কমলগঞ্জে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে অতিরিক্ত ফি ফেরতের নির্দেশনা নেই
চলতি এসএসসি পরীক্ষায় অংশগ্রহণকারী পরীক্ষার্থীদের নিকট থেকে যেসব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান অতিরিক্ত অর্থ আদায় করেছে তাদের সাত দিনের মধ্যে অতিরিক্ত অর্থ ফেরত প্রদানের নির্দেশনা দিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের বরাত দিয়ে সিলেট শিক্ষা বোর্ড।
কমলগঞ্জ উপজেলার বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে আড়াই থেকে তিন হাজার হারে ফি আদায় করা হলেও অতিরিক্ত ফি ফেরত দেওয়ার কোন নির্দেশনা আসেনি। ফলে উপজেলার এসএসসি পরীক্ষার্থীদের প্রদানকৃত অতিরিক্ত অর্থ প্রাপ্তি সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, ২০১৬ সনের এসএসসি পরীক্ষার্থীদের কাছ থেকে যে সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান অতিরিক্ত ফি আদায় করেছে তাদের আগামী ৮ ফেব্রুয়ারির মধ্যে এই অর্থ ফেরত প্রদানের নির্দেশনা দিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের ২ ফেব্রুয়ারি ৩৭.০.০০০০.০৭২.৪৪.০৯৭.১২.৭৬৯ নং স্মারক মূলে সিলেট শিক্ষা বোর্ড এর ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান এ কে এম গোলাম কিবরিয়া তাপাদার এর স্বাক্ষরিত ৪ ফেব্রুয়ারি সিশিবো/প্রশা-১৭৮/২০১৬/১০০ স্মারক মূলে মৌলভীবাজারের ১৩টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে ৮ ফেব্রুয়ারির মধ্যে ওইসব প্রতিষ্ঠানের এসএসসি পরীক্ষার্থীদের অতিরিক্ত অর্থ ফেরত প্রদানের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। অতিরিক্ত অর্থ ফেরত প্রদানের পর লিখিতভাবে বাহক মারফত বোর্ডের চেয়ারম্যানকে অবহিত করতে বলা হয়েছে। এই চিটির তালিকায় মৌলভীবাজারের কয়েকটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের নাম থাকলেও কমলগঞ্জ উপজেলার কোন প্রতিষ্ঠানের নাম পাওয়া যায়নি।
জেলার অন্যান্য প্রতিষ্ঠানসহ কমলগঞ্জ উপজেলার শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সমূহ ফরম পূরণে সেশন ফি, কোচিংসহ বিভিন্ন খাত দেখিয়ে আড়াই থেকে তিন হাজার টাকা হারে অর্থ আদায় করলেও এসব প্রতিষ্ঠানের অতিরিক্ত অর্থ ফেরত প্রদানের কোন নির্দেশনা পাওয়া যায়নি।
ক্ষোভ প্রকাশ করে কয়েকজন শিক্ষক বলেন, মফস্বলের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সমূহ এসব অর্থ নিয়ে অস্থায়ী শিক্ষকের বেতন ও বিদ্যালয়ের বিভিন্ন উন্নয়ন কাজে ব্যয় করে। অথচ নামিদামী অনেক প্রতিষ্ঠান আরো বেশী অর্থ আদায় করলেও তাদের বিষয়ে শিক্ষা বোর্ড কিংবা মন্ত্রণালয় কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি।
এ ব্যাপারে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক সিলেট শিক্ষা বোর্ডের একজন কর্মকর্তা বলেন, কারা কিভাবে এই তালিকা করেছেন তা বোধগম্য নয়। সিলেটের ব্লু-বার্ড, স্কলারস হোমসহ অনেক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এরচেয়েও বেশি অর্থ আদায় করেছে। তাদের বিষয়ে কোন অভিযোগ নেই।
এ বিষয়ে জানতে চেয়ে সিলেট শিক্ষা বোর্ড এর পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক আব্দুল মান্নান খান এর মোবাইল ফোনে কয়েক দফা চেষ্টা করেও কথা বলা যায়নি।
তবে বিদ্যালয় পরিদর্শক কবির আহমদ মন্ত্রণালয়ের এই সিদ্ধান্তের সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, আরও যেসব প্রতিষ্ঠান অতিরিক্ত অর্থ আদায় করেছে সেসব বিষয়েও খতিয়ে দেখা হবে।
সাহস২৪ ডটকম-এর প্রকাশিত প্রচারিত কোনো সংবাদ তথ্য, ছবি, রেখাচিত্র, ভিডিও, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
মন্তব্যে প্রকাশিত মত মন্তব্যকারীর একান্তই নিজস্ব। সাহস২৪ ডটকম-এর সম্পাদকীয় নীতির সঙ্গে এসব মন্তব্যের কোনো মিল নাও থাকতে পারে। মন্তব্যকারীর বক্তব্যের বিষয়বস্তু নিয়ে সাহস২৪ ডটকম-এর কর্তৃপক্ষ আইনগত বা অন্য কোনো দায় নেবে না।