মাদরাসা ছাত্রী অপহরণ, ৭ অপহরণকারী আটক
মাদরাসা ছাত্রীকে অপহরণ করে নিয়ে যাওয়ার সময় সাত অপহরণকারী আটক ও অপহৃত ছাত্রীকে উদ্ধার করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার সকাল ১১টার দিকে এ অপহরণের ঘটনা ঘটে।
নবাবগঞ্জ উপজেলার পরান দিঘি থেকে তাদের আটক করা হয়। এ সময় অপহরণে ব্যবহৃত (চট্ট মেট্রো-চ-১১-২৫৯৭) মাইক্রোবাসটি উদ্ধার করে পুলিশ।
আটককৃতরা হলো, বিরামপুর উপজেলার বিজুল গ্রামের সাইদ হোসেনের ছেলে ফারুক হোসেন (২৭) ও নুরনবী (২২), মির্জাপুর গ্রামের শাহাজাহনের ছেলে রায়হান কবীর (২৭), রংপুরের শালবন (মিস্ত্রিপাড়া) মৃত নুর মোহাম্মদের ছেলে রাসেল (২৭) ও মৃত শরিফুল ইসলামের ছেলে লিটন মিয়া (৩০), মিঠাপুকুর উপজেলার শুকরের হাট মাহমুদেরপাড়ার মৃত বাবুলের ছেলে ছোটন (২৬) ও রংপুরের কামারপাড়ার মৃত ওহাবের ছেলে কৌসিক মিয়া (২৮)।
দিওড় ইউনিয়নের বিজুল গ্রামের মাদরাসা শিক্ষক মতিউর রহমানের মেয়ে বাড়ি থেকে বিরামপুরে কোচিং সেন্টারে যাচ্ছিল। বিজুল হাইস্কুলের কাছে এলে একই গ্রামের সাইদের ছেলে ফারুক হোসেন তার কয়েকজন সহযোগী নিয়ে মাইক্রোবাসে তুলে নিয়ে যায়।
স্থানীয়রা বিষয়টি জানতে পেরে অপহৃত মাদরাসা ছাত্রীর বাবাকে জানান। তিনি অপহৃতদের রুটের সন্ধান জেনে মাইক্রোবাসটি আটকের জন্য মোবাইল ফোনে পরিচিতদের সহযোগিতা নেন। মাইক্রোবাসে করে অপহরণকারীরা পালিয়ে যাওয়ার সময় বিরামপুর-ঘোড়াঘাট সড়কে বাজিতপুরে বেরিকেড দেখে বিপরীত দিকে চলতে থাকে। একসময় অবস্থা বেগতিক দেখে অপহরণকারীরা মাদরাসা ছাত্রীকে বাজিতপুর ব্রিজের পাশে ফেলে রেখে শাখা রাস্তা ধরে চলতে থাকে। পরানদিঘি গ্রামে গিয়ে রাস্তাটি শেষ হয়ে যাওয়ায় তারা আর সামনে এগুতে পারেনি। এ সময় গ্রামবাসী তাদের আটক করে গণধোলাই দেয়।
পুলিশ খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে বিক্ষুব্ধ জনতার হাত থেকে অপহরণকারীদের উদ্ধার করে। পরে তাদের আটক করে থানায় নিয়ে যায়। এ সময় পুলিশ অপহরণের কাজে ব্যবহৃত মাইক্রোবাসটি উদ্ধার করে।
নবাবগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইসমাইল হোসেন জানান, এ বিষয়ে মামলা হয়েছে।
সাহস২৪ ডটকম-এর প্রকাশিত প্রচারিত কোনো সংবাদ তথ্য, ছবি, রেখাচিত্র, ভিডিও, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
মন্তব্যে প্রকাশিত মত মন্তব্যকারীর একান্তই নিজস্ব। সাহস২৪ ডটকম-এর সম্পাদকীয় নীতির সঙ্গে এসব মন্তব্যের কোনো মিল নাও থাকতে পারে। মন্তব্যকারীর বক্তব্যের বিষয়বস্তু নিয়ে সাহস২৪ ডটকম-এর কর্তৃপক্ষ আইনগত বা অন্য কোনো দায় নেবে না।