নীলফামারীতে দুইটি ভবন নামমাত্র নিলামে বিক্রির অভিযোগ
মহিনুল ইসলাম সুজন
প্রিন্টঅঅ-অ+
নীলফামারী জেলার কিশোরীগঞ্জ উপজেলা পরিষদ ভবন ও কিশোরীগঞ্জ সদর ইউনিয়ন পরিষদের পুরানো ভবন নিলামে বিক্রিতে ব্যাপক অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। এতে সরকারের ঘরে ১২ লাখ টাকা লোকসান গুনতে হয়েছে।
সংশ্লিষ্ট সুত্র জানায়, ভবন দুইটি পুরাতণ ও ঝুঁকিপূর্ন হওয়ায় গত বছরের ২৯ সেপ্টেম্বর উপজেলা পরিষদের মাসিক সভায় তা ব্যবহারে অনুপযোগী ঘোষণা করা হয়। এ
জন্য ওই ভবন দুইটি নিলামের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
এলাকাবাসীর অভিযোগ ভবন দুইটি নিলামে কোন কোন জাতীয় দৈনিককে বিজ্ঞপ্তি বা মাইকিং কিংবা ঢোল শহরত করা হয়নি। যা গোপনে নিজেদের মধ্যে ভাগবাটোয়ারা করে নেওয়া হয়। এ জন্য গত ২০ ও ২১ জানুয়ারী নিলাম নামে গোপনে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার অফিসের চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারী মজনু মিয়াকে ১০ লাখ টাকার উপজেলা পরিষদ ভবনটি ২ লাখ ৫০ হাজার টাকায় নিলাম প্রদান করা হয়।
অপর দিকে একই ভাবে ৫ লাখ টাকার ইউনিয়ন পরিষদ ভবনটি ৫৯ হাজার ৫ শত টাকায় সদর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আসাদুর রহমান বাবুলের ছোট ভাই ও উপজেলা জাতীয় পার্টির সিনিয়র সহ-সভাপতি আলতানুর রহমান আজাদকে নিলামের নামে কারসাজিতে দেওয়া হয়।
ওই নিলাম ডাকে অংশগ্রহণকারী ঠিকাদার কামরুজ্জামান ও ছাবেদুল ইসলাম অভিযোগ করে বলেন, আমরা নিলাম ডাকে অংশগ্রহন করতে চাইলে আমাদের বাঁধা প্রদান করা হয়। নিলামকে বৈধ্য করতে নামে মাত্র আব্দুল মালেক, নাজমুল হোসেন, আব্দুল কাভিউ সাজানো নামের ব্যাক্তিকে অংশগ্রহন দেখানো হয়।
উপজেলা প্রকৌশল দপ্তরের সুত্রে জানা যায় উপজেলা পরিষদের ১০ কক্ষ বিশিষ্ট ভবন ও ৫ কক্ষ বিশিষ্ট ইউনিয়ন পরিষদ ভবনটিতে অন্যান্য আসবাবপত্র বাদে কমপক্ষে দেড় লাখ ইট ও ১০ হাজার কেজি রডই রয়েছে। পুরাতন হিসেবে শুধু এসব ইট ও রড এর বর্তমান বাজার মূল্যই ১৫ লাখ টাকা।
তবে নিজের সকল অনিয়মের অভিযোগ অস্বীকার করে কিশোরীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সিদ্দিকুর রহমান সাংবাদিকদের বলেন, সরকারি বিধি মোতাবেক প্রকাশ্যে ডাকের মাধ্যমে ভবন দুটি নিলামের বিক্রি করা হয়েছে।
তবে নাম প্রকাশে অনইচ্ছুক এলাকার অনেকেই সাংবাদিকদের অভিযোগ করে বলছেন, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার যোগসাজসে এবং গোপন কমিশনের বিনিময়ে তিনি সংশ্লিষ্ট ব্যাক্তিদের অনিয়ম-দুর্নীতির মাধ্যমেই পুরাতন ভবন দুটি পাবার নিশ্চিত ব্যবস্থা করে দিয়েছেন। তারা সরকারি বিধি মোতাবেক ভবন দুটির প্রকাশ্যেই পুন:নিলামের জোর দাবি জানিয়েছেন।
সাহস২৪ ডটকম-এর প্রকাশিত প্রচারিত কোনো সংবাদ তথ্য, ছবি, রেখাচিত্র, ভিডিও, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
মন্তব্য
মন্তব্যে প্রকাশিত মত মন্তব্যকারীর একান্তই নিজস্ব। সাহস২৪ ডটকম-এর সম্পাদকীয় নীতির সঙ্গে এসব মন্তব্যের কোনো মিল নাও থাকতে পারে। মন্তব্যকারীর বক্তব্যের বিষয়বস্তু নিয়ে সাহস২৪ ডটকম-এর কর্তৃপক্ষ আইনগত বা অন্য কোনো দায় নেবে না।