তারা বাংলাদেশের স্বাধীনতার পক্ষে ছিলনা: সৈয়দ আশরাফ
সফিউল আলম
প্রিন্টঅঅ-অ+
কক্সবাজার জেলা আওয়ামী লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনে বক্তারা বলেছেন, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু স্বাধীন একটি দেশ দিয়েছেন। আর সেই দেশে অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক মুক্তির জন্য কঠোরভাবে কাজ করে যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
২০২১ সালে মধ্যম আয়ের ও ২০৪১ সালে বাংলাদেশকে উন্নত দেশে পরিণত করতে নানান পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করে যাচ্ছেন বর্তমান সরকার। উন্নয়ন বান্ধব সরকারের ঐকান্তিক প্রচেষ্ঠায় এরই মধ্যে দেশের মানুষের জীবন যাত্রার মান বেড়েছে বহুগুণ। বেড়েছে মাথাপিছু আয়ও। খাদ্য ও বিদ্যুতে এখন স্বয়ং সম্পূর্ণ বাংলাদেশ। এখন আর কেউ ভাতের অভাবে না খেয়ে মরেনা। বিদ্যুতের অভাবে অন্ধকারে থাকেনা। যোগাযোগ ব্যবস্থায়ও ঘটেছে অভূতপূর্ব উন্নয়ন।
এভাবেই শেখ হাসিনার নেতৃত্বে যখন একের পর এক সফলতার সাথে বাংলাদেশ উন্নত দেশের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে তখন বিএনপি, জামায়াত ও তাদের দোসররা নানা ধরণের ষড়যন্ত্র শুরু করেছে। এরা মুক্তিযুদ্ধের সময়ও বাংলাদেশের স্বাধীনতার পক্ষে ছিলনা। এদের কাছে দেশের সাধারণ মানুষ কোন অবস্থাতেই নিরাপদ নয়। তাই পাকিস্তানপ্রেমী এসব বিএনপি জামায়াত ও তাদের দোসরদের ষড়যন্ত্রকে কঠোরভাবে রুখতে হলে আওয়ামী লীগকে আরো শক্তিশালী সংগঠন হিসেবে গড়ে তুলতে হবে।
৩১ জানুয়ারি কক্সবাজার শহীদ দৌলত ময়দানে কক্সবাজার জেলা আওয়ামী লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনে উপস্থিত বক্তারা উপরোক্ত কথা গুলো বলেন।
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য এবং গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার মোশারফ হোসেন বলেন, বিএনপি জামায়াতের পেট্রোল বোমার আঘাতে অগ্নিদগ্ধ দেশকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা উন্নত দেশের দিকে নিয়ে যাচ্ছেন। সাধারণ মানুষের ভাগ্যোন্নয়ন, জলবায়ু পরিবর্তনের জন্য পরিবেশের উন্নয়নসহ সর্বোপরি সফলতার সাথে দেশের উন্নয়নের জন্য কাজ করে যাচ্ছে শেখ হাসিনা। তাই জাতিসংঘের সর্বোচ্চ পদকটিও তিনি পেয়েছেন।
তিনি আরো বলেন, কক্সবাজারের সাথে আমার পরিবারের ৭৫ বছরের সম্পর্ক। এছাড়া কক্সবাজারের প্রতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সুনজর রয়েছে। তাই দেশের সবচেয়ে বড় বড় উন্নয়ন প্রকল্পগুলো তিনি অগ্রাধিকার ভিত্তিতে কক্সবাজারেই দিয়েছেন। যেগুলো বাস্তবায়ন হলে পাল্টে যাবে কক্সবাজারের চেহারা। শুধু মহেশখালীকে ঘিরে সরকারের যেসব উন্নয়ন কর্মযজ্ঞ চলছে দেশের অন্য কোন উপজেলায় এতসব উন্নয়ন প্রকল্প নেই। দেশের অর্থনীতির সিংহভাগ এখন কক্সবাজার থেকেই সংগ্রহ করার স্বপ্ন দেখছে সরকার। তাই ভবিষ্যতেও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপর আস্তা রাখার জন্য তিনি অনুরোধ জানান নেতাকর্মীদের।
সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও জনপ্রশাসন মন্ত্রী ছৈয়দ আশরাফুল ইসলাম বলেন, এখন দেশের সবখানে উন্নয়নের জোয়ার উঠেছে। এই উন্নয়নের ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে হলে শেখ হাসিনার সাথে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করতে হবে। দেশের এভাবেই উন্নয়নের দৃশ্য দেখে বিএনপি জামায়াত এখন ঈর্ষান্বিত হচ্ছে। তাই তারা যে কোন মূহুর্তে চক্রান্ত করে দেশে অস্থিতিশীল অবস্থা সৃষ্টি করতে পারে। সেজন্য দলকে আরো ঐক্যবদ্ধ হয়ে শক্তিশালী করে গড়ে তুলতে হবে।
তিনি আরো বলেন, কাউন্সিলে সভাপতি/সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হবেন মাত্র দুইজন। কিন্তু প্রার্থী হয়েছেন অনেকজন। তাই সভাপতি/সাধারণ নির্বাচিত না হলে অভিমান করে নিষ্ক্রিয় হয়ে পরার কোন কারণ নেই। কারণ ঐ সুযোগে বিরোধী চক্র ঢুকে পড়ে সংগঠনকে নসাৎ করার চেষ্ঠা করবে। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ এমন একটা সংগঠন যেখানে সকলেরই ত্যাগের মূল্যায়ন হয়। তাই পদ বড় কথা নয় রাজনীতির মাঠে সক্রিয় থেকে বিএনপি জামায়াতের ধ্বংসাত্মক কর্মকান্ড বিরুদ্ধে রুখে দাড়ানোই প্রধান দায়িত্ব।
জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি এড. একে আহমদ হোসেনের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক সালাউদ্দিন সিআইপির পরিচালনায় অনুষ্ঠিত সম্মেলনে আরো বক্তব্য রাখেন, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুল আলম হানিফ এমপি, সাংগঠনিক সম্পাদক ও পার্বত্য বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী বীর বাহাদুর উশৈচিং এমপি, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক ও সাবেক মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ এমপি, শ্রম ও জনশক্তি বিষয়ক সম্পাদক হাবিবুর রহমান সিরাজ, স্বাস্থ্য ও জনসংখ্যা বিষয়ক সম্পাদক ডাঃ বদিউজ্জমানা ডাবলো, তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক আফজাল হোসেন, কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য সুজিত রায় নন্দী ও আমিনুল ইসলাম, কক্সবাজার সদর-রামু আসনের সাংসদ সাইমুম সরওয়ার কমল, মহেশখালী-কুতুবদিয়া আসনের সাংসদ আশেক উল্লাহ রফিক, টেকনাফ-উখিয়া আসনের সাংসদ আব্দুর রহমান বদি, সাবেক সাংসদ অধ্যাপক মোহাম্মদ আলী ও অধ্যাপক এথিন রাখাইন, কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাবেক ছাত্রনেতা মাহফুজুল হায়দার চৌধুরী রোটন, আজিজুল সামাদ আজাদ ডন, শাহাজাদা মহিউদ্দিন, প্রশান্ত ভূষণ বড়ুয়া প্রমুখ।
এদিকে সম্মেলনের পর বিয়াম ল্যাবরেটরী মিলনায়তনে কাউন্সিল হওয়ার কথা থাকলেও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম সম্মেলন শেষ করে ঢাকায় ফেরার আগে কক্সবাজার হিলটপ সার্কিট হাউজে বসে সভাপতি হিসেবে এড. সিরাজুল মোস্তফা ও সাধারণ সম্পাদক হিসেবে মুজিবুর রহমানের নাম ঘোষণা করেন।
সাহস২৪ ডটকম-এর প্রকাশিত প্রচারিত কোনো সংবাদ তথ্য, ছবি, রেখাচিত্র, ভিডিও, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
মন্তব্য
মন্তব্যে প্রকাশিত মত মন্তব্যকারীর একান্তই নিজস্ব। সাহস২৪ ডটকম-এর সম্পাদকীয় নীতির সঙ্গে এসব মন্তব্যের কোনো মিল নাও থাকতে পারে। মন্তব্যকারীর বক্তব্যের বিষয়বস্তু নিয়ে সাহস২৪ ডটকম-এর কর্তৃপক্ষ আইনগত বা অন্য কোনো দায় নেবে না।