প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য ভিত্তিহীন : ইউনূস সেন্টার
মুহাম্মদ ইউনূসকে ইঙ্গিত করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দেওয়া বক্তব্যের প্রতিবাদ জানিয়েছে ইউনূস সেন্টার। গতকাল গণমাধ্যমে পাঠানো ওই প্রতিবাদ পত্রে উল্লেখ করা হয়, গত ১৬ জানুয়ারি বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমিতে অনুষ্ঠিত ‘বেগম জেবুন্নেসা ও কাজী মাহবুবউল্লাহ জনকল্যাণ ট্রাস্ট পুরস্কার ২০১৫’ বিতরণ অনুষ্ঠানে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পদ্মা সেতুর জন্য বিশ্বব্যাংকের ঋণ বাতিলের কারণ হিসেবে প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূসের প্রতি ইঙ্গিত করে আবারও অভিযোগ করেছেন, যা বিভিন্ন মিডিয়া ও পত্রপত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছে।
মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যটি ছিল এ রকম প্রফেসর ইউনূসকে গ্রামীণ ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালকের পদ থেকে সরিয়ে দেওয়াকে কেন্দ্র করে পদ্মা সেতুর টাকা বন্ধ হয়ে যাবে, প্রফেসর ইউনূসের প্ররোচনায় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সরকারের কিছু ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা তাকে এমন হুমকি দিয়েছিলেন। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর এই ভিত্তিহীন বক্তব্যে আমরা ব্যথিত ও হতাশ হয়েছি। ইউনূস সেন্টারের অ্যাসিস্টেন্ট প্রোগ্রাম অফিসার খালেদ ফয়সাল কর্তৃক পাঠানো প্রতিবাদপত্রে আরও বলা হয়, ‘প্রফেসর ইউনূস এ বিষয়ে ইতিমধ্যে তার বক্তব্য দিয়েছেন, এবং মাননীয় প্রধানমন্ত্রী যতবারই এই একই অভিযোগ করেছেন ততবারই এ বিষয়ে প্রফেসর ইউনূসের বক্তব্য মিডিয়াতে প্রচারিত হয়েছে।
প্রফেসর ইউনূস তার বক্তব্যে বলেছেন যে, পদ্মা সেতু বাংলাদেশের মানুষের স্বপ্ন এবং এই স্বপ্ন পূরণে তিনি কখনোই বাধা হয়ে দাঁড়াতে পারেন না। তার দ্বারা পদ্মা সেতুর ঋণ বাতিল করতে বিশ্বব্যাংককে উৎসাহিত করার প্রশ্নই আসে না এবং দেশের স্বার্থের বিরুদ্ধে তিনি এমন কোনো কাজ করতেই পারেন না। প্রফেসর ইউনূস বাংলাদেশের মানুষের কল্যাণে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলার কাজে তার সারাটি জীবন উৎসর্গ করেছেন এবং দেশের মানুষের স্বার্থের পরিপন্থী কোনো কাজ তিনি কখনোই করতে পারেন না। ‘পৃথিবীতে সবচেয়ে সম্মানিত ও খ্যাতিমান বাংলাদেশিদের একজনের ও তার কর্মের সম্মানহানি করতে এ ধরনের অন্যায় ও ভিত্তিহীন প্রচারণা সত্যিই দুর্ভাগ্যজনক।
এটি দুঃখজনক যে, তার বক্তব্যের সপক্ষে কখনোই কোনো রকম তথ্যপ্রমাণ উপস্থিত না করে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী এই একই অভিযোগ বারবার করে আসছেন। এটা বলার অপেক্ষা রাখে না যে, দেশের জন্য এবং ব্যক্তিগতভাবে প্রফেসর ইউনূসের জন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর এ ধরনের বক্তব্যের গুরুত্বপূর্ণ তাৎপর্য আছে। এগুলো দেশের অভ্যন্তরে ও দেশের বাইরে মানুষের মধ্যে ভুল ধারণা সৃষ্টি করে। আমরা আগেও এসব অভিযোগ ও বিষয় সম্পর্কে বিস্তারিত জবাব দিয়েছি। আমাদের সব বক্তব্য মিডিয়াতে সবিস্তারে প্রচারও করা হয়েছে। আমরা দুঃখিত যে, মাননীয় প্রধানন্ত্রীর পক্ষ থেকে একই অসত্য অভিযোগ বারবার করা হচ্ছে।’
সাহস২৪ ডটকম-এর প্রকাশিত প্রচারিত কোনো সংবাদ তথ্য, ছবি, রেখাচিত্র, ভিডিও, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
মন্তব্যে প্রকাশিত মত মন্তব্যকারীর একান্তই নিজস্ব। সাহস২৪ ডটকম-এর সম্পাদকীয় নীতির সঙ্গে এসব মন্তব্যের কোনো মিল নাও থাকতে পারে। মন্তব্যকারীর বক্তব্যের বিষয়বস্তু নিয়ে সাহস২৪ ডটকম-এর কর্তৃপক্ষ আইনগত বা অন্য কোনো দায় নেবে না।