কুড়িগ্রামে রানীক্ষেত রোগে ২১হাজার ব্রয়লার মুরগীর মৃত্যু
কুড়িগ্রামের নাগেশ্বরী, উলিপুর ও কুড়িগ্রাম সদরে গত কয়েকদিনের প্রচণ্ড ঠাণ্ডাজনিত রোগ গামব্রো ও রানীক্ষেতে গত ৭ দিনে প্রায় ২১ হাজার ব্রয়লার মুরগী মারা গেছে। ক্ষতিগ্রস্ত খামারিরা মুলধন উঠাতে বেঁচে থাকা অবশিষ্ট মুরগীগুলোকে মাইকিং করে কম দামে বেঁচে দিচ্ছেন।
উল্লেখিত উপজেলা তিনটির বিভিন্ন এলাকায় ১১ শতাধিক খামারী বানিজ্যিকভাবে ব্রয়লার মুরগীর খামার গড়েছেন। চলতি মাসের ২য় সপ্তাহ থেকে ঘনকুয়াশা প্রচণ্ড শীত ও কনকনে ঠাণ্ডায় গড় তাপমাত্রা খুবই কমে গিয়ে ঠাণ্ডাজনিত রোগ গামব্রো ও রানীক্ষেতে আক্রান্ত হচ্ছে মুরগীগুলো। ফলে গত ৭ দিনে মারা গেছে প্রায় ২১ হাজার ব্রয়লার মুরগী। খামারে অতিরিক্তি বৈদ্যুতিক বাল্ব ও প্রয়োজনীয় চিকিৎসা দিয়েও ঠেকানো যাচ্ছে না রোগের প্রকোপ। ফলে খামারীরা নির্দিষ্ট সময়ের আগে মাইকিং করে প্রতিকেজি মুরগী মাত্র ৮০/৮৫ টাকায় বিক্রি করছেন।
নাগেশ্বরী পৌরসভার হাসেম বাজার গ্রামের জহুরুল ইসলাম, পায়রাডাঙ্গার মিজানুর, জিয়া ইসলাম, উলিপুরের তেলিপাড়ার মমিন আলী, মনছুর আলী, সাবান আলী, বাসা পাড়ার নজির হোসেন, পীড়বাড়ির শহিদুল ইসলাম, ভিতরবন্দের চন্ডীপুর গ্রামের মনিরুজ্জামান ফারুক হোসেন, কুড়িগ্রম সদরের মেছের আলী ও কাশেম আলী জানান, তাদের প্রত্যেকের খামারে গড়ে প্রতিদিন ৮০-৯০টি করে ব্রয়লার মুরগী মারা যাচ্ছে। রাতে তাপমাত্রা কমে যাওযায় ওই সময়ে মৃত্যু হচ্ছে বেশি।
কুড়িগ্রাম জেলা প্রাণি সম্পদ কর্মকর্তা ও নাগেশ্বরী উপজেলা প্রাণি সম্পদ কর্মকর্তা ডা. আব্দুল কাদের বলেন, এ ব্যাপারে খামারীদের প্রয়োজনীয় পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
সাহস২৪.কম/এসএ/মশিউর/প্রতিনিধি
সাহস২৪ ডটকম-এর প্রকাশিত প্রচারিত কোনো সংবাদ তথ্য, ছবি, রেখাচিত্র, ভিডিও, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
মন্তব্যে প্রকাশিত মত মন্তব্যকারীর একান্তই নিজস্ব। সাহস২৪ ডটকম-এর সম্পাদকীয় নীতির সঙ্গে এসব মন্তব্যের কোনো মিল নাও থাকতে পারে। মন্তব্যকারীর বক্তব্যের বিষয়বস্তু নিয়ে সাহস২৪ ডটকম-এর কর্তৃপক্ষ আইনগত বা অন্য কোনো দায় নেবে না।