রামগঞ্জে অবৈধ ইটভাটায় কাঠ পোড়ানোর মহাউৎসব
লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জ উপজেলায় নতুন পুরাতন ২২টি ইটভাট রয়েছে। যার মধ্যে ১৪টি অবৈধ।
জেলা প্রশাসন ও পরিবেশ অধিদফতরের ছাড়পত্র ছাড়া শৈরশৈই গ্রামে এমএমবি ব্রিকস, আববাছ ব্রিকস অ্যান্ড ম্যানুফেকসারিং, মেঘনা ব্রিকস অ্যান্ড ম্যানুফেকসারিং, সুধারামপুর গ্রামে এবিএম ব্রিক, দেহলার আকরতমা গ্রামে এসবিএম ব্রিক, এফবিএম ব্রিক, কাটাখালি গ্রামে এইসটিসি ব্রিক, দুলাল আটিয়া ব্রিকস, বাট্টা রামসিংপুরে এমএসবি ব্রিকস, লক্ষ্মীধরপাড়ায় মোতালেব ব্রিক, হাজির পাড়ায় এমডিএ ব্রিক, দেহলায় মদিনা ব্রিক, মক্কা বিক্স, আলীপুর পচা মার্কেট এলাকায় পাটোয়ারী ব্রিক, আজিমপুর ব্রিকসহ ১৪টি অবৈধ ইটভাটা তৈরি হয়েছে নীতি মালা লংঘন করে।
জনবসতিপূর্ণ এলাকা থেকে তিন কিলোমিটার দূরে ইটভাটা স্থাপনের বিধান থাকলেও ইটভাটার মালিকদের কেউ কেউ কৃষকদের মুনাফার লোভ দেখিয়ে কৃষি জমি লিজ নিয়ে আবার কেউ কৃষি জমি কিনে জনবসতিপূর্ণ স্থানে ইটভাটা স্থাপন, হাওয়াই ইটভাটার স্থলে বাংলা ভাটা স্থাপন করে কয়লার পরিবর্তে কাঠ ও কৃষি জমির টফসয়েল ব্যবহার করছে। বিষয়টি যেন দেখার কেউ নেই।
উপজেলাব্যাপী ইটবাটাগুলোতে মুখে কয়লা পোড়ানোর কথা বললেও কার্যত পোড়ানো হচ্ছে বনভূমির গাছ, গাড়ির পুরাতন টায়ার ও রাবার, যা পরিবেশের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর। তবে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কোন নজর নেই সেদিকে। ইটভাটায় জ্বালানি হিসেবে বেআইনিভাবে কাঠ ব্যবহারে একদিকে যেমন ধ্বংস হচ্ছে বনজ সম্পদ, অন্যদিকে নষ্ট হচ্ছে পরিবেশের ভারসাম্য।
বিভিন্ন ইটভাটার শ্রমিকদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, প্রতিটি ইটভাটায় একদফা কাঁচা ইট পোড়াতে গড়ে ২৪/২৫ দিন সময় লাগে এতে প্রায় চার হাজার পাঁছশত মন কাঠ প্রয়োজন হয়। প্রতিটি ইটভাটায় বছরে অন্তত ১০ দফা ইট পোড়ানো হয়। এতে ৪৫ হাজার মণ কাঠ প্রয়োজন হয়।
কৃষিবিদরা মনে করছেন, ফসলি জমি থেকে এভাবে মাটি কাটায় জমির উর্বরতা শক্তি, প্রধান উপাদান ও উৎপাদন ক্ষমতা নষ্ট হচ্ছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন ইটভাটার মালিক জানান, সংশ্লিষ্ট সকলকে ম্যনেজ করেই ইটভাটা গুলি পরিচালিত হয়ে আসছে।
রামগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ আবু ইউসুব জানান, দুইটি জাতিয় দিবস উৎযাপনের জন্য ইটভাটা থেকে আমাদের টাকা নিতে হয়। তবে অবৈধ ইটভাটাগুলোতে অচিরেই অভিযান চালানো হবে।
সাহস২৪ ডটকম-এর প্রকাশিত প্রচারিত কোনো সংবাদ তথ্য, ছবি, রেখাচিত্র, ভিডিও, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
মন্তব্যে প্রকাশিত মত মন্তব্যকারীর একান্তই নিজস্ব। সাহস২৪ ডটকম-এর সম্পাদকীয় নীতির সঙ্গে এসব মন্তব্যের কোনো মিল নাও থাকতে পারে। মন্তব্যকারীর বক্তব্যের বিষয়বস্তু নিয়ে সাহস২৪ ডটকম-এর কর্তৃপক্ষ আইনগত বা অন্য কোনো দায় নেবে না।