ঝালকাঠিতে চলছে অবৈধ কোচিং বাণিজ্য
মোঃ রাজু খান
প্রিন্টঅঅ-অ+
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের শিক্ষকদের কোচিং বাণিজ্য বন্ধ নীতিমালা ঝালকাঠিতে সম্পূর্নরুপে লংঘিত হচ্ছে। এ নীতিমালাকে বৃদ্ধাঙ্গুল দেখিয়ে প্রকাশ্যেই চলছে কোচিং বানিজ্য।
শহর কিংবা গ্রামগঞ্জে সর্বত্রই কোচিং বানিজ্যের পোষ্টার, লিফলেট, সাইনবোর্ড আর ব্যানারের বিজ্ঞাপনে ছেয়ে গেছে। অবস্থাদৃষ্টে মনে হয় এসব দেখার যেন কেউ নেই।
জেলা পর্যায়ের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা এসব দেখেও কেন নিরব ভূমিকা পালন করছেন। নাকি তারা স্বার্থের বিনিময়ে বানিজ্য করার সুযোগ দিচ্ছেন তা নিয়ে অভিভাবকরা প্রশ্ন তুলেছেন।
ঝালকাঠি জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা নিখিল চন্দ্র হালদার জানান, আমাদের প্রাইমারী পর্যায়ে এসব কোচিং হয়না। আমাদের কোন শিক্ষক এটা করে এমন তথ্য আমার জানা নেই। এসব হচ্ছে মাধ্যমিক পর্যায়ে। মাধ্যমিক শিক্ষকরা এসব করছে।
অপর দিকে জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা নিখিল চন্দ্র চক্রবর্তি বলেন, আমরাতো খোজ খবর নিচ্ছি। তেমন একটাতো চোখে পরছেনা। তবে সরকারি স্কুলের শিক্ষকরা এটা কম করছে। বেসরকারি শিক্ষকরাই বেশি কোচিং করায়। তা ছাড়া এটা দেখার দ্বায়িত্ব এডিসি স্যারের। তারপরেও আমি দেখছি কি করা যায়।
এ বানিজ্যের ফলে বিদ্যালয়ে পড়ালেখার মান একদিকে যেমন খারাপ হতে চলছে তেমনি অন্যদিকে অভিভাবকরা আর্থিক ভাবে মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে বলে অভিযোগ রয়েছে। তাই সম্পূর্ন অবৈধ ভাবে গড়ে তোলা এসব কোচিং সেন্টার ও বানিজ্য বন্ধে একটানা মোবাইল কোর্টের দাবি জানানো হয়েছে প্রশাসনের কাছে।
অন্যদিকে এরসাথে জড়িত শিক্ষকদের বিরুদ্ধে কঠোর দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা নিতে জেলার দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের নিরপেক্ষ ভূমিকা রাখতে দাবি উঠেছে।
অভিভাবকরা এ বিষয়ে গোয়েন্দা বিভাগেরও সহযোগীতা কামনা করেছেন। অভিভাবকদের দাবি একাধিকবার প্রধানমন্ত্রী শিক্ষকদের কোচিং বাণিজ্য ছেড়ে ক্লাশে পড়াশুনা করানোর দিকে মনযোগী হতে নির্দেশনা দিয়েছেন। কিন্তু তা বাস্তবায়ন না করে এসব শিক্ষকরা বেতন বৃদ্ধির দাবি তোলেন। প্রধানমন্ত্রী ইতিপূর্বে তাদের ঐ দাবি পূরণে আন্তরিক হলেও অবৈধ কোচিং বানিজ্য বেড়েই চলছে।
জনস্বার্থ সংশ্লিষ্ট এ বিষয়টির গুরুত্ব অনুধাবন করে গোয়েন্দা বিভাগ জেলায় এসব অবৈধ কোচিং বানিজ্যের সাথে জড়িতদের একটি তালিকা করে প্রধান মন্ত্রীর কার্যালয়ে পাঠাবে বলে অভিভাবকদের প্রত্যাশা।
সাহস২৪ ডটকম-এর প্রকাশিত প্রচারিত কোনো সংবাদ তথ্য, ছবি, রেখাচিত্র, ভিডিও, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
মন্তব্য
মন্তব্যে প্রকাশিত মত মন্তব্যকারীর একান্তই নিজস্ব। সাহস২৪ ডটকম-এর সম্পাদকীয় নীতির সঙ্গে এসব মন্তব্যের কোনো মিল নাও থাকতে পারে। মন্তব্যকারীর বক্তব্যের বিষয়বস্তু নিয়ে সাহস২৪ ডটকম-এর কর্তৃপক্ষ আইনগত বা অন্য কোনো দায় নেবে না।