন এই লিংকে, www.daraz.com.bd/joconde

“আমরা অত্যন্ত আনন্দিত আমাদের ফ্যাশন ক্যাটাগরিতে জোকন্ড কে অন্তর্ভুক্ত করতে পেরে” বলছিলেন, দারাজ এশিয়ার কো-সিইও। তিনি আরও যোগ করেন, জোকন্ড যেমন দারাজের ফ্যাশন পণ্যের কালেকশনকে আরও সমৃদ্ধ করবে, ঠিক তেমনি দারাজকাস্টম মেইড বুটিক হাউজ হিসেবে দেশের ফ্যাশন জগতে জোকন্ডকে একটি নতুন ধারার প্রবর্তক হিসেবে মানুষের কাছে তুলে ধরতে সক্ষম হবে।

রাশিয়ান বংশভুত ফ্যাশন ডিজাইনার ও জোকন্ডের প্রতিষ্ঠাতা “সভেতলানা দুবভস্কা” বলেন, “জোকন্ড ট্রেন্ড এর সাথে চলতে থাকা কোন ব্র্যান্ড নয় বরং ট্রেন্ড সৃষ্টিকারী একটি ব্র্যান্ড”। সভেতলানা আরও বলেন, “আমাদের চারপাশেই অনেক অনুপ্রেরণা আছে। আমি মনে করি প্রকৃতির রং, সংগীত, শিল্পকর্ম সবখানেই ফ্যাশনের জন্য অনুপ্রেরণা মেলে। অনুপ্রেরণা খুঁজে পেতে খালি একটু মুক্ত মন মানসিকতায় যথেষ্ট। আমরা জোকন্ডে ক্রেতাদের প্রয়োজন অনুযায়ী বিয়ের জন্য ভিন্নধর্মী ও এক্সক্লুসিভ বিয়ের পোশাক তৈরি করে থাকি যা কিনা দুই থেকে আট লক্ষ টাকার মধ্যে পাওয়া যায়। মূলত বিয়ের পোশাক কাজের উপর এর দাম পুরোপুরি নির্ভর করে। আমরা অত্যন্ত আনন্দিত, দারাজের সাহায্যে আমরা আমাদের পোশাক গুলো পুরো বাংলাদেশের সামনে তুলে ধরতে পারবো”।

দারাজে ইদানিং পার্টি ড্রেস, ককটেইল ড্রেস ও মেয়েদের অফিস করার জন্য ক্যাজুয়াল ড্রেসের বেশ চাহিদা রয়েছে। এই মুহূর্তে জোকন্ডের ফ্যাশন ক্যাটাগরিতে যোগ হওয়াতে ক্রেতাদেরই সুবিধা হবে। 

“দারাজ বাংলাদেশ ও মিয়ানমার এর হেড অফ মার্কেটিংসুমিত জাসোরিয়া এ প্রসঙ্গে বলেন, দারাজ ডট কম ডট বিডি মার্কেটিং ও পি আর এর সমন্বয়ে চেষ্টা করছে ব্র্যান্ডের দৃশ্যমানতা ও গ্রহনযোগ্যতা বাড়াতে, যা সামনে আরও বড় আকারে চলবে।”