কল্যাণপুর পোড়াবস্তিতে আগুন দিয়েছে ‘লালপট্টি’ বাহিনী
রাজধানীর কল্যাণপুর পোড়া বস্তির একটি অংশে আজ শুক্রবার সকালে আগুন লেগেছে। এতে বেশ কিছু ঘর পুড়ে গেছে। উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে ‘লালপট্টি’ বাহিনী আগুন দিয়েছে বলে বস্তিবাসীর অভিযোগ।
একই বস্তি উচ্ছেদকে কেন্দ্র করে গতকাল বৃহস্পতিবার পুলিশের সঙ্গে বস্তিবাসীর কয়েক দফায় পাল্টাপাল্টি ধাওয়া ও সংঘর্ষ হয়। এতে কয়েকজন আহত হন। পরে দুপুরে হাইকোর্ট ওই বস্তি উচ্ছেদ-কার্যক্রমে তিন মাসের নিষেধাজ্ঞা দিলে আংশিক উচ্ছেদ করেই ফিরে যায় হাউজিং অ্যান্ড বিল্ডিং রিসার্চ ইনস্টিটিউট কর্তৃপক্ষ। আজ সেই বস্তির একটি অংশে আগুনের ঘটনা ঘটল।
বস্তির বাসিন্দাদের অভিযোগ, বৃহস্পতিবার যখন গণপূর্তের পক্ষ থেকে উচ্ছেদ অভিযান চলছিল তখন থেকেই মাথায় ‘লালপট্টি’ বেঁধে প্রায় দুই থেকে আড়াইশো লোক পুরো বস্তিতে ছড়িয়ে ছিটিয়ে অবস্থান করছিল। হাইকোর্টের নিষেধাজ্ঞার কারণে বস্তি উচ্ছেদ বন্ধ হওয়ার পর তাদের তোড়জোড় আরো বেড়ে যায়। সারা রাত তারা সুযোগ খুঁজতে থাকে বস্তিতে যে কোনো ধরনের নাশকতা ঘটানোর। বিষয়টি বুঝতে পারে বস্তিবাসী। কিন্তু ভয়ে কিছুই করতে পারেনি। তবে সারা রাত সজাগ থেকে নাশকতা এড়ানোর চেষ্টা করেছে তারা। কিন্তু শুক্রবার সকাল সাড়ে ৮টার দিকে কোনো এক ফাঁকে বস্তির ৮ নম্বর ব্লকে হঠাৎ করে আগুন লাগিয়ে দেয় ‘লালপট্টি’ বাহিনী। আগুন লাগিয়ে পালিয়ে যাওয়ার সময় ওই বাহিনীর কয়েকজনকে ধাওয়া দিয়েও ধরতে পারেনি বস্তির লোকজন।
আগুনে ক্ষতিগ্রস্ত বস্তিবাসী আরও জানান, ওই লালপট্টি বাহিনীর উদ্দেশ্য প্রথম থেকে বুঝতে পারছিলেন তারা। সকালে আগুন লাগানোর পর বস্তিতে ফায়ার সার্ভিস প্রবেশের প্রত্যেকটা পথ বন্ধ করে রেখেছিল ওই লালপট্টি বাহিনীর লোকজনই। বিশেষ করে মিরপুর বাংলা কলেজের দিকে পথে অহেতুক বিশৃঙ্খলা তৈরি করে ফায়ার সার্ভিসকে বস্তির ভেতরে ঢুকতে বাধা দিয়েছে তারা। এমনকি লালপট্টি বাহিনীর লোকজন ফায়ারসার্ভিসের লোকজনের সঙ্গে বিবাদেও জড়িয়ে পড়ে। পরে পুলিশ এসে নিরাপত্তা দিয়ে ফায়ার সার্ভিসের ইউনিটকে আগুন নেভানোর জন্য ভেতরে নিয়ে আসে। এরইমধ্যে বস্তির লোকজন নিজেদের চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।
ঘটনাস্থলে যাওয়ার সময় বাধা পাওয়ার তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন ফায়ার সার্ভিসের মিরপুর স্টেশনের জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা আবদুল্লাহ আল আরেফিন। তবে কারা বাধা দিয়েছে, তা জানাতে পারেননি তিনি।
সাহস২৪ ডটকম-এর প্রকাশিত প্রচারিত কোনো সংবাদ তথ্য, ছবি, রেখাচিত্র, ভিডিও, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
মন্তব্যে প্রকাশিত মত মন্তব্যকারীর একান্তই নিজস্ব। সাহস২৪ ডটকম-এর সম্পাদকীয় নীতির সঙ্গে এসব মন্তব্যের কোনো মিল নাও থাকতে পারে। মন্তব্যকারীর বক্তব্যের বিষয়বস্তু নিয়ে সাহস২৪ ডটকম-এর কর্তৃপক্ষ আইনগত বা অন্য কোনো দায় নেবে না।