ফরিদপুরে পৃথক সংঘর্ষে আহত ৩০
ফরিদপুরের সালথায় পৃথক সংঘর্ষে ঘটনায় অন্তত ৩০ জন আহত হয়েছেন। শুক্রবার (জানুয়ারি ১৫) সকালে উপজেলার সোনাপুর ইউনিয়নের ফুকরা ও দুপুরে বল্লভদি ইউনিয়নের আলোমপুড়া গ্রামে পৃথকভাবে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
গ্রামবাসী সূত্রে জানা গেছে, পূর্বশত্রুতার জের ধরে বৃহস্পতিবার সকালে ফুকরা গ্রামের আ. রব ফরাজীর ছেলে আযাহান ফরাজী লোকজন নিয়ে একই গ্রামের হারেজ শেখের ছেলে ইমদাদুল শেখকে পিয়াজের ক্ষেতে মারধর করে। এরপর জের ধরে শুক্রবার সকালে উভয় গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়। এ সময় হারেজ শেখের লোকজন মৃত সুলতান ফরাজীর বসতঘর ভাঙচুর করে। ঘণ্টাব্যাপী চলা এ সংঘর্ষ নিয়ন্ত্রণে আনে পুলিশ।
সংঘর্ষের সময় উভয় গ্রুপের অন্তত ১৭ জন আহত হন। এর মধ্যে রিহানা বেগম (৩৫), ঝর্না বেগম (৩৬), নাছিমা বেগম (২৬), আ. রব ফরাজী (৬৫), সিরাজ ফরাজী (৭০), শাহজাহান ফরাজী (৩৫), মিলন ফরাজী (২৫), রাজু শেখ (২০) ও ইমদাদ শেখকে (৩০) কে নগরকান্দা স্বাস্থ্য কেন্দ্রে ভর্তি করা হয়। অন্য আহতদের প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।
এদিকে একই দিনে দুপুরে বল্লভদী ইউনিয়নের আলেমপুর গ্রামে জমিজমাকে কেন্দ্র করে জাফর মাতব্বরের সমর্থক কাঞ্চু মোল্যার সাথে সেকেন্দার আলীর সমর্থক হান্নান মোল্যার কথাকাটাকাটি ও হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। এ ঘটনার সূত্র ধরে দুপুরে উভয় গ্রুপের লোকজন দেশীয় অস্ত্র ঢাল-সড়কি-ভেলা, রামদা ও ইটপাটকেল নিয়ে একে অপরের উপর ঝাঁপিয়ে পড়ে। প্রায় ২ ঘণ্টাব্যাপী এই সংঘর্ষ চলে।
বল্লভদি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ইউনুছ মোল্যা জানান, দুপুরে হান্নান মোল্যা তার জমিতে ঘর তুলতে গেলে কাঞ্চু মোল্যা বাধা দেয়। এরপরই সংঘর্ষের সৃষ্টি হয়।
এ সময় উভয় গ্রুপের অন্তত ১৩ জন আহত হয়েছেন। আহতদের মোকসেদপুর ও নগরকান্দা স্বাস্থ্য কেন্দ্রে ভর্তি করা হয়। এ ঘটনায় সালথা থানার সেকেন্ড অফিসার উপপরিদর্শক (এসআই) মো. ওহিদুজ্জামান বলেন, পৃথক দুটি সংঘর্ষই পুলিশ নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয়। এই ঘটনায় পুলিশ দুই পক্ষের ২ জনকে আটক করেছে। তবে এখন পর্যন্ত কোনো মামলা হয়নি।
সাহস২৪ ডটকম-এর প্রকাশিত প্রচারিত কোনো সংবাদ তথ্য, ছবি, রেখাচিত্র, ভিডিও, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
মন্তব্যে প্রকাশিত মত মন্তব্যকারীর একান্তই নিজস্ব। সাহস২৪ ডটকম-এর সম্পাদকীয় নীতির সঙ্গে এসব মন্তব্যের কোনো মিল নাও থাকতে পারে। মন্তব্যকারীর বক্তব্যের বিষয়বস্তু নিয়ে সাহস২৪ ডটকম-এর কর্তৃপক্ষ আইনগত বা অন্য কোনো দায় নেবে না।