সুন্দরবন রক্ষায় মংলা-ঘষিয়াখালী নৌপথ পুরোপুরি সচল করে সুন্দরবনের শ্যালা নদীর ভেতর দিয়ে বাণিজ্যিক জাহাজ চলাচল বন্ধের দাবি জানিয়েছে নৌ, সড়ক ও রেলপথ রক্ষা জাতীয় কমিটি। সেইসাথে অবিলম্বে রামপাল-মংলা এলাকায় স্টেট ইমারজেন্সি ঘোষণা করে সেনাবাহিনী মোতায়েনের দাবিও জানানো হয়।

শনিবার (৬ ফেব্রুয়ারি) সকালে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে এনসিপিএসআরআর আয়োজিত মানববন্ধন ও সমাবেশে রাজনীতিবিদসহ সামাজিক আন্দোলনের নেতাকর্মীরা এসব দাবি জানান।

এসময় বক্তারা বলেন, ‘সুন্দরবন রক্ষায় মংলা-ঘষিয়াখালী নৌপথ পুরোপুরি সচল করে সুন্দরবনের শ্যালা নদীর ভেতর দিয়ে বাণিজ্যিক জাহাজ চলাচল বন্ধ করতে হবে। কিন্তু এই নৌপথটি সচলকরণের পথে প্রধান বাঁধা হয়েছে সরকারি খালগুলোর ওপর অবৈধ বাঁধ, সহস্রাধিক চিংড়ি ঘের ও পানি উন্নয়ন বোর্ডের অপরিকল্পিত ফয়লাহাট স্লুইসগেট।

দীর্ঘ ১৯ মাসে এক কোটি ১৫ লাখ ঘনমিটার মাটি খনন ও পলি অপসারণ করেও মংলা-ঘষিয়াখালী নৌপথটি পুরোপুরি সচল করতে পারেনি বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষ। প্রভাবশালীরা সেখানকার খালগুলোর মুখে অবৈধ বাঁধ দিয়ে চিংড়ি চাষ করছেন। আর স্থানীয় প্রশাসন ও জনপ্রতিনিধিরা দীর্ঘ ২০ মাসেও এসব বাঁধ ও চিংড়ির ঘের উচ্ছেদ করতে পারেনি।

এছাড়া আন্তঃমন্ত্রণালয়ের সিদ্ধান্তের পরও গত সাত মাসে তাদের অপরিকল্পিত ফয়লাহাট স্লুইসগেট অপসারণ করেনি পাউবো। এ কারণে মংলা-ঘষিয়াখালী নৌপথের পানিপ্রবাহ বাধাগ্রস্থ হয়ে দ্রুত পলি পড়ে ভরাট হয়ে যাচ্ছে। ফলে শ্যালা নদীর ভেতর দিয়ে জাহাজ চলাচল অব্যাহত রয়েছে। এভাবে চলতে থাকলে নিকট ভবিষ্যতে সুন্দরবন ধ্বংস হয়ে যাবে।

প্রশাসনের এই ব্যর্থতা ও এমন পরিস্থিতিতে সুন্দরবন রক্ষায় রাষ্ট্রীয় জরুরী অবস্থা ঘোষণা করে ওই এলাকায় সেনাবাহিনী মোতায়েন জরুরী হয়ে পড়েছে বলে বক্তারা মনে করেন।

এ সময় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) কেন্দ্রীয় নেতা রুহিন হোসেন প্রিন্স, গণতন্ত্রী পার্টির সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য নুরুর রহমান সেলিম, সাবেক সাংসদ অ্যাডভোকেট তাসনিম রানা, সুশাসনের জন্য নাগরিক-সুজনের আঞ্চলিক সমন্বয়কারী মুর্শিকুল ইসলাম শিমুলসহ আরো অনেকে।