পরিবেশ অধিদপ্তরের কর্তৃক জ্বালানিতে কাঠ ব্যাবহার সম্পূর্নভাবে নিষিদ্ধ থাকলেও তা মানছেন না সাতক্ষীরার কোন ইট ভাটা মালিক। ইটভাটায় কাঠের ব্যাবহারের ফলে কালো ধোয়ায় দূষিত হচ্ছে পরিবেশ। ইটভাটায় বিকল্প জ্বালানী হিসেবে পরিবেশ অধিদপ্তর কয়লাকে ব্যাবহারের নির্দেশনা থাকলেও আইনের প্রয়োগ না থাকায় মানছেন না কেউই। প্রশাসনসহ পরিবেশ অধিদপ্তরের চোঁখের সামনেই ঘটছে এসব।

সরেজমিনে বেশ কয়েকটি ইটভাটায় দেখা যায়, অবাধে কাঠ পোড়ানো হচ্ছে। কাঠ পোড়ানোর কাজে নিয়োজিত শ্রমিকরা বলেন, ভাটা ম্যানেজার জানেন আর ম্যানেজার বলেন, সবকিছু ম্যানেজ করেই করতে হয়। 

অন্যদিকে ভাটা মালিক বলেন, আমাদের ভাটাই কোন কাঠই পোড়ানো হয় না। তবে বাস্তবতা প্রত্যেক ভাটাতেই রয়েছে কাঠ। যা ইট পোড়ানো কাজে ব্যবহৃত হচ্ছে।

সাতক্ষীরার বিনেরপোতা এলাকার ইটভাটা মালিক শহিদুল ইসলাম আস্ফালন করে বলেন, নিউজ করে কি হবে? আপনি কি নিউজ করে কাঠ পোড়ানো বন্ধ করতে পারবেন ? 

আমাদের কাজ সংবাদ পরিবেশন করা বন্ধ করার দায়িত্ব আমাদের না, সাংবাদিকের এমন প্রতি উত্তরে তিনি আরও বলেন, বন্ধই যখন করতে পারবেন না তখন নিউজ করা বাদ দেন।

তবে এ ব্যাপারে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) এএফএম এহতেশামূল হক বলেন, আমাদের ম্যাজিষ্ট্রেট সংকট রয়েছে। একজন মাত্র ম্যাজিষ্ট্রেট দিয়ে জেলায় অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে। তবে যদি কোন ভাটায় কাঠ পোড়ানো হয় তবে অবশ্যই সে ভাটা মালিকের বিরুদ্ধে ব্যাবস্থা গ্রহণ করা হবে। 

সাহস২৪.কম/এসএ/মশিউর/প্রতিনিধি