‘শিক্ষার নামে শিশুরা যেন জঙ্গিবাদে না জড়ায়’
নিজস্ব প্রতিবেদক, প্রকাশ : ০৪ ফেব্রুয়ারি, ২০১৬
প্রিন্টঅঅ-অ+
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ইসলামি শিক্ষার নামে শিশুরা যেন জঙ্গিবাদে না জড়িয়ে পড়ে সেদিকে শিক্ষকদের খেয়াল রাখতে হবে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ২০১০ সালে আমরা জাতীয় শিক্ষানীতি করি। এতে ধর্মীয় শিক্ষাও আমরা বাধ্যতামূলক করেছি। এই প্রথম আমরা একটি শিক্ষানীতি করেছি। আমরা বঙ্গবন্ধু মেমোরিয়াল ট্রাস্ট করেছি। সেই ট্রাস্ট থেকে এক হাজারের বেশি শিক্ষার্থীকে সহায়তা করা হয়।
তিনি আরও বলেন, যেখানে বিদ্যালয় নেই সেখানে আমরা বিদ্যালয় করে দিয়েছি। তাছাড়া স্কুলগুলোতে সুপেয় পানির ব্যবস্থা করেছি। ছেলে ও মেয়েদের জন্য আলাদা টয়লেট করা হয়েছে। ক্ষুদ্রনৃগোষ্ঠীর জন্য তাদের ভাষায় পাঠ্যপুস্তকও করা হয়েছে, যেন তারা তাদের ভাষায় পড়তে পারে।
বৃহস্পতিবার (৪ ফেব্রুয়ারি) সকালে রাজধানীর ওসমানী মিলনায়তনে জাতীয় প্রাথমিক শিক্ষাসপ্তাহ ২০১৬ এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখছিলেন প্রধানমন্ত্রী।
‘মানসম্মত শিক্ষা, জাতির প্রতিজ্ঞা’- প্রতিপাদ্য নিয়ে নানা আয়োজনের মধ্যদিয়ে পালিত হচ্ছে জাতীয় প্রাথমিক শিক্ষা সপ্তাহ।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি মোতাহার হোসেন। সভাপতিত্ব করেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রী মোস্তাফিজুর রহমান। স্বাগত বক্তব্য রাখেন মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. হুমায়ুন খালিদ।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আগে অল্প কয়েকজন শিক্ষার্থী নিয়ে বৃত্তি পরীক্ষা নেওয়া হতো। সে পদ্ধতিতে আমরা পরিবর্তন এনেছি। এখন সবাই বোর্ড পরীক্ষা দিচ্ছে। আগে এসএসসিতে প্রথম বোর্ড পরীক্ষা দিতে গিয়ে শিক্ষার্থীরা ভয় পেতো। এখন আর সে ভয় নেই। পাসের হার ৯৮ ভাগে উন্নীত হয়েছে। এজন্য শিক্ষক, শিক্ষার্থী, অভিভাবক সবাইকে ধন্যবাদ।
নিরক্ষতামুক্ত দেশ গড়ার পদক্ষেপ নিয়ে কথা বলতে গিয়ে তিনি বলেন, একটি একটি জেলা ধরে প্রতিটি জেলা নিরক্ষরতা মুক্ত করার অভিযান আমরা শুরু করেছিলাম। ২০০১ সালে বিএনপি জোট ক্ষমতায় এসে সেই ধারায় বাধা সৃষ্টি করে। ৯৬ সালে নিরক্ষরতার হার ছিলো ৪৫ শতাংশ। পরে ৬৫তে উন্নীত করি। একটি দেশ তো এগিয়ে যাবে। এতো পিছিয়ে যায় কি করে? ২০০৯ এসে আবার কাজ শুরু করেছি।
তিনি বলেন, আমরা বিনামূল্যে বই বিতরণ করছি। বই কিনতে বাবা মায়েদের কষ্ট হতো। এটা তাদের উপর একটি অতিরিক্ত বোঝা ছিলো। তাই আওয়ামী লীগ সরকারই দায়িত্বটা নিয়েছে।
আগামী ১০ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত জাতীয় প্রাথমিক শিক্ষা সপ্তাহ উদযাপন করবে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়।
সাহস২৪ ডটকম-এর প্রকাশিত প্রচারিত কোনো সংবাদ তথ্য, ছবি, রেখাচিত্র, ভিডিও, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
মন্তব্য
মন্তব্যে প্রকাশিত মত মন্তব্যকারীর একান্তই নিজস্ব। সাহস২৪ ডটকম-এর সম্পাদকীয় নীতির সঙ্গে এসব মন্তব্যের কোনো মিল নাও থাকতে পারে। মন্তব্যকারীর বক্তব্যের বিষয়বস্তু নিয়ে সাহস২৪ ডটকম-এর কর্তৃপক্ষ আইনগত বা অন্য কোনো দায় নেবে না।