বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি ও আবৃত্তিকার এর যৌথ প্রয়াসে আজ থেকে একাডেমির জাতীয় সঙ্গীত, নৃত্য ও আবৃত্তি মিলনায়তনে শুরু হয়েছে ‘বিশ্বময় বাংলার শিল্পিত উচ্চারণ’ শ্লোগান নিয়ে প্রথমবারের মত দুইদিনব্যাপী পূর্ব-পশ্চিম আবৃত্তি উৎসব ২০১৬।

অনুষ্ঠানের প্রথম পর্বে আজ ২৯ জানুয়ারি ২০১৬ শুক্রবার সকাল ১১টায় একাডেমির নন্দন মঞ্চে দুইদিনব্যাপী উৎসবের উদ্বোধন করেন বরেণ্য শিল্পী মুস্তাফা মনোয়ার ও বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালক লিয়াকত আলী লাকী। অনুষ্ঠানের দ্বিতীয় পর্বে একাডেমির জাতীয় সঙ্গীত, নৃত্য ও আবৃত্তি মিলনায়তনে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালক লিয়াকত আলী লাকী এর সভাপতিত্বে আলোচনায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বরেণ্য শিল্পী মুস্তাফা মনোয়ার। মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন নিরঞ্জন অধিকারী। এছাড়াও আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন আবৃত্তিকার এর আহ্বায়ক বিশিষ্ট আবৃত্তি শিল্পী ও অভিনেতা জয়ন্ত চট্টোপাধ্যায়, ভাস্বর বন্দ্যোপাধ্যায়, বুলবুল মহলানবিশ প্রমূখ।

অনুষ্ঠানের তৃতীয় পর্বে বিকেল ৪.৩০টায় ঢাকা মহানগর ও দেশের বিভিন্ন জেলার এবং ভারতের ১২জন প্রথিতযশা আবৃত্তি শিল্পীর আবৃত্তি পরিবেশনা ও সঙ্গীতানুষ্ঠান। আজকের শিল্পী যথাক্রমে মুক্তা বড়–য়া, তারিন, সঞ্জয় পাল, মাইনুল আজম চৌধুরী ও সায়রা শাহীদ -চট্টগ্রাম, সুকান্ত গুপ্ত ও লিটন-সিলেট, তাহসীন রেজা-ময়মনসিংহ, আবু নাসের মানিক-কুমিল্লা, ঢাকা মহানগরের আয়েশা হক শিমু, ফয়জুল আলম পাপ্পু, লুবাবা ফেরদৌসী সায়কা, জালাল উদ্দীন হীরা, মজুমদার বিপ্লবম, ফারুক তাহের, মাসুদুজ্জামান, মধুসুদন মিহির চক্রবর্তী, অলক বসু, জি এম মুর্শেদ, ঝর্ণা সরকার, সোহেল আনোয়ার, ইকবাল খোরশেদ, শিমুল মুস্তাফা, তামান্না তিথি, রেজীনা ওয়ালী লীনা, রূপা চক্রবর্তী, মাসুম আজিজুল বাশার, রফিকুল ইসলাম, সুপর্না বড়–য়া এ্যানী, গোলাম সারোয়ার, সৈয়দ হাসান ইমাম ও কামরুল হাসান মঞ্জু এবং ভারতের শিল্পী জয়ীতা ভট্টাচার্য্য, অরুণাভ বিশ্বাস, অমিতাভ কাঞ্জিলাল, বর্ণালী সরকার ও  অনিন্দিতা কাজী।

