প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, সরকার পোশাকশিল্প নিয়ে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক চক্রান্ত মোকাবেলা করতে সক্ষম হয়েছে। শুধু জাতীয় পর্যায় থেকে নয়, আন্তর্জাতিক পর্যায় থেকেও এ ধরনের চক্রান্ত হচ্ছিলো। যেটা আমরা মোকাবেলা করেছি।

আজ রবিবার প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে পোশাক প্রস্তুত ও রপ্তানিকারকদের সংগঠন বিজিএমইএ’র সভাপতি সিদ্দিকুর রহমানের নেতৃত্বে সংগঠনটির নেতারা প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন।

এ সময় শেখ হাসিনা আরও বলেন, একটা ঘটনাকে কেন্দ্র করে সেটাকে বড় করে দেখানো বা সেটার সূত্র ধরে আমাদের পোশাকশিল্প রপ্তানিতে বাধা দেওয়ার নানা রকম চেষ্টা হয়েছিলো। শুধু জাতীয় পর্যায় থেকে নয়, আন্তর্জাতিক পর্যায় থেকেও এ ধরনের একটা চক্রান্ত হচ্ছিলো। ব্যবসায়ীরা যেমন এ ষড়যন্ত্র মোকাবেলা করেছেন, আমরা সরকারের পক্ষ থেকেও যথাযথ ব্যবস্থা নিয়েছি বলেই তারা সফল হতে পারেনি। পোশাকশিল্প নিয়ে অনেক কিছু ঘটে গেছে। রানা প্লাজা, তাজরিন ফ্যাশনসহ বিভিন্ন দুর্ঘটনা ঘটেছে। এগুলো মোকাবেলার জন্য যা যা করা দরকার সেগুলো আমরা করছি।

আমাদের সরকার ব্যবসা করতে আসেনি, আমরা ব্যবসায়ীদের জন্য ব্যবসার পরিবেশ নিশ্চিত করতে এসেছি মন্তব্য করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ব্যবসায়ীরা যাতে নিশ্চিন্তে ব্যবসা করতে পারেন, আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আসার পর থেকে সেই পরিবেশ আমরা নিশ্চিত করেছি।

মুন্সিগঞ্জের গজারিয়ায় গার্মেন্টস পল্লীটর কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, পোশাকশিল্পকে আরও উন্নত করতে আমরা পোশাকশিল্প পল্লী স্থাপনের জন্য মুন্সিগঞ্জের গজারিয়ায় একটা জায়গা পেয়েছি। আসলে আপনারা একটু বেশি কৃপণতা করেন। নিজেরা পয়সা খরচ করতে চান না। এখানেই হচ্ছে সমস্যা। আপনারা যদি একটু উদ্যোগ নেন, কিছু পয়সা খরচ করেন তাহলে কিন্তু এ গার্মেন্টস পল্লীটা দ্রুত করা যায়। সেখানে গ্যাস থেকে শুরু করে যোগাযোগের সব রকম সুবিধা করে দেওয়া হচ্ছে। তখন কিন্তু অসুবিধা থাকবে না।

তিনি বলেন, নিজেদের সমস্যা নিজেরাই সমাধান করার চেষ্টা করবেন। সরকারের ওপর নির্ভরশীলতা কমিয়ে আনতে বিশেষ দৃষ্টি দেবেন।

শ্রমিকদের বেতন বাড়ানো নিয়ে বিজিএমইএ নেতাদের উদ্দেশ্যে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আপনারা বেতন বাড়িয়েছেন। বিনিময়ে আমরাও যে একেবারের খালি হাতে ফেরাচ্ছি তা কিন্তু না। অনেক জায়গায় অনেক কিছুতে আমরা ছাড় দিয়েছি।