বাংলাদেশে প্রতিদিন ৫ হাজার ২৪৭ জন শিশু জন্ম নিচ্ছে। পাশাপাশি প্রতি বছর দেশের মোট জনসংখ্যার সাথে ১৯ লাখ ২৫ হাজার লোক যুক্ত হচ্ছে।  সারাবিশ্বে প্রতি ৯ জনের মধ্যে একজন অভুক্ত অবস্থায় ঘুমাতে যায়। আমরাও পুষ্টি ও মানসম্মত খাদ্য দিতে পারি না। শুক্রবার (২২ জানুয়ারি) সকালে রাজধানীর ফার্মগেটে বাংলাদেশ কৃষি অর্থনীতিবিদ সমিতির আয়োজনে ১৫তম জাতীয় সম্মেলন ও উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন পরিকল্পনামন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেছেন, 

তিনি বলেন, কৃষিতে আধুনিক প্রযুক্তি উদ্ভাবন ও প্রয়োগের মাধ্যমে ২০৩০ সালের মধ্যে ক্ষুধামুক্ত বাংলাদেশ গড়ে তোলা সম্ভব হবে। তবে এ কাজ সরকার একা করতে পারবে না। এজন্য তিনি কৃষিবিদদের এগিয়ে আসার আহ্বান জানান।

তিনি আরও বলেন, জনগণকে কৃষি সম্পৃক্ত প্রকল্প গড়ে তুলতে হবে। ৪০ বছর আগে এদেশে ১১ মিলিয়ন মেট্রিকটন কৃষি উৎপাদন ছিল। এখন তা হয়েছে ৩৮ মিলিয়ন মেট্রিকটন। 

কৃষি অর্থনীতির প্রধান চালিকাশক্তি উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, ‘খাদ্য নিরাপত্তার পাশাপাশি পুষ্টি নিরাপত্তার কারণে নানামুখি খাবার সরবরাহ করার চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করতে হচ্ছে।’

স্বাধীনতার পর খাদ্যের উৎপাদন তিনগুণ বেড়েছে। কিন্তু জনসংখ্যা বেড়েছে দুইগুণ। এই চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় জলবায়ু চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা ও কৃষিকে অটোমেশন করার ওপর গুরুত্ব আরোপ করেন তিনি।

সমিতির সভাপতি ও পরিকল্পনা কমিশনের সাধারণ অর্থনীতি বিভাগের সদস্য প্রফেসর ডঃ শামসুল আলমের সভাপতিত্বে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন অর্থনীতিবিদ ডঃ উত্তম দেব। এসময় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন সম্মেলন প্রস্তুত কমিটির আহ্বায়ক এএইচএম কায় খসরু, মহাসচিব আহছানুজ্জামান লিন্টু, কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য প্রফেসর ডঃ এ এম সাত্তার মণ্ডল প্রমুখ।