- হোম
- >
- বায়োগ্রাফি
- >
- যতীন্দ্রমোহন বাগচী
যতীন্দ্রমোহন বাগচী
নিজস্ব প্রতিবেদক, প্রকাশ : ০১ ফেব্রুয়ারি, ২০১৬
প্রিন্টঅঅ-অ+
যতীন্দ্রমোহন নদীয়া জেলার জমশেরপুরের অধিবাসী ছিলেন, সেখানে শ্রী নারায়ণ নিকেতনে ১৮৭৮ সালের ২৭ নভেম্বরে তার জন্ম। বাবা হরিমোহন বাগচী, মা গিরিশমোহিনী দেবী। বহরমপুরে তাঁর প্রাথমিক শিক্ষালাভ, খাগড়ায় লন্ডন মিশন স্কুলে। পরবর্তীকালে ১৮৯০ সালে কলকাতায় হেয়ার স্কুলে ভর্তি হন। এরপর প্রেসিডেন্সি ও ডাফ কলেজ। ১৯০২ সালে বি.এ. পাশ।
১৮৯১ সালে ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের মৃত্যুতে বালক যতীন্দ্রমোহন এমন শোকার্ত হয়েছিলেন যে তিনি একটি শোকগাথা রচনা করেছিলেন। তেরো বছর বয়সে লেখা সেই রচনাটিই যতীন্দ্রমোহনের প্রথম মুদ্রিত কবিতা বলে জানা যায়। ছাত্রাবস্থা থেকেই ঠাকুর বাড়ির বিখ্যাত সাহিত্যপত্রিকা ‘ভারতী’ এবং সুরেশচন্দ্র সমাজপতি সম্পাদিত ‘সাহিত্য’ পত্রিকায় যতীন্দ্রমোহনের প্রথম যুগের কবিতা একের পর এক প্রকাশিত হতে থাকে।
যদিও জমিদারবংশে যতীন্দ্রমোহনের জন্ম, কিন্তু তিনিও উপার্জনের জন্য বিভিন্ন সময় বিভিন্ন কাজ করেছেন। প্রথম জীবনে সাহিত্যানুরাগী বিচারপতি সারদাচরণ মিত্রের প্রাইভেট সেক্রেটারি হিসেবে কাজ করেন। কিছু সময় কলকাতা কর্পোরেশনের লাইসেন্স ইন্সপেক্টর পদে যুক্ত ছিলেন। সেই সময় নাটোরের মহারাজা জগদীন্দ্রনাথ রায়ের সঙ্গে পরিচয় হয় এবং মহারাজ যতীন্দ্রমোহনকে প্রাইভেট সেক্রেটারি পদে নিযুক্ত করেন। যদিও মহারাজ মানসী পত্রিকার সম্পাদক ছিলেন, কিন্তু তিনি নামে মাত্র সম্পাদক ছিলেন, যতীন্দ্রমোহনই ছিলেন মূল পরিচালক। তিনিই ক্রমশ পত্রিকাটিকে সমৃদ্ধ করে তোলেন। মহারাজের মৃত্যুর পর এফ এম গুপ্তা পেন্সিল কোম্পানির ম্যানেজার পদে যোগ দেন। পরে কোলিয়ারির কাজ, ব্যবসা ইত্যাদি বিভিন্ন রকম কাজই তিনি করেছেন।
এই সময় থেকেই তাঁর লেখা বলিষ্ঠ হতে থাকে। মানসী, বঙ্গদর্শন, সাহিত্য, ভারতী, প্রবাসী, সাধনা, সবুজপত্র, মর্মবাণী, পূর্বাচল, যমুনা ইত্যাদি পত্রিকায় বিভিন্ন সময়ে তিনি লিখেছেন। বিভিন্ন পত্রিকার সঙ্গেও যুক্ত ছিলেন। ১৯১৫ খ্রিষ্টাব্দে ( ১৩২২ বঙ্গাব্দে) মর্মবাণী পত্রিকার সঙ্গে তাঁকে যুক্ত দেখা যায়। ১৯২১-১৯২২ খ্রিষ্টাব্দ ( ১৩২৮ থেকে ১৩২৯ বঙ্গাব্দ) অবধি যমুনা পত্রিকার সম্পাদক ছিলেন এবং প্রথম সংখ্যা থেকে আমৃত্যু পূর্বাচল পত্রিকার সম্পাদক ছিলেন তিনি।
সাহস২৪ ডটকম-এর প্রকাশিত প্রচারিত কোনো সংবাদ তথ্য, ছবি, রেখাচিত্র, ভিডিও, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
মন্তব্য
মন্তব্যে প্রকাশিত মত মন্তব্যকারীর একান্তই নিজস্ব। সাহস২৪ ডটকম-এর সম্পাদকীয় নীতির সঙ্গে এসব মন্তব্যের কোনো মিল নাও থাকতে পারে। মন্তব্যকারীর বক্তব্যের বিষয়বস্তু নিয়ে সাহস২৪ ডটকম-এর কর্তৃপক্ষ আইনগত বা অন্য কোনো দায় নেবে না।