কবুতর পালন করে স্বাবলম্বী হলেন ঝিনাইদহ সদর উপজেলার পাগলাকানাই ইউনিয়নের কোরাপাড়া গ্রামের বেকার যুবক মেহেদী হাসান। শখের বশে একজোড়া কবুতর কিনে পালন করা দিয়ে শুরু করেছিলেন তিনি। পরে সেই কবুতর একজোড়া বাচ্চা দেওয়ায় তা বড় হলে ৬ হাজার টাকায় তিনি বিক্রি করেন। সেই থেকেই বাণিজ্যিকভাবে কবুতর পালনের উৎসাহিত হন তিনি।

এরপর থেকে বাড়ির আঙ্গিনায় বাণিজ্যিকভাবে গড়ে তোলেন কবুতরের খামার। আর এই খামার মেহেদীর ভাগ্যের চাকাকে ঘুরিয়ে দেয়। খামারের কবুতর বিক্রি করা অর্থ দিয়ে তিনি জমি কিনে সেখানে পাঁকা বাড়ি করেন।

মেহেদীর এই সাফল্য দেখে এলাকার অন্য বেকার যুবকরা কবুতর পালনে উৎসাহিত হচ্ছেন। প্রায় প্রতিদিনই দেশের দূর-দূরান্ত থেকে মানুষ তার বাড়িতে আসে কবুতরের খামার দেখতে।

মেহেদী বলেন, স্ত্রী শারমিন হাসানের সহযোগীতায় বাড়ীর আঙ্গিনায় তিনি গড়ে তুলেছেন প্রিজন ফার্ম। বর্তমানে তার খামারে রয়েছে প্রায় ৫০ প্রজাতির বিদেশি কবুতর। এদের মধ্যে ৪২ হাজার টাকা মূল্যের ইয়োলো বোখরা, ১০ হাজার টাকা মূল্যের মডেনা ব্লু কিং, ম্যাগপাই ও আওল এবং ৬ হাজার টাকা মূল্যের বিউটি হুমার রয়েছে। 

আছে ৬ থেকে ২০ হাজার টাকা মূল্যের পাকিস্তানী ব্লু সিরাজি, কালো কিং, লাল কিং, হলুদ কিং, হোয়াইট কিং, সাটিং, শ্যালো, নানপারভিন, সিংহ ও হাইপিলার, ৬ হাজার টাকা মূল্যের অস্ট্রেলিয়ার কিং, ২ হাজার টাকা মূল্যের ভারতীয় বোম্বাই ও লোটন এবং দেশি সোয়াচন্দন।

মেহেদি আরও বলেন, মাত্র ২০ হাজার টাকা খরচ করে এক জোড়া বিদেশি কবুতর পুষলে বছরে সব খরচ বাদ দিয়ে ৩০ হাজার টাকা লাভ করা সম্ভব। তিনি ৪ বছর খামারে উৎপাদিত বাচ্চা ও কবুতর বিক্রি করে উল্লেখযোগ্য আর্থিক পরিবর্তন আনতে পেরেছেন।

মেহেদীর প্রতিবেশী স্কুল ছাত্র সাব্বির হোসেন বলেন, মেহেদীর কাছ থেকে কবুতর কিনে পালন করে তা বিক্রি করে নিজের খরচ চালাচ্ছেন তিনি।

এ ব্যাপারে ঝিনাইদহ জেলা প্রাণীসম্পদ কর্মকর্তা ডাঃ কানাই লাল স্বর্ণকার বলেন, মেহেদী হাসান বিদেশি বিভিন্ন জাতের কবুতর পালন করে আজ স্বাবলম্বী। তার এই উদ্দ্যেগ দেখে এলাকার বেকার যুবকরা বাণিজ্যিকভাবে কবুতর পালনে উৎসাহিত হচ্ছেন।