ব্যাগে গরুর মাংস রাখার সন্দেহে মুসলমান দম্পতির ওপর হামলা
ভারতের মধ্যপ্রদেশে এক মুসলমান দম্পতিকে মারধর করেছে হিন্দু গো-রক্ষা সমিতির কর্মীরা ব্যাগে গরুর মাংস থাকার সন্দেহে। কিন্তু পরীক্ষা করে দেখা গেছে, সেগুলি মহিষের মাংস। বুধবার মধ্যপ্রদেশের হরদা জেলায় খিরখিয়া স্টেশনে এ ঘটনা ঘটে। আজ শুক্রবার ভারতীয় সংবাদমাধ্যম ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।
মুসলমান ওই দম্পতি কুশীনগর এক্সপ্রেস ট্রেনে করে যাচ্ছিলেন। খিরখিয়া স্টেশনে নামতেই তাদের পাশাপাশি আরো সাতজনের ব্যাগ তল্লাশি করে গো-রক্ষা সমিতির সদস্যরা।
হায়দারাবাদে তার এক আত্মীয় বাড়িতে গিয়েছিলেন মুহাম্মদ হুসেন ও তার স্ত্রী নাসিমা বানু। সেখান থেকে বাড়ির ফিরার পথে তাদের ওপর হামলা চালানো হয়। পুলিশ এ ব্যাপারে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য হিন্দু গো-রক্ষা সমিতির দুই কর্মীকে গ্রেফতার করেছে। তারা জানিয়েছে, ট্রেনের এক যাত্রী ব্যাগে গরুর মাংস নিয়ে আসছে বলে তাদের খবর দেওয়া হয়েছিল।
নিগ্রহের শিকার মুহাম্মদ হুসেন জানান, হায়দারাবাদে এক আত্মীয় বাড়ি থেকে ফেরার পথে তাদের ব্যাগ তল্লাশির পাশাপাশি মারধর করা হয়। তার স্ত্রী নাসীমা বানু তার ব্যাগ তল্লাশিতে বাধা দিলে তাকে ধাক্কা মেরে ফেলে দেয়া হয়। পরে তার স্ত্রীকে হামলাকারীদের হাত থেকে রক্ষা করেন এক পুলিশ কন্সটেবল।
তিনি বলেন, ‘আমরা ভারতে বসবাস করি এবং জানি কোনটা ভুল আর কোনটা সঠিক। আমরা কেবল ছাগলের মাংস খাই। যে কালো ব্যাগে মাংস ছিল সেটি আমাদের নয়।’
প্রসঙ্গত, এর আগে উত্তর প্রদেশের দাদরিতে বাসার ফ্রিজে গরুর মাংস রাখার গুজব ছড়িয়ে মুহাম্মদ আখলাক নামে এক ব্যক্তিকে নৃশংসভাবে পিটিয়ে হত্যা করা হয়।
সাহস২৪ ডটকম-এর প্রকাশিত প্রচারিত কোনো সংবাদ তথ্য, ছবি, রেখাচিত্র, ভিডিও, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
মন্তব্যে প্রকাশিত মত মন্তব্যকারীর একান্তই নিজস্ব। সাহস২৪ ডটকম-এর সম্পাদকীয় নীতির সঙ্গে এসব মন্তব্যের কোনো মিল নাও থাকতে পারে। মন্তব্যকারীর বক্তব্যের বিষয়বস্তু নিয়ে সাহস২৪ ডটকম-এর কর্তৃপক্ষ আইনগত বা অন্য কোনো দায় নেবে না।