আগামিকাল ৩০ জানুয়ারি সকাল ১১টায় একাডেমির জাতীয় সঙ্গীত, নৃত্য ও আবৃত্তি মিলনায়তনে অনুষ্ঠানের প্রথম পর্বে আবৃত্তিকারের সদস্য প্রশান্ত কুমার চক্রবর্ত্তী এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন কবি নির্মলেন্দু গুণ। মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করবেন ড. বিপ্লব বালা এবং আলোচনায় অংশগ্রহণ করবেন রনজিৎ বিশ্বাস ও আশরাফুল আলম। অনুষ্ঠানের দ্বিতীয় পর্বে বিকেল ৪.৩০টায় ওয়াহিদুল হক ও  গোলাম মোস্তফা খান-কে মরণোত্তর আবৃত্তিকার সম্মাননা পদক প্রদান এবং বাংলাদেশ ও ভারতের বিশিষ্ট শিল্পীদের অংশগ্রহণে আবৃত্তি পরিবেশিত হবে। শিল্পী যথাক্রমে শারমিন মৃত্তিকা, অঞ্জল চৌধুরী ও মুজাহিদুল ইসলাম-চট্টগ্রাম, সুকান্ত সরকার-খুলনা, দেবাশিস বাগচী-কুষ্টিয়া ও কাজী মাহতাব সুমন-কুমিল্লা, ঢাকা মহানগরের শিল্পী জহীরুল হক, মিলি চৌধুরী, রাশেদ হাসান, জয়ন্ত রায়, মাশকুর এ সাত্তার কল্লোল, নায়লা তারান্নুম কাকলী, শামীমা নাজনীন, ইকবাল খোরশেদ, মাহিদুল ইসলাম, আহকাম উল্লাহ, ভাস্বর বন্দ্যোপাধ্যায়, সাহাদাত হোসেন নীপু, আশরাফুল আলম, হাসান আরিফ, কাজী মদীনা, মাহফুজ, এনামুল হক বাবু, মেহের নিগার জুন, রণজিৎ রক্ষিত, কাজী আরিফ, ডালিয়া আহমেদ, প্রাশান্ত চক্রবর্তী, এস এম আলতাফ হোসেন, পারভেজ চৌধুরী, বেলায়েত হোসেন ও জয়ন্ত চট্টোপাধ্যায় এবং ভারতের শিল্পী বর্ণালী সরকার, অনিন্দিতা কাজী, সাদেকুল করিম, নন্দিনী লাহা সোম এবং কবিতা কানেকশন।

এছাড়াও বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির উদ্যোগে আজ ২৯ জানুয়ারি ২০১৬ শুক্রবার সন্ধ্যা ৬.০০টায় একাডেমির জাতীয় সঙ্গীত, নৃত্য ও আবৃত্তি ভবনের তৃতীয় তলায় মহড়াকক্ষে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির ভাওয়াইয়া সঙ্গীত দলের শিল্পী ছাবিহা আক্তার সোনালী স্মরণে এক শোকসভা অনুষ্ঠিত হয়।

শোক সভায় উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালক লিয়াকত আলী লাকী, ছাবিহা আক্তার সোনালী’র মাতা-সারমিন আক্তার কুলসুম এবং বাবা-জাকির হোসেন। ২০০১ সালের জুলাই মাসে ছাবিহা আক্তার সোনালী জন্মগ্রহণ করে। সঙ্গীতে হাতে খড়ি বাংলাদেশ শিশু একাডেমী থেকে। ২০১৪ সালের নভেম্বর মাসে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির ভাওয়াইয়া সঙ্গীত দলের নিয়মিত শিল্পী হিসেবে সুনামের সাথে কাজ করে আসছিল। সেগুনবাগিচা বেগম রহিমা আদর্শ বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় হতে অষ্টম শ্রেনীতে জিপিএ-৫ উত্তীর্ণ হয়।

গত ১৯ জানুয়ারি ২০১৬ সকাল ৭.৩০টায় ছাবিহা আক্তার সোনালী নবম শ্রেনীতে ভর্তি হওয়ার উদ্দেশ্যে মৎস্য ভবন মোড়ে মর্মান্তিক সড়ক দুর্ঘটনায় অকাল মৃত্যু হন।