উজান থেকে ঢল নেমেছে তিস্তা নদীতে। শুকিয়ে থাকা তিস্তায় হু-হু করে পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় নব যৌবনে ফিরে আসতে শুরু করেছে। নদী জুড়ে চলছে স্রোতধারা।

সংশ্লিষ্টরা জানান, গত ৭ দিন ধরে দুই হাজার কিউসেকের উপরে পানি প্রবাহ চলছে তিস্তা নদীতে। শুস্ক মৌসুমে এ ধরনের পানি প্রবাহ থাকলে ৬০ হাজার হেক্টর জমিতে সেচ দেওয়া সম্ভব হবে।

বৃহস্পতিবার পর্যন্ত নীলফামারী, দিনাজপুর ও রংপুর জেলায় ২৫ হাজার হেক্টর জমি সেচ পেয়েছে।

সূত্র মতে, গত বছর নদীতে পানি সল্পতার কারণে ৮ হাজার হেক্টর জমির বোরো ক্ষেতে সেচ দেওয়া সম্ভব হয়েছিল। চলতি শুস্ক মৌসুমে গত দুই মাস ধরে নদীর পানি প্রবাহ চলে আসছিল ৫০০ থেকে ৬০০   কিউসেক। ফলে চলতি খরিপ-১ মৌসুমে সংশ্লিষ্টরা মাত্র ১০ হাজার হেক্টর জমিতে সেচ প্রদানের লক্ষ্যমাত্রা রেখে গত ৫ জানুয়ারি সন্ধ্যায় পানি সম্পদ প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম বীর প্রতীক এমপি মাধ্যমে সেচ কার্যাক্রমের আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্ধোধন করা হয়েছিল।

বর্তমানে নদীতে পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় সেচ এলাকা বৃদ্ধি পেতে শুরু করেছে। বৃহস্পতিবার সকাল থেকে নীলফামারীর ডিমলা, জলঢাকা, কিশোরীগঞ্জ, নীলফামারী সদর, সৈয়দপুর, রংপুর জেলার গঙ্গাচড়া ও দিনাজপুর জেলার পার্বতীপুর পর্যন্ত সেচ ক্যানেলে পানি সরবরাহ করা অব্যাহত রয়েছে। উজান থেকে যে পানি আসছে তা তিস্তা ব্যারাজের ৪৪ টি জলকপাট বন্ধ রেখে সেচ ক্যানেলে নদীর পানি প্রবেশ করানো হচ্ছে।

তিস্তা ব্যারাজের ডালিয়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মাহবুবর রহমান বলেন, তিস্তা নদীর পানি এখন বৃদ্ধি পাচ্ছে। পানি বৃদ্ধি কারণে রংপুরের গঙ্গাচড়া ও দিনাজপুর জেলার পার্বতীপুর পর্যন্ত পানি সরবরাহ করা হচ্ছে।

তিনি আরো জানান, এবার খরিপ ১ মৌসুমে ১০ হাজার হেক্টর জমিতে সেচ দেওয়ার পরিকল্পনা নেওয়া হয়। কিন্তু পানি বৃদ্ধির কারণে সেচ দেওয়া যায় ২৫ হাজার হেক্টরে। উজানের পানি বৃদ্ধি ও প্রাপ্তিতা ভাল হলে চলতি মৌসুমে ৬০ হাজার হেক্টর জমিতে সেচ দেওয়া সম্ভব হবে।