- হোম
- >
- আইন-মানবাধিকার
- >
- গর্জনিয়া পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জকে প্রত্যাহার
গর্জনিয়া পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জকে প্রত্যাহার
সফিউল আলম
প্রিন্টঅঅ-অ+
কক্সবাজারের রামু গর্জনিয়া পুলিশ ফাঁড়ীর ইনচার্জ রমজান হোসেনকে প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়েছে। বড়বিলে শিশু কাজল ও শাকিলকে অপহরণের পর হত্যার ঘটনায় দায়িত্ব অবহেলার অভিযোগে তাকে প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়েছে। বিষয়টি স্বীকার করেছেন রামু থানার ওসি আমজাদ হোসেন।
এদিকে দুই সহোদর হত্যাকারীদের দৃষ্টান্তমুলক শাস্তির দাবীতে বৃহস্পতিবার গর্জনিয়ায় লাঠি মিছল, অপরাধীদের ৭টি বাড়ীতে অগ্নিসংযোগ করছে বিক্ষুদ্ধ জনতা। এই ঘটনায় পুরো গর্জনিয়ায় থমথমে অবস্থা বিরাজ করেছ।
উল্লেখ্য, ১৮ জানুয়ারি রামুর গর্জনিয়া ইউনিয়নের বড়বিল এলাকা থেকে অপহৃত দুই সহোদর শিশু শিক্ষার্থী কাজল ও শাকিলকে রামুর গর্জনিয়া ইউনিয়নের ক্রাইমজোন খ্যাত বড়বিল এলাকা থেকে জীবিত উদ্ধারে ব্যর্থ হয়েছে পুলিশ। তারা গত তিনদিন ধরে বিভিন্ন পাহাড়ি এলাকায় কৌশলে অভিযান চালালেও সফল হতে পারেনি। ধারণা করা হচ্ছে মুক্তিপণের টাকা না দেওয়ায় মোহাম্মদ হাসান শাকিল (১০) এবং মোহাম্মদ হোছাইন কাজল (৮)কে পুলিশ-জনতার উদ্ধার অভিযান চলাকালে শ্বাসরোধে হত্যা করে পালিয়ে গেছে সন্ত্রাসীরা।
তাৎক্ষণিকভাবে ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে পুলিশ ১০ জনকে আটক করেছে। অন্যদিকে বিক্ষুব্ধ জনতা আটককৃত এসব চিহ্নিত সন্ত্রাসীদের বাড়িঘরে আগুন লাগিয়ে ভাঙচুর করেছে। হাসান-হোছাইন ওই গ্রামের মোহাম্মদ ফোরকান ওরপে মিন্টুর ছেলে।
নিহত মোহাম্মদ হাসান শাকিল বাইশারী শাহ নুরুদ্দিন দাখিল মাদরাসার তৃতীয় শ্রেণির এবং মোহাম্মদ হোছাইন কাজল নারিজবুনিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের তৃতীয় শ্রেণির ছাত্র।
সাহস২৪ ডটকম-এর প্রকাশিত প্রচারিত কোনো সংবাদ তথ্য, ছবি, রেখাচিত্র, ভিডিও, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
মন্তব্য
মন্তব্যে প্রকাশিত মত মন্তব্যকারীর একান্তই নিজস্ব। সাহস২৪ ডটকম-এর সম্পাদকীয় নীতির সঙ্গে এসব মন্তব্যের কোনো মিল নাও থাকতে পারে। মন্তব্যকারীর বক্তব্যের বিষয়বস্তু নিয়ে সাহস২৪ ডটকম-এর কর্তৃপক্ষ আইনগত বা অন্য কোনো দায় নেবে না।