- হোম
- >
- আইন-মানবাধিকার
- >
- ক্রিকেটার শাহাদাত ও স্ত্রীর বিরুদ্ধে চার্জশিট আমলে
ক্রিকেটার শাহাদাত ও স্ত্রীর বিরুদ্ধে চার্জশিট আমলে
নিজস্ব প্রতিবেদক, প্রকাশ : ০৪ ফেব্রুয়ারি, ২০১৬
প্রিন্টঅঅ-অ+
শিশু গৃহকর্মী মাহফুজা আক্তার হ্যাপিকে (১১) নির্যাতনের মামলায় জাতীয় দলের ক্রিকেটার শাহাদাত হোসেন ও তার স্ত্রী জেসমিন জাহান ওরফে নিত্য শাহাদাতের বিরুদ্ধে চার্জশিট আমলে নিয়েছেন ট্রাইব্যুনাল। এ সময় মামলার চার্জশিটভুক্ত দুই আসামি শাহাদাত হোসেন ও তার স্ত্রী নিত্য শাহাদাত জামিনে থাকলেও আদালতে হাজির ছিল। মামলায় শাহাদাত এবং নিত্যর বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হলে তাদের সর্বোচ্চ ১৪ এবং সর্বনিম্ন ৭ বছরের কারাদণ্ড হতে পারে।
বৃহস্পতিবার (০৪ ফেব্রুয়ারি) ঢাকার ৫ নম্বর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক তানজীনা ঈসমাইল এ অভিযোগপত্র গ্রহণ করেন। বিচারক আগামী ২২ ফেব্রুয়ারি অভিযোগ গঠনের শুনানির জন্য দিন ধার্য করেছেন।
এর আগে ২০১৫ সালের ২৯ ডিসেম্বর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের ৪ (২) খ ধারায় করা মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মিরপুর মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. শফিকুর রহমান ঢাকা সিএমএম আদালতে এ চার্জশিট দাখিল করেন
ওই বছরের ০৩ অক্টোবর দিনগত গভীর রাত সাড়ে তিনটায় মালিবাগের পাবনা গলিতে তার বাবার বাড়ি থেকে নিত্যকে গ্রেপ্তার করে মিরপুর মডেল থানা পুলিশ।
আদালতের অনুমোদনক্রমে তাকে তিনদিন জেলগেটে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। পরে ০১ ডিসেম্বর নিত্যকে জামিন দেন ঢাকা মহানগর দায়রা জজ কামরুল হোসেন মোল্লার আদালত।
অন্যদিকে শাহাদাত গত বছরের ০৫ অক্টোবর সকালে ঢাকার সিএমএম আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিনের আবেদন জানান। এ আবেদন নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠিয়ে দেন আদালত। আদালতের নির্দেশে ০৮ অক্টোবর থেকে তিনদিনের রিমান্ডে নিয়ে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে পুলিশ। পরে ০৮ ডিসেম্বর শাহাদাতকে আগামী ৩১ মার্চ পর্যন্ত জামিন দেন হাইকোর্ট।
মামলার এজাহার থেকে জানা যায়, মিরপুরের ২ নম্বর সেকশনের এইচ ব্লকের ৫ নম্বর রোডে শাহাদাতের বাড়িতে গৃহকর্মীর কাজ করতো মাহফুজা আক্তার হ্যাপি (১১)। গত ৬ সেপ্টেম্বর রাত সাড়ে ১১টার দিকে পল্লবীর সাংবাদিক কলোনির ৩ নম্বর রোডের মাথায় হ্যাপিকে অচেতন অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখেন মিরাজ উদ্দীন নামে এক ব্যক্তি। পরে গৃহকর্মীকে নির্যাতনের অভিযোগে জাতীয় দলের ক্রিকেটার শাহাদাত হোসেন রাজীবের বিরুদ্ধে গত ৬ সেপ্টেম্বর রাত সাড়ে ১০টার দিকে সাংবাদিক খন্দকার মোজাম্মেল হক মিরপুর মডেল থানায় মামলা করেন। মামলার এজাহারে তাদের বিরুদ্ধে শিশুটিকে অমানুষিক নির্যাতনের অভিযোগ আনা হয়। এরপর গত ১৩ সেপ্টেম্বর হ্যাপি আদালতে হাজির হয়ে জবানবন্দি প্রদান করেন।
মারাত্মক আহত গৃহকর্মী হ্যাপীকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে (ওসিসি) চিকিৎসা দেওয়া হয়।
সাহস২৪ ডটকম-এর প্রকাশিত প্রচারিত কোনো সংবাদ তথ্য, ছবি, রেখাচিত্র, ভিডিও, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
মন্তব্য
মন্তব্যে প্রকাশিত মত মন্তব্যকারীর একান্তই নিজস্ব। সাহস২৪ ডটকম-এর সম্পাদকীয় নীতির সঙ্গে এসব মন্তব্যের কোনো মিল নাও থাকতে পারে। মন্তব্যকারীর বক্তব্যের বিষয়বস্তু নিয়ে সাহস২৪ ডটকম-এর কর্তৃপক্ষ আইনগত বা অন্য কোনো দায় নেবে না।