পাবনার হাসপাতালে বাড়ছে শিশু রোগী
বিপর্যস্ত জনজীবন কনকনে শীত ও হিমেল হাওয়ায়। সঙ্গে সঙ্গে বৃদ্ধি পেয়েছে শীতজনিত রোগের প্রকোপ। নিউমোনিয়া, ডায়রিয়াসহ নানা রোগে আক্রান্ত হচ্ছে শিশুরা।
গত ২৪ ঘণ্টায় শুধু পাবনা জেনারেল হাসপাতালেই শীতজনিত রোগে আক্রান্ত হয়ে ২৮৬ শিশু ভর্তি হয়েছে। এক সপ্তাহে শিশুসহ প্রায় এক হাজার রোগী হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছে।
চিকিৎসকরা এমন অবস্থায় হিমশিম খাচ্ছেন। আর হাসপাতালের বিরুদ্ধে ওষুধ সংকটসহ নানা অভিযোগ করছেন স্বজনরা।
গতকাল রবিবার পাবনা জেনারেল হাসপাতাল ঘুরে দেখা গেছে, হাসপাতালে তিল ধারণের ঠাঁই নেই। ভর্তি শিশুদের সবাই শীতজনিত রোগে আক্রান্ত। কারো ডায়রিয়া, কারো নিউমোনিয়া, আবার কেউ ধুকছে জ্বরের পাশাপাশি সর্দি-কাশিতে।
এমতাবস্থায় ওষুধ সংকটসহ স্বজনদের নানা অভিযোগ রয়েছে পাবনা জেনারেল হাসপাতালের বিরুদ্ধে। কনকনে ঠান্ডায় শীতজনিত রোগের প্রকোপ বৃদ্ধি পাওয়ায় এসব রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। প্রতিদিনই হাসপাতালে ভিড় বাড়ছে রোগীদের।
চিকিৎসক ও শয্যা সংকটের কথা স্বীকার করে পাবনা জেনারেল হাসপাতালের ভারপ্রাপ্ত সহকারী পলিচালন মাহমুদুর রহমান জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় পাবনা জেনারেল হাসপাতালে শীতজনিত রোগে ২৮৬ শিশু ভর্তি রয়েছে। রোগীদের চিকিৎসা দিতে হিমশিম খাচ্ছেন চিকিৎসকরা।
এদিকে ছিন্নমূল আর দিনমজুরদের কষ্টের শেষ নেই। তবু সাধ্যমতো গরম কাপড় আর খড়কুটো জ্বালিয়ে চলছে শীত নিবারণের চেষ্টা। যাদের শীতবস্ত্র নেই, তারা ছুটছেন মার্কেটে। তাই জমে উঠেছে বেচাকেনাও।
ঈশ্বরদী আবহাওয়া অফিসসূত্রে জানা যায়, শৈত্যপ্রবাহ না হলেও আগামী দু-তিনদিন এ রকম শীত থাকবে। রবিবার ঈশ্বরদীতে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ৭.৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস আর শনিবার ঈশ্বরদীতে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ৯.০ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
সাহস২৪.কম/এসএ/মশিউর/তন্বী
সাহস২৪ ডটকম-এর প্রকাশিত প্রচারিত কোনো সংবাদ তথ্য, ছবি, রেখাচিত্র, ভিডিও, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
মন্তব্যে প্রকাশিত মত মন্তব্যকারীর একান্তই নিজস্ব। সাহস২৪ ডটকম-এর সম্পাদকীয় নীতির সঙ্গে এসব মন্তব্যের কোনো মিল নাও থাকতে পারে। মন্তব্যকারীর বক্তব্যের বিষয়বস্তু নিয়ে সাহস২৪ ডটকম-এর কর্তৃপক্ষ আইনগত বা অন্য কোনো দায় নেবে না।