ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে জেলার সাত উপজেলাতেই তোড়জোড় শুরু হয়েছে সম্ভাব্য চেয়ারম্যান প্রার্থীদের। তবে অধিকাংশ এলাকাতে আওয়ামী লীগের একাধিক প্রার্থী থাকায় ‘কার ভাগ্যের ছিঁকে ছিড়বে’ এবার তা নিয়ে সঙ্কায় সম্ভাব্য প্রার্থীরা।

জেলার সাত উপজেলায় ৮২টি ইউনিয়নে ইউপি নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। পৌর নির্বাচনে আওয়ামী লীগ প্রার্থীদের বিপুল বিজয়ের কারণে সরকার দলীয় প্রতীক পেতে তৎপর হয়ে উঠেছে অধিকাংশ প্রার্থী। 

উপজেলা ও জেলা পর্যায়ের প্রভাবশালী নেতাদের সমর্থন আদায়ে জোর লবিং শুরু করেছে আওয়ামী লীগ সমর্থকরা। তবে অধিকাংশ এলাকাতেই একাধিক প্রার্থী থাকায় কার ভাগে ছিঁকে ছিড়বে তা নিয়ে দুঃচিন্তায় অনেকেই। 

এদিকে বিএনপি সমর্থক প্রার্থীরাও দলীয় মনোনয়ন পেতে জোর লবিং শুরু করেছে। বিএনপিতে একক প্রার্থী থাকবে বলে দলীয় সূত্রে আভাস দেয়া হয়েছে। কাউকে বিদ্রোহী প্রার্থী হতে দেয়া হবে না। 

অন্যান্য দলের সম্ভাব্য প্রার্থীদের কোন তৎপরতা লক্ষ্য করা যাচ্ছে না। তবে অনেক দলের ইউনিয়ন পর্যায়ে কোন কমিটিই নেই। তাই পর্যবেক্ষক মহল মনে করছেন, আওয়ামী লীগ ও বিএনপি প্রার্থীদের মধ্যে মূল প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে। 

এদিকে সর্বত্র ভোটারদের মধ্যে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন নিয়ে নানা কথাবার্তা শুরু হয়ে গেছে। অনেক প্রার্থী ভোটারদের সাথে দেখা করে দোয়া ও সমর্থন আদায়ের চেষ্টা করছেন। 

তবে বিভিন্ন মহল থেকে এখনই প্রশ্ন উঠছে, ভোট স্বচ্ছ এবং নিরপেক্ষ হবে কি? ভোট ডাকাতির সম্ভাবনার কথাও ভাবছেন অনেকে। তারপরও নির্বাচনী হাওয়া বইতে শুরু করেছে হাট-বাজারে, গ্রামে-গঞ্জের সর্বত্র। বিভিন্ন এলাকায় সম্ভাব্য প্রার্থীদের পোষ্টারও চোখে পড়ছে।