- হোম
- >
- আইন-মানবাধিকার
- >
- বিচার বিভাগ স্বাধীন হলেও অর্থনৈতিকভাবে স্বাধীন হয়নি: প্রধান বিচারপতি
বিচার বিভাগ স্বাধীন হলেও অর্থনৈতিকভাবে স্বাধীন হয়নি: প্রধান বিচারপতি
বিচার বিভাগ স্বাধীন হলেও অর্থনৈতিকভাবে স্বাধীন হয়নি। যেন হাত-পা বেঁধে একটি মানুষকে পানিতে ফেলে দেবার মত অবস্থা। প্রশাসন বিচার বিভাগকে এভাবেই রেখেছে। কারণ প্রত্যেক জায়গায় আমাদেরকে প্রশাসনের মুখাপ্রেক্ষী হতে হচ্ছে। অবশ্য, নিম্ন আদালতের ক্ষেত্রে এ অবস্থা খুবই করুণ বলছিলেন বাংলাদেশের প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহা।
১৪ জানুয়ারী বৃহ্স্পতিবার সন্ধ্যায় নোয়াখালী সার্কিট হাউজ মিলনায়তনে জুডিশিয়াল কনফারেন্সে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন প্রধান বিচারপতি এস কে সিনহা।
তিনি বলেন, বাংলাদেশের বিচারবিভাগ স্বাধীন হলেও এখনো অর্থনৈতিকভাবে স্বাধীন হয়নি। সারাদেশের আদালতে বিচার প্রক্রিয়া সুষ্ঠূভাবে চলার জন্য যে ধরনের অর্থনৈতিক সহযোগিতা দরকার তা প্রধান বিচারপতি হিসাবে আমি করতে পারি না। প্রয়োজনীয় অর্থের জন্য আমাকে সরকারে দিকে চেয়ে থাকতে হয়, তাই আসবাবপত্র সহ আনুষঙ্গিক বিষয়ে ইচ্ছা থাকলেও করা সম্ভব হয়না। এটির অবসান হওয়া প্রয়োজন। সময়ের বিবর্তনে বিচার বিভাগের পূর্বের যে অবস্থা ছিল তা থেকে দিনদিন সরে যাচ্ছে। বিচারক, বিচার প্রক্রিয়া ও আইনজীবি পরিপূরক ছিল, আমাদের মানষিকতা পরিবর্তন হওয়ায় এখন তা থেকে আমরা দুরে সরে যাচ্ছি যা কোনও ক্রমেই ঠিক নয়
এসময় নোয়াখালী জেলা ও দায়রা জজ রেজা তারিক আহাম্মদের সভাপতিত্বে অনষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন এটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম, বার কাউন্সিলের ভাইস চেয়ারম্যান আ্যডভোকেট আবদুল বাসেত মজুমদার, নোয়াখালী জেলা প্রশাসক বদরে মুনির ফেরদৌস, পুলিশ সুপার ইলিয়াছ শরিফ, নোয়াখালী আইনজীবি সমিতির সভাপতি আ্যডভোকেট এবিএম জাকারিয়া, পিপি আ্যডভোকেট মহিব উল্লাহ, জিপি আ্যডভোকেট মানছুরুল হক খসরু প্রমুখ।
এসময় প্রধান বিচারপতি নোয়াখালী জেলা জজ আদালতের বিভিন্ন পুরোনো মামলার জট নিস্পত্তির জন্য বিচারকদের প্রতি ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, আগামী ১ মাসের মধ্যে বন সংক্রান্ত মামলাসহ বিভিন্ন মামলা নিস্পত্তি না করা হলে বিচারকদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবেন।
কনফারেন্স শেষে দুই দিনের সফরে আসা প্রধান বিচারপতি ও তাঁর সফর সঙ্গী এ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুব আলম নোয়াখালী জেলা আইনজীবি সমিতির মিলনায়তনে রাত সোয়া আটটায় সংবর্ধনা ও বার্ষিক ভোজে অংশ নেন।
এসময় তিনি প্রায় ১ ঘন্টার বক্তব্যে আইনজীবিদের উদ্দেশ্যে বলেন,আপনারা বিচার কার্য করার সময় নমনীয়তা প্রকাশ করুন। যেকোনো বিচার দ্রুত শেষ করার চেষ্টা করুন। যদি বিচার কার্য শেষ করতে বিলম্ব হয় তাহলে বর্তমানে ত্রিশ লক্ষ বিচার কবে শেষ করবেন। আপনারা সরকারি ছুটি কাটানোর চিন্তা বাদ দিয়ে বরং তার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করুণ যাতে বছরে বিশ-বাইশ দিনের বেশি ছুটি না থাকে।
এর আগে বিচারপতি নোয়াখালীর বিভিন্ন স্থান পরিদর্শন করেন এবং সদর উপজেলার ভাটিরটেক চৌমুহনী বাজার এলাকায় অ্যাডভোকেট ড. বশির আহমেদ কলেজের দ্বিতল ভবনের ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন করেন।
সাহস২৪ ডটকম-এর প্রকাশিত প্রচারিত কোনো সংবাদ তথ্য, ছবি, রেখাচিত্র, ভিডিও, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
মন্তব্যে প্রকাশিত মত মন্তব্যকারীর একান্তই নিজস্ব। সাহস২৪ ডটকম-এর সম্পাদকীয় নীতির সঙ্গে এসব মন্তব্যের কোনো মিল নাও থাকতে পারে। মন্তব্যকারীর বক্তব্যের বিষয়বস্তু নিয়ে সাহস২৪ ডটকম-এর কর্তৃপক্ষ আইনগত বা অন্য কোনো দায় নেবে না।