কিশোরীকে গণধর্ষণ শেষে গুলি করে কুয়ায় নিক্ষেপ!
কিশোরীকে অপহরণ করে দুই সপ্তাহ আটকে রেখে গণধর্ষণ। এরপর হত্যার উদ্দেশ্যে তাকে বাইরে নিয়ে দুই দফা গুলি করে কুয়ার ভেতরে নিক্ষেপ। তবে এলাকাবাসীর সহায়তায় জীবিত উদ্ধার হয়েছে সে। ভারতের রাজধানী নয়াদিল্লিতে ঘটেছে এ ঘটনা।
ঘটনাটা মাস খানেক আগের। তবে কিশোরীটি এনডিটিভিকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এ বর্বর কাহিনি প্রকাশ করার পরই তা জানাজানি হয়। সাক্ষাৎকারটি গত রোববার প্রকাশ করা হয়েছে। খবর এএফপির।
১৪ বছর বয়সী ওই কিশোরী বলেছে, গত ২২ নভেম্বর দিল্লির পশ্চিমাঞ্চলের একটি বিপণিবিতানের কাছ থেকে অপহরণের শিকার হয় সে। এরপর একটি ‘অন্ধকার কক্ষে’ দুই সপ্তাহ আটকে রেখে তাকে ধর্ষণ করে তিন অপহরণকারী। এক রাতে অপহরণকারীরা জানায়, তাকে ছেড়ে দেওয়া হবে। এরপর তাকে একটি গাড়িতে তুলে নিয়ে রাস্তায় বেরোয় অপহরণকারীরা। পথে দোকানে গিয়ে মদ কেনে তারা। এরপর একটি কুয়ার কাছ গিয়ে থামে গাড়িটি।
সাক্ষাৎকারে কিশোরীটি বলে, ‘তারা (অপহরণকারীরা) বলে, আমাকে চলে যেতে দেওয়া হবে। কিন্তু যেই কয়েক পা এগোই, তারা দুটি গুলি করে। প্রথমটি আমার হাড়ে লাগে। আমি তেমন কিছুই বুঝতে পারিনি। শুধু মনে হচ্ছিল, দেহটা অসাড় হয়ে গেল। কিন্তু দ্বিতীয়বার গুলির পর আমি জ্ঞান হারিয়ে ফেলি।’
কিশোরীটি জানায়, জ্ঞান ফিরলে সে নিজেকে কুয়ার মধ্যে আবিষ্কার করে। এরপর চিৎকার শুরু করে।
চিৎকার শুনে আশপাশের লোকজন কিশোরীটিকে উদ্ধার করে। নয়াদিল্লির উপকণ্ঠে অবস্থিত তুঘলপুর গ্রাম থেকে তাকে ৬ ডিসেম্বর উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় এরই মধ্যে কয়েকজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে স্থানীয় গণমাধ্যম জানিয়েছে।
অপরাধীদের শাস্তির দাবি জানিয়ে কিশোরীটি বলে, ‘আমি ধর্ষকদের ফাঁসি দেখতে চাই। আমার ভাগ্যে যা ঘটেছে, তা যেন আর কারও ভাগ্যে না ঘটে।’
সাহস২৪ ডটকম-এর প্রকাশিত প্রচারিত কোনো সংবাদ তথ্য, ছবি, রেখাচিত্র, ভিডিও, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
মন্তব্যে প্রকাশিত মত মন্তব্যকারীর একান্তই নিজস্ব। সাহস২৪ ডটকম-এর সম্পাদকীয় নীতির সঙ্গে এসব মন্তব্যের কোনো মিল নাও থাকতে পারে। মন্তব্যকারীর বক্তব্যের বিষয়বস্তু নিয়ে সাহস২৪ ডটকম-এর কর্তৃপক্ষ আইনগত বা অন্য কোনো দায় নেবে না।